ঢাকা ০৭:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ২০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
কানের দুলের জন্যে প্রাণ কেড়ে নিলো কন্যা শি’শুর! শিক্ষকের মর্যাদা, শিক্ষার মান- দুটোই হোক সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার সব প্রস্তুতি নিয়েও যেকারণে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে দেরি কক্সবাজার বিমানবন্দর ‘কুকুর’ ধরলো রাজমিস্ত্রীর ইয়াবা টেকনাফে মানব পাচারে ‘জিরো টলারেন্স’ বলছে বিজিবি পালংখালী জামায়াতের কর্মী সমাবেশে জেলা আমীর আনোয়ারী-ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে দাঁড়ি পাল্লার বিজয়ে ঐক্যবদ্ধ হোন টেকনাফে ১৪ মামলার পলাতক আসামী মুন্না র‍্যাবের হাতে গ্রেফতার বিএফইউজে’র নির্বাহী পরিষদের সভায় সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার’র কমিটি অনুমোদন কক্সবাজার সৈকতে ‘লোক সমুদ্র’ ‘মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান-২০২৫’ বাস্তবায়নে কক্সবাজারে ৫টি যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন নৌবাহিনীর নারী নেতৃত্বকে জাতির গৌরব বললেন লুৎফুর রহমান কাজল কুতুবদিয়া প্রেসক্লাবের সভায় বক্তারা: ‎কুতুবদিয়ার অর্থনৈতিক উন্নয়নে পর্যটনের বিকল্প নেই ‎ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আস্থা গড়ার বদলে চাপ সৃষ্টি করেছে বাংলাদেশ চৌফলদন্ডীর আমজাদ হত্যার আসামী ছৈয়দ নুর গ্রেফতার সমুদ্রবন্দর থেকে নামল সতর্ক সংকেত

১৪ ডিসেম্বর: আজ জাতীর বেদনার দিন

 

আজ ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। ১৯৭১ সালের এ দিন দখলদার পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার আল-বদর, আল-শামসরা বাংলার শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে।

দেশের বরেণ্য শিক্ষাবিদ, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাংবাদিক, শিল্পী, শিক্ষকসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিদের তাদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে চোখ বেঁধে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে নির্মমভাবে নির্যাতন ও হত্যা করা হয়।

পরে তাদের লাশ রাজধানীর রায়েরবাজার, মিরপুরসহ কয়েকটি বধ্যভূমিতে ফেলে দেওয়া হয়।

পরাজয় আসন্ন বুঝতে করতে পেরে পাকিস্তানি বাহিনী এবং তাদের আল-বদর, আল-শামস ও রাজাকারের মতো স্থানীয় দোসররা দেশের বুদ্ধিজীবী সমাজকে নিশ্চিহ্ন করে এবং উদীয়মান বাংলাদেশকে বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে পঙ্গু করার লক্ষ্যে ঠান্ডা মাথায় এই গণহত্যা চালায়।

বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে রয়েছেন- ড. আলীম চৌধুরী, অধ্যাপক মুনির চৌধুরী, অধ্যাপক মুনিরুজ্জামান, ড. ফজলে রাব্বী, সিরাজুদ্দীন হোসেন, শহীদুল্লাহ কায়সার, অধ্যাপক জিসি দেব, জ্যোতির্ময় গুহ ঠাকুরতা, অধ্যাপক সন্তোষ ভট্টাচার্য, মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, সাংবাদিক খন্দকার আবু তালেব, নিজামউদ্দিন আহমেদ, এস এ মান্নান (লাডু ভাই), এ এন এম গোলাম মোস্তফা, সৈয়দ নাজমুল হক ও সেলিনা পারভীন প্রমুখ।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ১৪ ডিসেম্বরের ট্র্যাজেডির স্মরণে বিস্তৃত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে শহীদ বুদ্ধিজীবী ও মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের সদস্যরা শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি এক বাণীতে বলেন, ‘আমি বৈষম্যহীন চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কার্যকর ভূমিকা পালনের আহ্বান জানাচ্ছি।’

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস তার বাণীতে বলেন, গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও সুশাসিত বাংলাদেশ গড়তে বদ্ধপরিকর।

সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়া, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির যেকোনো ষড়যন্ত্র প্রতিহত করা এবং নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালনের আহ্বানও জানান তিনি।

এছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।

শনিবার বাদ জোহর দিবসটি উপলক্ষে মসজিদ, মন্দির ও গির্জায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে।

দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ বিভিন্ন বেসরকারি টিভি চ্যানেল বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করবে।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

কানের দুলের জন্যে প্রাণ কেড়ে নিলো কন্যা শি’শুর!

This will close in 6 seconds

১৪ ডিসেম্বর: আজ জাতীর বেদনার দিন

আপডেট সময় : ০৬:২৪:১০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪

 

আজ ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। ১৯৭১ সালের এ দিন দখলদার পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার আল-বদর, আল-শামসরা বাংলার শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে।

দেশের বরেণ্য শিক্ষাবিদ, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাংবাদিক, শিল্পী, শিক্ষকসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিদের তাদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে চোখ বেঁধে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে নির্মমভাবে নির্যাতন ও হত্যা করা হয়।

পরে তাদের লাশ রাজধানীর রায়েরবাজার, মিরপুরসহ কয়েকটি বধ্যভূমিতে ফেলে দেওয়া হয়।

পরাজয় আসন্ন বুঝতে করতে পেরে পাকিস্তানি বাহিনী এবং তাদের আল-বদর, আল-শামস ও রাজাকারের মতো স্থানীয় দোসররা দেশের বুদ্ধিজীবী সমাজকে নিশ্চিহ্ন করে এবং উদীয়মান বাংলাদেশকে বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে পঙ্গু করার লক্ষ্যে ঠান্ডা মাথায় এই গণহত্যা চালায়।

বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে রয়েছেন- ড. আলীম চৌধুরী, অধ্যাপক মুনির চৌধুরী, অধ্যাপক মুনিরুজ্জামান, ড. ফজলে রাব্বী, সিরাজুদ্দীন হোসেন, শহীদুল্লাহ কায়সার, অধ্যাপক জিসি দেব, জ্যোতির্ময় গুহ ঠাকুরতা, অধ্যাপক সন্তোষ ভট্টাচার্য, মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, সাংবাদিক খন্দকার আবু তালেব, নিজামউদ্দিন আহমেদ, এস এ মান্নান (লাডু ভাই), এ এন এম গোলাম মোস্তফা, সৈয়দ নাজমুল হক ও সেলিনা পারভীন প্রমুখ।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ১৪ ডিসেম্বরের ট্র্যাজেডির স্মরণে বিস্তৃত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে শহীদ বুদ্ধিজীবী ও মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের সদস্যরা শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি এক বাণীতে বলেন, ‘আমি বৈষম্যহীন চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কার্যকর ভূমিকা পালনের আহ্বান জানাচ্ছি।’

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস তার বাণীতে বলেন, গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও সুশাসিত বাংলাদেশ গড়তে বদ্ধপরিকর।

সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়া, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির যেকোনো ষড়যন্ত্র প্রতিহত করা এবং নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালনের আহ্বানও জানান তিনি।

এছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।

শনিবার বাদ জোহর দিবসটি উপলক্ষে মসজিদ, মন্দির ও গির্জায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে।

দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ বিভিন্ন বেসরকারি টিভি চ্যানেল বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করবে।