রামুর ঐতিহ্যবাহী বৌদ্ধ ধর্মীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠান কল্প জাহাজ ভাসা উদযাপন উপলক্ষে “রামু কেন্দ্রীয় প্রবারণা ও কল্প জাহাজ ভাসা উদযাপন পরিষদ ২০২৫” গঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টায় রামু কেন্দ্রীয় সীমা মহাবিহারে অনুষ্ঠিত এক সভায় প্রতিটি গ্রামের কল্প জাহাজ নির্মাণ কমিটি এবং রামু বৌদ্ধ সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে সর্বসম্মতিক্রমে এ কমিটি গঠন করা হয়।
উদযাপন পরিষদের সমন্বয়কারী নির্বাচিত হয়েছেন জ্যোতির্ময় বড়ুয়া রিগ্যান। আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন মিথুন বড়ুয়া বোথাম।
এছাড়া যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন—
সত্যজিৎ বড়ুয়া, দীপ্ত বড়ুয়া, উচ্ছ্বাস বড়ুয়া, রমিজ বড়ুয়া, তনয় বড়ুয়া, শান্ত বড়ুয়া।
বৌদ্ধদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় অনুষ্ঠান প্রবারণা পূর্ণিমা পালিত হয় বৌদ্ধ ভিক্ষুদের বর্ষাবাস শেষে। প্রবারণা মূলত আত্মশুদ্ধি ও ভ্রাতৃত্ববোধ জাগরণের প্রতীক।
প্রবারণার পরদিন, অর্থাৎ আগামী ৮ অক্টোবর রামুর ঐতিহ্যবাহী বাঁকখালী নদীতে অনুষ্ঠিত হবে বহুল প্রতীক্ষিত কল্প জাহাজ ভাসা উৎসব। রঙিন আলো, ফানুস, ধর্মীয় সংগীত ও জাহাজ ভাসানোর মধ্য দিয়ে এ উৎসব রামু তথা সমগ্র বৌদ্ধ সমাজে আনন্দ-উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে দেয়।
প্রতি বছর কল্প জাহাজ ভাসাকে কেন্দ্র করে রামুর গ্রাম-গ্রামে চলে প্রস্তুতি। এবারও গ্রামীণ কমিটিগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে কেন্দ্রীয় পরিষদ কার্যক্রম পরিচালনা করবে। নতুন কমিটি আশা করছে, আগের চেয়ে আরও বর্ণাঢ্য ও সুশৃঙ্খলভাবে ২০২৫ সালের উৎসব উদযাপন সম্ভব হবে।