ঢাকা ১১:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ভালো কিছু শুরুর আশা পঁচিশের শেষ সূর্যাস্ত দেখতে আসা পর্যটকদের স্বামীর কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত খালেদা জিয়া জনজোয়ারে খালেদা জিয়ার জানাজা অনুষ্ঠিত ঢাকায় পৌঁছেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে ঢাকায় পাকিস্তানের স্পিকার মানিক মিয়া এভিনিউয়ে জনতার ঢল সংসদ ভবনের পথে খালেদা জিয়ার মরদেহ কক্সবাজারে খালেদা জিয়ার শেষ সফর ছিলো ২০১৭ সালে থার্টি ফার্স্টে লক্ষাধিক পর্যটকের সমাগম হবে: মানতে হবে পুলিশী নির্দেশনা, বার বন্ধ থাকবে শোক পালন: সাগরতীরের তারকা হোটেলগুলোতে থার্টি-ফার্স্টের আয়োজন বাতিল চকরিয়ায় যুবদল নেতাকে পিটিয়ে হত্যা রুমিন ফারহানা-নীরবসহ ৮ জনকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার থার্টি ফার্স্ট নাইট:জেলা পুলিশের কঠোর বিধি-নিষেধ সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার সেন্টমার্টিনগামী জাহাজে যৌথ অভিযান কোস্টগার্ডের

মামলার আসামী হলেও বদির ঘনিষ্ঠ দুই সহোদর বহাল তবিয়তে

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার ভারত পালায়নের মধ্য দিয়ে পতন ঘটে আওয়ামীলীগের। এরপর একে একে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে শীর্ষ নেতা, মন্ত্রীসহ অনেকেই। আবার অনেকেই গ্রেপ্তার হয়ে কারাবন্ধি। কিন্তু এক বছরেও বদলায়নি সীমান্ত উপজেলা টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের দৃশ্যপট।

যেখানে এখনও দাপটের সাথে আছেন সাবেক এমপি বর্তমানে কারাবন্ধি আবদুর রহমান বদির ঘনিষ্ট দুই সহোদর।

এরা হলেন, সাবরাং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নেতা মো. শামসুল আলম মেম্বার ও তার ভাই সাবরাং ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আলম নুরু।

টেকনাফের স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই দুই সহোদর বিগত ১৫ বছর ধরে সীমান্তের ইয়াবা ও মানবপাচার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন। একই সঙ্গে সাধারণ মানুষসহ বিরোধী রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের নির্যাতন ও মিথ্যা মামলার আসামি করে ঘর ছাড়া করেছেন। আওয়ামীলীগের পতনের এক বছরে মাদক পাচার নিয়ন্ত্রণ রেখে সাধারণ মানুষকে হয়রানী করে যাচ্ছে এই দুই সহোচর।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয়রা বলছেন, বিগত সরকারের সময় এই দুই ভাইকে দেখা গেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ছেলেসহ শীর্ষ নেতাদের সাথে। পিতা আলী আহমদও আওয়ামীলীগ নেতা ছিলেন। কিন্তু সাবেক এমপি বদির সখ্যতা পেয়ে ঘনিষ্টজন হওয়ার গল্প ভিন্ন।

জানা গেছে, মো. শামসুল আলম সাবেক ওসি আবদুর রহমানের ভাতিজির স্বামী। আর সেই ওসি হলেন সাবেক এমপি বর্তমানে কারাবন্ধি আবদুর রহমান বদির ভগ্নিপতি। যে সুবাদে বদির ঘনিষ্টজন হিসেবে দাপটের সাথে চলেছেন।

কিন্তু বর্তমানেও একই দাপট নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়রা। একাধিক মামলার আসামি হওয়ার পরও প্রকাশ্যে ঘুরে সাধারণ মানুষকে হয়রানী ও নির্যাতনের নেপথ্যে জানতে চান ভূক্তভোগীরা।

এদিকে টেকনাফ থানার ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। মামলার আসামী হলে কেউ ছাড় পাবেনা।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

This will close in 6 seconds

মামলার আসামী হলেও বদির ঘনিষ্ঠ দুই সহোদর বহাল তবিয়তে

আপডেট সময় : ১০:৫১:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৫

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার ভারত পালায়নের মধ্য দিয়ে পতন ঘটে আওয়ামীলীগের। এরপর একে একে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে শীর্ষ নেতা, মন্ত্রীসহ অনেকেই। আবার অনেকেই গ্রেপ্তার হয়ে কারাবন্ধি। কিন্তু এক বছরেও বদলায়নি সীমান্ত উপজেলা টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের দৃশ্যপট।

যেখানে এখনও দাপটের সাথে আছেন সাবেক এমপি বর্তমানে কারাবন্ধি আবদুর রহমান বদির ঘনিষ্ট দুই সহোদর।

এরা হলেন, সাবরাং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নেতা মো. শামসুল আলম মেম্বার ও তার ভাই সাবরাং ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আলম নুরু।

টেকনাফের স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই দুই সহোদর বিগত ১৫ বছর ধরে সীমান্তের ইয়াবা ও মানবপাচার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন। একই সঙ্গে সাধারণ মানুষসহ বিরোধী রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের নির্যাতন ও মিথ্যা মামলার আসামি করে ঘর ছাড়া করেছেন। আওয়ামীলীগের পতনের এক বছরে মাদক পাচার নিয়ন্ত্রণ রেখে সাধারণ মানুষকে হয়রানী করে যাচ্ছে এই দুই সহোচর।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয়রা বলছেন, বিগত সরকারের সময় এই দুই ভাইকে দেখা গেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ছেলেসহ শীর্ষ নেতাদের সাথে। পিতা আলী আহমদও আওয়ামীলীগ নেতা ছিলেন। কিন্তু সাবেক এমপি বদির সখ্যতা পেয়ে ঘনিষ্টজন হওয়ার গল্প ভিন্ন।

জানা গেছে, মো. শামসুল আলম সাবেক ওসি আবদুর রহমানের ভাতিজির স্বামী। আর সেই ওসি হলেন সাবেক এমপি বর্তমানে কারাবন্ধি আবদুর রহমান বদির ভগ্নিপতি। যে সুবাদে বদির ঘনিষ্টজন হিসেবে দাপটের সাথে চলেছেন।

কিন্তু বর্তমানেও একই দাপট নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়রা। একাধিক মামলার আসামি হওয়ার পরও প্রকাশ্যে ঘুরে সাধারণ মানুষকে হয়রানী ও নির্যাতনের নেপথ্যে জানতে চান ভূক্তভোগীরা।

এদিকে টেকনাফ থানার ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। মামলার আসামী হলে কেউ ছাড় পাবেনা।