আব্দুর রশিদ মানিক:
কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক পর্যটন দিবসের আয়োজন সপ্তাহব্যাপী পর্যটন মেলা বীচ কার্নিভালের তৃতীয় দিন নানান আয়োজনে রঙিন ছিলো।
শুক্রবার সকালে কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া ঘাট থেকে শুরু হয় নৌ র্যালী। কক্সবাজার মহেশখালী নৌ রুটের মহেশখালী চ্যানেলের সৌন্দর্য এবং ব্লু ইকোনমিকে প্রমোট করার জন্য টুয়াকের এমন আয়োজন বলে জানান টুয়াকের সভাপতি আনোয়ার কামাল।
এসময় প্রধান অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক। সেখানে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান, টুয়াকের উপদেষ্টা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মফিজুর রহমান সহ অনেকে।
বিকেলে অনুষ্ঠিত হয় বীচ ম্যারাথন। কলাতলী পয়েন্টে ম্যারাথনের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান। এসময় তিনি বলেন, কক্সবাজার বিশ্বের অবিচ্ছেদ্য দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত। এখানে অনেক আন্তর্জাতিক ইভেন্ট আয়োজন করা সম্ভব।
বীচ ম্যারাথনে ১৫০ এ্যাথলেথিক অংশ নিয়েছিলো সেখান থেকে পাঁচজনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। তাদেরকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে করা হবে পুরষ্কৃত।
এসময় বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুল ইসলাম, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন সহ অনেকে।
এরপর পরপরই সৈকতের লাবণী পয়েন্টে শুরু হয় ঘুড়ি উৎসব। এটিরও উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান। এসময় তিনি নিজেই উড়ান ঘুড়ি। এসময় তিনি বলেন, পর্যটকদের কক্সবাজারে আকৃষ্ট করার জন্য এমন আয়োজন। কালকেও অনুষ্ঠিত হবে ঘুড়ি উৎসব। সবাইকে ঘুড়ি উৎসবে অংশ নেওয়ার আহ্বানও জানান জেলা প্রশাসক।
সন্ধ্যায় শুরু হয় ”পর্যটন আবাসন খাতে বিনিয়োগ: সম্ভাবনা ও প্রতিবন্ধকতা’ শীর্ষক সেমিনার। কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাহেদ সরওয়ার সোহেলের সঞ্চালনায় এবং জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরানের সভাপতিত্বে এসময় আলোচক হিসেবে ছিলেন সংসদ সদস্য জাফর আলম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান, কক্সবাজার সিটি কলেজের অধ্যক্ষ ক্য থিং অং, কক্সবাজার প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুল ইসলাম, বসুন্ধরা গ্রুপের কর্মকর্তা আবু হেনা, বীর মুক্তিযোদ্ধা কামাল হোসেন।
এরপর উদ্বোধন হয় “দি বিউটি সার্কাস” পরে শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
সবখানেই ছিলো হাজার হাজার পর্যটক এবং স্থানীয় দর্শনার্থীদের অংশগ্রহণ।