ঢাকা ০২:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫, ৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
জিনিয়াসহ আটকরা এখনো থানায় জুলাই আন্দোলনের নেতা জিনিয়াসহ আটকদের মুক্তি দাবী ও শিক্ষকদের আন্দোলনে উদীচীর সংহতি দশদিন পর আবারো ঘুমধুম সীমান্তে গোলাগুলির শব্দ, কি হচ্ছে ওপারে? টেকনাফে এসে অপহরণের শিকার সেন্টমার্টিনের যুবক: ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি স্বাধীনতাবিরোধী ও সরকারসৃষ্ট দল দুটি পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চায়: হাফিজ উদ্দিন বঙ্গোপসাগরের বাংলাদেশ জলসীমানায় মাসব্যাপী জরিপ করবে নরওয়ে জুলাই সনদকে সংবিধানের ওপর প্রাধান্য দিলে ‘খারাপ নজির’ সৃষ্টি হবে: সালাহউদ্দিন আহমেদ দেশের মানুষ এখন সেনাসদস্যদের দিকে তাকিয়ে আছে: সেনাপ্রধান যুবকের জরিমানাসহ ৭ বছরের কারাদণ্ড বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশি অংশে জরিপে নামছে নরওয়ের গবেষণা জাহাজ আন্তর্জাতিক মানের নির্বাচন করতে ৪ মিলিয়ন ইউরো দেবে ইইউ বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হলেন ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ সহিদুজ্জামান ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন, এরপর আমরা বিদায় নেব : আসিফ নজরুল তিস্তা প্রকল্পে চীনা ঋণ নিতে চায় সরকার, চেয়েছে ৬ হাজার ৭০০ কোটি টাকা ছাত্ররাজনীতিতে পরিবর্তন চান শিক্ষার্থীরা

মামলার আসামী হলেও বদির ঘনিষ্ঠ দুই সহোদর বহাল তবিয়তে

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার ভারত পালায়নের মধ্য দিয়ে পতন ঘটে আওয়ামীলীগের। এরপর একে একে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে শীর্ষ নেতা, মন্ত্রীসহ অনেকেই। আবার অনেকেই গ্রেপ্তার হয়ে কারাবন্ধি। কিন্তু এক বছরেও বদলায়নি সীমান্ত উপজেলা টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের দৃশ্যপট।

যেখানে এখনও দাপটের সাথে আছেন সাবেক এমপি বর্তমানে কারাবন্ধি আবদুর রহমান বদির ঘনিষ্ট দুই সহোদর।

এরা হলেন, সাবরাং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নেতা মো. শামসুল আলম মেম্বার ও তার ভাই সাবরাং ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আলম নুরু।

টেকনাফের স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই দুই সহোদর বিগত ১৫ বছর ধরে সীমান্তের ইয়াবা ও মানবপাচার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন। একই সঙ্গে সাধারণ মানুষসহ বিরোধী রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের নির্যাতন ও মিথ্যা মামলার আসামি করে ঘর ছাড়া করেছেন। আওয়ামীলীগের পতনের এক বছরে মাদক পাচার নিয়ন্ত্রণ রেখে সাধারণ মানুষকে হয়রানী করে যাচ্ছে এই দুই সহোচর।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয়রা বলছেন, বিগত সরকারের সময় এই দুই ভাইকে দেখা গেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ছেলেসহ শীর্ষ নেতাদের সাথে। পিতা আলী আহমদও আওয়ামীলীগ নেতা ছিলেন। কিন্তু সাবেক এমপি বদির সখ্যতা পেয়ে ঘনিষ্টজন হওয়ার গল্প ভিন্ন।

জানা গেছে, মো. শামসুল আলম সাবেক ওসি আবদুর রহমানের ভাতিজির স্বামী। আর সেই ওসি হলেন সাবেক এমপি বর্তমানে কারাবন্ধি আবদুর রহমান বদির ভগ্নিপতি। যে সুবাদে বদির ঘনিষ্টজন হিসেবে দাপটের সাথে চলেছেন।

কিন্তু বর্তমানেও একই দাপট নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়রা। একাধিক মামলার আসামি হওয়ার পরও প্রকাশ্যে ঘুরে সাধারণ মানুষকে হয়রানী ও নির্যাতনের নেপথ্যে জানতে চান ভূক্তভোগীরা।

এদিকে টেকনাফ থানার ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। মামলার আসামী হলে কেউ ছাড় পাবেনা।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

জিনিয়াসহ আটকরা এখনো থানায়

This will close in 6 seconds

মামলার আসামী হলেও বদির ঘনিষ্ঠ দুই সহোদর বহাল তবিয়তে

আপডেট সময় : ১০:৫১:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৫

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার ভারত পালায়নের মধ্য দিয়ে পতন ঘটে আওয়ামীলীগের। এরপর একে একে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে শীর্ষ নেতা, মন্ত্রীসহ অনেকেই। আবার অনেকেই গ্রেপ্তার হয়ে কারাবন্ধি। কিন্তু এক বছরেও বদলায়নি সীমান্ত উপজেলা টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের দৃশ্যপট।

যেখানে এখনও দাপটের সাথে আছেন সাবেক এমপি বর্তমানে কারাবন্ধি আবদুর রহমান বদির ঘনিষ্ট দুই সহোদর।

এরা হলেন, সাবরাং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নেতা মো. শামসুল আলম মেম্বার ও তার ভাই সাবরাং ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আলম নুরু।

টেকনাফের স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই দুই সহোদর বিগত ১৫ বছর ধরে সীমান্তের ইয়াবা ও মানবপাচার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন। একই সঙ্গে সাধারণ মানুষসহ বিরোধী রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের নির্যাতন ও মিথ্যা মামলার আসামি করে ঘর ছাড়া করেছেন। আওয়ামীলীগের পতনের এক বছরে মাদক পাচার নিয়ন্ত্রণ রেখে সাধারণ মানুষকে হয়রানী করে যাচ্ছে এই দুই সহোচর।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয়রা বলছেন, বিগত সরকারের সময় এই দুই ভাইকে দেখা গেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ছেলেসহ শীর্ষ নেতাদের সাথে। পিতা আলী আহমদও আওয়ামীলীগ নেতা ছিলেন। কিন্তু সাবেক এমপি বদির সখ্যতা পেয়ে ঘনিষ্টজন হওয়ার গল্প ভিন্ন।

জানা গেছে, মো. শামসুল আলম সাবেক ওসি আবদুর রহমানের ভাতিজির স্বামী। আর সেই ওসি হলেন সাবেক এমপি বর্তমানে কারাবন্ধি আবদুর রহমান বদির ভগ্নিপতি। যে সুবাদে বদির ঘনিষ্টজন হিসেবে দাপটের সাথে চলেছেন।

কিন্তু বর্তমানেও একই দাপট নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়রা। একাধিক মামলার আসামি হওয়ার পরও প্রকাশ্যে ঘুরে সাধারণ মানুষকে হয়রানী ও নির্যাতনের নেপথ্যে জানতে চান ভূক্তভোগীরা।

এদিকে টেকনাফ থানার ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। মামলার আসামী হলে কেউ ছাড় পাবেনা।