Tuesday, May 7, 2024

কোটি টাকায় সৌন্দর্যবর্ধনের পুকুর ছেঁয়ে গেছে আবর্জনায়

মুরাদ মাহমুদ চৌধুরী:

ইট-কংক্রিট আর জ্যাম-জঞ্জালের শহরে সৌন্দর্য বর্ধন ও শহরবাসীর অবসর সময় কাটাতে বাজারঘাটার নাপিতা পুকুরসহ প্রায় পরিত্যক্ত ৩টি পুকুরে ৩৬কোটি টাকা ব্যয়ে সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। যেখানে সবুজ বেষ্টনী, সাইকেল স্ট্যান্ড, পুকুরের পাড় বাঁধাই, ওয়াকওয়ে নির্মাণ, রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণ, আলোকসজ্জা, বিদ্যুতায়ন, পয়:নিষ্কাশন ও পানি সরবরাহ ব্যবস্থা রয়েছে। পুকুরের চারপাশ তদারকি ও পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য প্রতিটি পুকুরে তদারকি থাকা স্বত্ত্বেও আবর্জনায় দুষিত হয়ে পড়ছে পুকুর। খাবারের উচ্ছিষ্ট, ডাবের খোসা, প্লাস্টিকের বোতল, চায়ের কাপ, পলিথিনের ব্যাগ, সিগারেটের বাঁট সহ বিভিন্ন মানুষের ব্যবহৃত বর্জ্য দুষিত করেছে পুকুরের আশপাশ। এছাড়া রাতের আঁধারে উৎ পেতে থাকা ছিনতাইকারীদের নিরাপদ আস্তানায় পরিণত হয়েছে পুকুরের পাড়।

বিকেলে ওয়াকওয়েতে হাটতে আসা স্থানীয় পথচারী সাইফ উদ্দিন বলেন, “কউক পরিত্যক্ত স্থানটিকে পরিপূর্ণ করেছে সৌন্দর্য দিয়ে। সেই স্থান যদি আবারো আবর্জনায় পরিত্যক্ত হয়ে যায় তাহলে এই উন্নয়ন করে লাভ কি।”

তবে স্থানীয় উন্নয়ন কর্মী জিয়া উদ্দিন বাবলু জানান, “ পুকুরের পাশে থাকা দোকান থেকে সাধারণ মানুষ চা-সিগারেট পান করে তাদের উচ্ছিষ্ট গুলোই আড্ডা দিতে দিতে পুকুরে ফেলে দেয়।”

বেষ্টুনিতে আড্ডা দিতে আসা একদল তরূন জানান, “আবর্জনা নির্দিষ্ট স্থানে ফেলার জন্য পর্যাপ্ত ডাস্টবিনের ব্যবস্থা থাকলে সেগুলো মানুষ ব্যবহার করতে পারতো।”

এদিকে খবর নিয়ে জানা গেছে, পুকুরের বেষ্টুনি পরিচ্ছন্ন রাখা এবং নিরাপত্তা বৃদ্ধির ব্যাপারে খুব শীঘ্রই ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ।

তবে চারপাশ পরিচ্ছন্ন রাখার ব্যাপারে নাগরিকদের মধ্যে সচেতনতাবোধ এবং নির্দিষ্ট স্থানে বর্জ্য ফেলার মানসিকতা থাকাটাও জরুরী বলে মনে করছেন সচেতনমহল।

আরও খবর

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

জনপ্রিয় সংবাদ

You cannot copy content of this page