আব্দুর রশিদ মানিক:
স্বাক্ষর এবং প্যাড জালিয়াতি করে ভোটার বানানোর সুপারিশ নিতে এসে এক জালিয়াতি চক্রের দালালকে হাতেনাতে ধরেছে কক্সবাজার পৌরাভার প্যানেল মেয়র সালাউদ্দিন সেতু। মঙ্গলবার সকালে তার স্বাক্ষর নিতে আসলে প্যানেল মেয়রের সন্দেহ হলে যাচাই করে দেখেন কক্সবাজার পৌরসভার নকল প্যাড দিয়ে এর আগের প্যানেল মেয়র এবং কাউন্সিলরের জাল স্বাক্ষর এবং জাল সিল করা ভোটের কাগজপত্রের ফাইল বানিয়ে ভোটার করানোর চেষ্টা করছিলো মোহাম্মদ রাসেল নামের এক ব্যক্তি। সালাউদ্দিন সেতু জানান, মোহাম্মদ আলী নামের এক ব্যক্তিকে ভোটার বানাতে টাকার বিনিময়ে জালিয়াতি করে এসব কাজ করে দিচ্ছিলেন ঘোনারপাড়ার মোহাম্মদ রাসেল।
জানা গেছে, মোহাম্মদ রাসেল পৌরসভার দালাল হিসেবে পরিচিত। তার কাছ থেকে জানতে চাইলে তিনি নারী কাউন্সিলর জাহেদা আক্তারের ব্যক্তিগত সহকারী মুফিজুর রহমানকে দিয়ে এসব কাজ করান বলে জানান।
তবে জাহেদা আক্তারের ব্যক্তিগত সহকারী মুফিজুর রহমানের নামে নকল প্যাড বানানো, নকল সিল তৈরি করা এবং নকল স্বাক্ষর দেওয়ার অভিযোগ থাকলেও সব অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি।
মোহাম্মদ আলী নামের যাকে ভোটার করাতে এমন লঙ্কাকাণ্ড তাকে রোহিঙ্গা বলে সন্দেহ প্যানেল মেয়রের। কারণ মোহাম্মদ আলীর পিতার দুইটা জন্মসনদ, পিতার বাড়ি শাহপরীর দ্বীপে এবং সবগুলো কাগজপত্রই সন্দেহ করার মতো। ভোটার হতে আসা মোহাম্মদ আলী এবং তার বোন পরিচয় দেওয়া একজন বলেন, ৩ হাজার টাকার বিনিময়ে কাগজপত্র করতে দিয়েছেন রাসেলকে।
বিষয়টি নিয়ে কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মাহাবুবুর রহমান চৌধুরী বলছেন, এসব ঘটনায় যারা যারা জড়িত সবার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে মোহাম্মদ রাসেলকে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দিলেও মুফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে নেয়া হয়নি কোন ব্যবস্থা।