Thursday, May 16, 2024

ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা :’ কক্সবাজারেও আঘাত হানার আশংকা

টিটিএন রিপোর্ট:

ঘূর্ণিঝড় মোখা (সম্ভব্য) অত্যন্ত তীব্র ঘূর্ণিঝড় হিসাবে ঘণ্টায় ১৮০ থেকে ২০০ কিলোমিটার বেগে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যের উপর দিয়ে স্থল ভাগে আঘাত করার আশংকা করা যাচ্ছে।

বঙ্গোপসাগরের বিভিন্ন অংশের সমুদ্র পৃষ্ঠের তাপমাত্রা, ২৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রার পানির গভীরতা, উ-লম্ব বায়ু শিয়ারের মান, ভারত উপমহাদেশের উপর জেটষ্ট্রিমের অবস্থা ও চলার গতির তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে এর পরে সেই বিশ্লেষণের সাথে বিভিন্ন আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ পূর্বাভাস এর সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করা হয়। উপরোক্ত তথ্য ও আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ পূর্বাভাসের আলোকে আশংকা করা যাচ্ছে যে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মোখা আগামী রবিবার (১৪ ই মে) সকাল ৬ টার পর থেকে ১৫ ই মে সকাল ৬ টার মধ্যে অত্যন্ত তীব্র ঘূর্ণিঝড় হিসাবে ঘণ্টায় ১৮০ থেকে ২০০ কিলোমিটার বেগে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও মায়ানমারে রাখাই রাজ্যের মং-ডু জেলার উপর দিয়ে স্থল ভাগে আঘাত করবে।

ছবি বর্ণনা: ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ইন্টিগ্রেটেড ফোরকাস্ট সিস্টেম নামক আবহাওয়া মডেল (ECMWF Integrated Forecasting System) হতে প্রাপ্ত ঘূর্ণিঝড় মোখার ৫১ টি সম্ভব্য যাত্রাপথ ও বাতাসের গতিবেগের চিত্র। এই চিতটিকে আবহাওয়া বিজ্ঞানের ভাষায় এনসেম্বল আবহাওয়ার পূর্বাভাস (Ensemble weather forecast) বলা হয়।

স্থল ভাগে আঘাতের স্থানটি নিয়ে এখনও সামান্য পরিমাণ অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে যার কারণে ঘূর্ণিঝড়টি মায়ানমারের দিকে কিংবা বরিশাল বিভাগের দিকে সামান্য পরিমাণ ঝুঁকে পড়তে পারে। অর্থাৎ, ঘূর্ণিঝড়টির চট্টগ্রাম ও নোয়াখালী জেলার উপর দিয়ে অতিক্রম করার কিছু সম্ভাবনা রয়েছে। একি ভাবে ঘূর্ণিঝড়টি কিছুটা ডান দিকে সরে গিয়ে কক্সবাজার ও মায়ানমারে রাখাই রাজ্যের মং-ডু জেলার উপর দিয়ে স্থল ভাগে আঘাত করার কিছু সম্ভাবনা রয়েছে।

উপরে উল্লেখিত গতিবেগে ঘূর্ণিঝড় মোখা চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার উপকূলের উপর দিয়ে অতিক্রম করার সময় এই দুই জেলার উপকূলীয় এলাকাগুলো ১৫ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হওয়ার আশংকা রয়েছে। বরিশাল বিভাগের উপকূলীয় এলাকাগুলোতে ৭ থেকে ১০ ফুট ও খুলনা বিভাগের উপকূলীয় জেলাগুলো ৫ থেকে ৮ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হওয়ার আশংকা রয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় মোখা এর কেন্দ্র কক্সবাজার জেলার সেন্টমার্টি দ্বীপ, টেকনাফ, কুতুবদিয়া, ও মহেশখালী উপজেলার উপর দিয়ে অতিক্রম করার সম্ভাবনা আছে। ঘূর্ণিঝড় মোখা (সম্ভব্য) টেকনাফ উপজেলায় অবস্থিত রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরগুলোর উপর দিয়ে অতিক্রম করার আশংকা প্রবল।

এর প্রভাবে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলায় ২৫০ থেকে ৪০০ মিলিমিটার, বরিশাল বিভাগ ও পার্বত্য চট্টগ্রামের জেলাগুলোর উপর ২০০ থেকে ৩০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হওয়ার আশংকা করা যাচ্ছে।

খুলনা বিভাগের জেলাগুলোতে ১৫০ থেকে ২৫০ মিলিমিটার; ঢাকা ও সিলেট বিভাগের জেলাগুলোতে ১০০ থেকে ২০০ মিলিমিটার, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের জেলাগুলোতে ৫০ থেকে ১০০ মিলিমিটার ও ময়মনসিংহ বিভাগের জেলাগুলোতে ১০০ থেকে ১৫০ মিলিমিটার বৃষ্টির হওয়ার আশংকা করা যাচ্ছে।

তথ্যসূত্র: মোস্তফা কামাল পলাশ

আরও খবর

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

জনপ্রিয় সংবাদ

You cannot copy content of this page