Saturday, April 27, 2024

সম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবেলায় জেলা প্রশাসনের প্রস্তুতি

সাইফুল আলম বাদশা :

কক্সবাজারে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ মোকাবেলায় বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জেলা প্রশাসন। বুধবার কক্সবাজার জেলা প্রশাসনকে দুর্যোগ মোকাবেলায় নগদ ১০ লাখ টাকা, ৫০ মে.টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এছাড়াও ৭ মে. টন শুকনো খাবারও বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। সম্ভাব্য দূর্যোগ মোকাবেলায় মঙ্গলবার সভা করেছে জেলা প্রশাসন।

সভার সিদ্ধান্তগুলো হলো..

১. বিদ্যমান আশ্রয়কেন্দ্রের পরিদর্শনপূর্বক ব্যবহার উপযোগী করা
২. আশ্রয়কেন্দ্রগুলোর চাবি সংরক্ষণকারীর নাম ও মোবাইল নাম্বার সংরক্ষণ করা
৩. আশ্রয়কেন্দ্রগুলোর বিদ্যুৎ, স্যানিটেশন, পানীয় জল ইত্যাদির সুব্যবস্থা নিশ্চিত করা
৪. আশ্রয়কেন্দ্রভিত্তিক সেচ্ছাসেবকদের ফোকাল পয়েন্টের নাম ও মোবাইল নাম্বার সংরক্ষণ করা এবং জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পাঠানো
৫. জনসাধারণকে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে আনার লক্ষ্যে সর্বোচ্চ পূর্বপ্রস্তুতি গ্রহণ করা
৬. পর্যাপ্ত পরিমান শুকনো খাবার, মোমবাতি, দিয়াশলাই ইত্যাদি প্রত্যেক উপজেলায় মজুদ রাখা
৭. প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সামগ্রীসহ মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা
৮. নৌযানসহ প্রয়োজনীয় যানবাহন প্রস্তুত রাখা
৯. আশ্রয়কেন্দ্রের সংযোগ সড়কসমূহ পরিদর্শকপূর্বক চলাচল উপযোগী করা
১০. সেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা
১১. প্রয়োজনে উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন, পৌর ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন ওয়ার্ড দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা করে পরিস্থিতি অনুযায়ী সম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবেলায় সর্বোচ্চ প্রস্তুতি গ্রহণ করা। সভার এ সিদ্ধান্ত মোতাবেক ব্যবস্থা নিতে পৌরসভার মেয়র,সকল উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কমকর্তাকে চিটি পাঠানো হয়েছে বলে জানান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক বিভীষণ কান্তি দাশ।
সভায় জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা বলেন, জেলায় বিদ্যমান ৫৭৬টি আশ্রয়কেন্দ্রে ৫লাখ ৫হাজার ৯৯০ জন লোকের ধারণক্ষমতা রয়েছে। প্রতিটি আশ্রয়কেন্দ্রে শেল্টার ম্যানেজমেন্ট কমিটি রয়েছে। উক্ত শেল্টার ম্যানেজমেন্ট কমিটি এবং পৌর ও ইউনিয়ন ওয়ার্ড দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটিসমূহ সভা করে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে। সম্ভাব্য দুর্যোগ পরিস্থিতিতে মানবিক সহায়তা প্রদানের জন্য জেলার রিজার্ভে ১০লাখ ৩০ হাজার টাকা, ৪৯০ মে.টন চাল, ১৯৪ বান্ডিল ঢেউটিন মজুদ রয়েছে।

সভার সভাপতি জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহিন ইমরান বলেন, ঘূর্ণিঝড় শুরু হওয়ার আগেই সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে যাবতীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। আশ্রয়কেন্দ্রভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবক নির্ধারণ, খুব ঝুঁকিপূর্ণ-ঝুঁকিপূর্ণ-কম ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিতকরণ, পর্যাপ্ত শুকনা খাবার মজুদ রাখা, ঝুঁকিপূর্ণ মানুষকে নিকটবর্তী আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসা, গবাদী পশু সংরক্ষণ ইত্যাদি দুর্যোগ মোকাবেলার ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও চ্যালেঞ্জিং ইস্যু।

তিনি এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলের বিশেষ করে জনপ্রতিনিধিদের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন। এছাড়া বিভিন্ন দপ্তরে কর্মরত সকল কর্মকর্তা/ কর্মচারী যাতে দুর্যোগ মুহুর্তে সরকারি ছুটির দিনে কর্মস্থল ত্যাগ না করেন সে বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করেন। I আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী, , বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড এর প্রতিনিধি, সিপিপির উপপরিচালক , ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স এর প্রতিনিধি, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি এর প্রতিনিধি, জেলা পুলিশের প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টরা।

আরও খবর

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

জনপ্রিয় সংবাদ

You cannot copy content of this page