Friday, May 17, 2024

উখিয়ায় অপার সম্ভাবনার শাপলার বিল

সিয়াম সোহেল-শাহেদ হোছাইন মুবিন :
কক্সবাজার শহর থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে উখিয়ার মাছকারিয়া বিলে বৃষ্টিশূন্য শীতের স্নিগ্ধতায় প্রকৃতি ডানা মেলেছে তার অপরুপ সৌন্দর্য্যে। চারপাশে সবুজ বেস্টিতো কচুরিপনার মাঝে বিলের পানিতে ফুটেছে অসংখ্য শাপলা। দূর থেকে দেখলে মনে হয় যেন রঙের মেলা ।সকালে মুক্ত আকাশের নিচে শাপলা ফুলের মেলা।

স্নিগ্ধ প্রভাতে ভাসতে থাকা পাতার ফাঁকে, উকিঁ দেয়া সূর্যের সোনালি আভা, আর হাওয়ার তালে এপাশ-ওপাশ দুলতে থাকা শাপলার হাসি মুখ, যেনো অভ্যর্থনা পেলাম শাপলার বিলে। এ যেনো এক প্রাকৃতিক স্বর্গ।

উখিয়ার ঐতিহাসিক মাছকারিয়ার খাল এখন শাপলা বিল নামে পরিচিতি পেতে যাচ্ছে। শীতের শুরু থেকে এর সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে ছুটে আসছেন প্রকৃতি প্রেমীরা। সূর্যদয় থেকে সকালে মিষ্টি আলো পর্যন্ত বেশ নেশা ধরানো আমেজ পাওয়া যায় এখানে। যা দেখে মুগ্ধ দর্শনার্থীরা।

এরইমধ্যে নতুন এই সৌন্দর্য ছড়িয়ে পড়াতে বিলে ভেসেছে বাণিজ্যিক কয়েকটা নৌকাও। প্রকৃতিপ্রেমীরা মাছকারিয়া বিলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসার কারণে নৌকার মাঝি হয়ে কর্মসংস্হান হয়েছে অত্রগ্রামের অনেকেরই। সব মিলিয়ে এটিও হতে পারে নতুন এক পর্যটন কেন্দ্র। তবে তার জন্য নিশ্চিত করতে হবে যাতায়াত ও অন্যান্য ব্যবস্থাও।

স্থানীয় সাংবাদিক ইব্রাহিম মোস্তফা জানান, মাছকারিয়া বিলে শাপলা ফুল গুলো রক্ষণাবেক্ষণ করা হলে বড় পযর্টন কেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে ঐতিহ্যবাহী মাছকারিয়া বিলটি।

দর্শনার্থীর ভীড়ে যেনো এই প্রাকৃতিক বিলটির পরিবেশগত ক্ষতি না হয়, তাই রক্ষনাবেক্ষনের দাবী জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয় তরুণ ইয়াছিন জানান, পানিতে ভাসমান শাপলাপাতার মধ্যদিয়ে ছোট ডিঙ্গি নৌকা চলছে। স্থানীয় মানুষের মৌসুমী কর্মসংস্থান চাঙা হয়ে উঠেছে। চারদিকের শাপলাফুল যেন দর্শনার্থীকে স্বাগত জানাচ্ছে। তবে খারাপ লাগে, যখন দর্শনার্থীরা বেশি বেশি করে শাপলা ফুল তুলে নষ্ট করে। তাই আমাদের অনুরোধ ফুল নষ্ট না করার। একইসঙ্গে বেড়েছে উখিয়া উপজেলার সুনাম।

শাপলা ফুলের সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে কক্সবাজার থেকে আসা শাহীন মোবারক বলেন, উখিয়ার মাছকারিয়া বিল অসাধারণ। না দেখলে বিশ্বাস হয় না। ফুল ফুটে আছে, শাপলাপাতার উপরে পানি টলমল করছে। ছোট ছোট পাখি উড়ে বেড়াচ্ছে।

মাছকারিয়া বিলের শাপলা ফুলের সৌন্দর্য দেখতে আসা পর্যটকদের নিরাপত্তা ও ভ্রমণপিপাসুদের আকর্ষণ বৃদ্ধি করতে পানির উপর বাঁশের সাকো তৈরি করে দেওয়া দিদার মিয়া নামের এক যুবক প্রতিবেদক’কে বলেন,পর্যটন একটি সম্ভাবনাময় খাত।যেহেতু মাছকারিয়া বিল পর্যটন কেন্দ্রে পরিনত হয়েছে। তাই পর্যটন খাতকে সমৃদ্ধ করতে উপজেলা প্রশাসনকে পরিকল্পনা হাতে নেওয়ার অনুরোধ জানান তিনি।

এদিকে এখান থেকে শাপলা ফুল ছেঁড়া নিষেধ উল্লেখ করে রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী নাম সম্বলিত ফেস্টুন লাগিয়ে দিয়েছেন।

জানা যায়, এক সময় এই বিলে পাওয়া যেতো প্রচুর মাছ এবং সে মাছ মাছরাঙা পাখি খেতো যার কারনে এটির নাম মাছকারিয়ার খাল বা বিল নামে পরিচিত। তবে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য ঘেরা শাপলা ফুটে এটির নাম হয়েছে শাপলা বিল।

আরও খবর

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

জনপ্রিয় সংবাদ

You cannot copy content of this page