রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ‘চাকুরিচ্যুত’ শিক্ষক আন্দোলনে বৈষম্যবিরোধী নেত্রী জিনিয়া সহ ২৭ জন’কে আটক ও লাঠিপেটার ঘটনায় বিতর্কের জন্ম দিয়ে অবশেষে উখিয়া থানার ওসির আসন ছাড়তে হচ্ছে আরিফ হোসাইন’কে।
তিনি বদলি হয়েছেন বা হচ্ছেন এমন আলোচনা বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) সন্ধ্যার পর থেকে দেখা মিলেছে কক্সবাজারের ফেসবুক ইউজারদের
নিউজফিডে।
আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না আসলেও ওসি আরিফ যে উখিয়ায় আর থাকছেন না সেটি একপ্রকার স্পষ্ট হয়েছে জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন চৌধুরী’র বক্তব্যে।
তিনি বলেছেন, ‘ টেকনাফের টা হয়েছে, উখিয়ার টা হয়নি। মিডিয়ারটা ভুলভাবে আসছে আরকি। ১৭ তারিখ দুইজন ইন্সপেক্টর (ওসি মর্যদার) আমাদের জেলায় পোস্টিং হয়েছে, এদের বিষয়ে ইনেস্ট্রাকশন হয়েছে যে উখিয়া এবং টেকনাফে পোস্টিং দেয়ার জন্য।’
তিনি আরো বলেন, ‘ আজকে (বৃহস্পতিবার) টেকনাফের টা দেওয়া হয়েছে ২৫ তারিখের কারণে আমরা উখিয়ার টা দিতে পারিনি, কিন্তু হবে। বাট, ডিসিশনটা ১৭ তারিখের।’
প্রসঙ্গত, ২৫ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস রোহিঙ্গা বিষয়ক অংশিজন সংলাপে অংশ নিতে কক্সবাজার আসছেন এবং সে অনুষ্ঠানের সম্ভাব্য নির্ধারিত ভেন্যু উখিয়া থানার আওতাভুক্ত এলাকায়।
কক্সবাজারে নতুন পদায়িত দুই পুলিশ পরিদর্শকের মধ্যে জায়েদ নুর’কে বৃহস্পতিবার পুলিশ সুপার স্বাক্ষরিত এক আদেশে টেকনাফের ওসি পদে পদায়ন করা হয়েছে, গিয়াস উদ্দিনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে চকরিয়া সার্কেলে।
অপর পরিদর্শক তৌহিদুল আনোয়ার তৌহিদ, আরিফের পরিবর্তে উখিয়া থানার দায়িত্ব নিতে পারেন বলে পুলিশের একাধিক সূত্র জানিয়েছে।
একই সাথে সূত্রগুলো বলছে, পরবর্তী কর্মস্থল নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত জেলা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত থাকতে হবে আরিফ হোসাইন’কে।
২০ আগস্ট আন্দোলনকারী শিক্ষক ও সংহতি প্রকাশকারী ছাত্র প্রতিনিধিদের আটক এবং পেটানোর ঘটনায় ব্যাপক সমালোচিত হওয়া আরিফের প্রত্যাহার দাবী করা হয় পরদিন ২১ আগস্ট সন্ধ্যায় কক্সবাজারে আয়োজিত ‘নিপীড়িত শিক্ষক সমাজ ও ছাত্র জনতা’র
সংবাদ সম্মেলন থেকে।
উল্লেখ্য গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর আরিফ হোসাইন উখিয়া থানায় যোগ দিয়েছিলেন।