Thursday, May 16, 2024

ঘুর্ণিঝড়ের আগাম সতর্কবার্তা পাননি উপকূলবাসী

সানজীদুল আলম সজীব: 

 

ঘূর্ণিঝড়ে হঠাৎ করে কিছু বুঝে উঠার আগেই ভয়াবহ পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছে কক্সবাজার উপকূলবাসী। আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ারও সময় পাননি তারা। এমনকি দুর্যোগ পূর্বকালীন কোনো সতর্কবার্তাও পাননি বলে জানান ক্ষতিগ্রস্তরা। বুধবার সকালে প্রতিবেদকের কাছে এসব কথা বলেন কক্সবাজারের কুতুবদিয়া পাড়ার বাসিন্দা সিরাজুল হক।

মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় আঘাত হানা ঘুর্ণিঝড় হামুনে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে কক্সবাজার। এখনো রাস্তায় রাস্তায় পড়ে আছে বৈদ্যুতিক খুটি এবং গাছ। দেয়াল ধ্বসে পড়ে এবং গাছ পড়ে এ পর্যন্ত ৩ জন নিহতের পাশাপাশি আহত হয়েছে শতাধিক।

জানা গেছে কক্সবাজারের পৌর এলাকা, মহেশখালী , কুতুবদিয়া, চকরিয়া উপজেলার বিভিন্ন স্থানে কয়েক হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিচ্ছিন্ন রয়েছে বিদ্যুৎ ও মোবাইল নেটওয়ার্ক সংযোগ।

এদিকে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য জানাতে না পারলেও জেলা প্রশাসক শাহীন ইমরান বলেন, আপাতত বিদ্যুৎ ও মোবাইল নেটওয়ার্ক সংযোগ স্বাভাবিক করা ও সড়ক যোগাযোগ স্বাভাবিক করতে কাজ করছেন তারা।

পাশাপাশি যাদের ঘর বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সবাইকে ঢেউটিন সহ খাদ্য সহয়তা প্রদান করা হবে।

সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক জানান যতোটুকু সম্ভব পুনর্বাসন কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। উর্ধতন মহলেও যোগাযোগ করা হচ্ছে সার্বিক বিষয়ে।

আশেক উল্লাহ বলেন, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মাধ্যমে ত্রাণ কার্যক্রম চলছে। মহেশখালীতে ১ জন নিহত ও বেশ কয়েকজন সাপের কামড়ে আহত হয়েছে।

এদিকে কক্সবাজার বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে, বেশিরভাগ জায়গায় বিদ্যুৎ এর খুঁটি ভেঙে গেছে এবং ট্রান্সফরমার বিকল হয়ে গেছে তাই বিদ্যুৎ পুরোপুরি ঠিক হতে দুইদিন সময় লাগতে পারে।

আরও খবর

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

জনপ্রিয় সংবাদ

You cannot copy content of this page