বিশেষ প্রতিবেদক:
“যদি নৌকা থাকতো তাহলে তাদের সমর্থকরা চিন্তা করতো ইব্রাহিমকে দেবে নাকি নৌকাকে দেবে, এখন যেহেতু নৌকা নাই, তাই তাদের সিদ্ধান্ত নিতে সহজ হবে- যে আমরা ইবাহিমকেই ভোটটা দেবো”
গণমাধ্যমের সামনে এমন মন্তব্য করেছেন কক্সবাজার-১ (চাকরিয়া-পেকুয়া) আসনের প্রার্থী ও কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম।
একই ভাবে ধানের শীষের সমর্থকরাও খুব সহজ সিদ্ধান্ত হিসেবেই তাকে ভোট দেবে বলে মনে করেন ইব্রাহিম।
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) কক্সবাজার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে প্রতীক বরাদ্দ নিয়ে বের হয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ইব্রাহিম।
এসময় সাবেক এই সেনা কর্মকর্তা আরো বলেন, ” আমি আশা করি নৌকার যারা সমর্থক, এমনকি ধানের শীষের যারা সমর্থক তারা সকলেই তো বটেই, অন্তত তাদের মধ্যে যারা নেতৃত্ব স্থানীয় যারা-গণ্যমান্য যারা- সচেতন যারা, তারা আমাকে চিনবেন। কারন ব্যক্তি ইব্রাহিমের একটা পরিচয় ছিলো এবং আছে।”
চকরিয়া পেকুয়ার মানুষের কাছে তার পরিচিতি কেমন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ইব্রাহিম আরো বলেন, “আমি বিশ্বাস করি পরিচয়টা অতো বড় সমস্যা হবেনা। যতোটুকু হয় তা ওভারকাম করার জন্য আমরা পরিকল্পনা করেছি।”
ভোটারদের মনে অভিমান ও অভিযোগ আছে, সেই অভিমান ও অভিযোগ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য তারা নতুন প্রার্থীকে চায় বলে মনে করেন ইব্রাহিম।
হাতঘড়ি মার্কার প্রার্থী সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম যে আসন থেকে নির্বাচন করছেন, সেখানে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থী ছিলেন সালাউদ্দিন আহমেদ সিআইপি। ঋণ খেলাপীর অভিযোগে যার মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। নির্বাচন কমিশন ও উচ্চ আদালতে আপিল করেও প্রার্থীতা ফিরে পাননি সালাউদ্দিন।
এই আসনে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আছে বর্তমান সংসদ সদস্য জাফর আলম। যিনি আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ট্রাক মার্কায় নির্বাচন করছেন।
এদিকে গুঞ্জন উঠেছিলো নির্বাচনে আসার ক্ষেত্রে কল্যাণ পার্টি এই আসনটি নিয়ে আওয়ামীলীগের সাথে সমঝোতার। কিন্তু এমন কোনো সমঝোতা হয়েছে কিনা প্রশ্নটি বারবার করা হলেও, এটিকে মিথ্যা দাবী করেন কল্যান পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম ও দলটির মহাসচিব আবদুল আউয়াল মামুন।
বিএনপির সাথে সরকার পতনের যুগপৎ আন্দোলন করা কল্যান পার্টির দাবী বিএনপি তাদের মাঠে ছেড়ে দিয়ে চলে গিয়েছিলো। তাদের মতো ছোটো দলের ক্ষেত্রে সরকার পতন সম্ভব নয় বলে মনে করেন দলটির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম।