বিশেষ প্রতিনিধি :
স্থল বন্দরে খালাস না হয়ে মায়ানমার থেকে প্রায় ১০০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ টেকনাফ পৌর এলাকার ট্রানজিট জেটি দিয়ে বাংলাদেশে আনা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, শুল্ক ফাঁকি দিয়ে এই পেঁয়াজ গুলো এনেছে আন্তর্জাতিক চোরাচালানে জড়িত একটি সিন্ডিকেট।
জানা গেছে, রাখাইনের মংডু থেকে পণ্যবাহী একটি ট্রলার শুক্রবার বিকেলে টেকনাফ বন্দরে নোঙ্গর করে।
ট্রলারের পণ্যগুলো বন্দরে খালাস না হলেও সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদি নিয়ন্ত্রিত এমপি জেটি হিসেবে স্থানীয়ভাবে পরিচিত দুইদেশের ট্রানজিট জেটি দিয়ে তোলা হয় ট্রাকে।
রাত ৮ টার দিকে অই জেটি থেকে পেঁয়াজ বেশ কয়েকটি ট্রাক টেকনাফ পৌর শহরে প্রবেশ করে, নিয়ে যাওয়া হয় আব্দুর রহমান বদির বাসায়।
স্থানীয় সাংবাদিক নুরুল করিম রাসেল তাঁর ফেসবুক ওয়ালে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে প্রশ্ন করেন, ট্রানজিট দিয়ে খালাস হওয়া পেঁয়াজগুলোর ড্রাফট কই?।
এছাড়াও তিনি লিখেন, ” আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সামনে যদি কোন কাগজ পত্র ছাড়া বিদেশী পণ্য খালাস হতে পারে তাহলে এভাবে লোকচক্ষুর অন্তরালে কত মাদক ও স্বর্ণ খালাস হতে পারে প্রতিরাতে?”
এদিকে বদিপুত্র শাওন ফেসবুকে ঘোষণা দিয়েছেন,শনিবার টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ৮০ টাকা দামে পেয়াজ বিতরণ করবেন তার পিতা।
শাওনের দাবি, প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সুনাম রক্ষার্থে বদি এই উদ্যোগ নিয়েছেন।
এছাড়া মেয়ে সামিয়া রহমানের ফেসবুক প্রোফাইলের স্টোরিতেও দেখা গেছে মজুদ করা পেঁয়াজের ছবি।
এব্যাপারে জানতে চেয়ে আব্দুর রহমান বদির মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাড়া দেন নি। এছাড়াও টেকনাফ স্থল বন্দরে যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি খালাস হওয়া পেয়াজগুলোর হদিস।