আব্দুর রশিদ মানিক:
হাততালির আওয়াজ শুনেই শুরু হয়েছে কম্পিউটারের কার্যক্রম। এরপর কণ্ঠ শব্দে যে নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে সেটাই ঠিকমতো করে দিচ্ছে কম্পিউটার।
শুনতে হলিউড চলচ্চিত্র আইরনম্যানের এআই জার্ভিসের দৃশ্য মনে হলেও, কক্সবাজার বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুল এ্যান্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ফেরদৌস হোসাইন নাজাত আইরনম্যান চলচ্চিত্র দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে পাইথন প্রোগ্রামিং এ কোডিং করে তৈরি করেছে এমন প্রযুক্তি। যার নাম দেওয়া হয়েছে এআই জার্ভিস।
এআই জার্ভিস ভয়েস কোশ্চেন শুনেই করে দিতে পারবে নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজ। ভয়েস ইন্সট্রাকশন শুনে আবহাওয়ার পরিস্থিতি, ট্রাফিক, গান শুনানো, কম্পিউটার এর সুনির্দিষ্ট এ্যাপ-ফাইল খোলা বা বন্ধ করা যাবে যেটির মাধ্যমে।
১৫ বছর বয়সী ফেরদৌস হোসাইন নাজাত টিটিএনকে জানান, ইউটিউব থেকে পাইথন শিখে এআই জার্ভিসকে তৈরি করতে সময় লেগেছে তিন মাস। তার নিজের কাজ করানোর জন্য এসিস্ট্যান্ট এর কথা চিন্তা করেই এআই জার্ভিস তৈরি করা হয়েছে।
নাজাতের এআই জার্ভিস তৈরিতে অনুপ্রেরণা, সাহস এবং সহযোগিতা করেছে তার বন্ধু শাহরিয়ার চৌধুরী রাজ, ওয়াসিফ ইশতিয়াক খান, নেপিয়ার বিশ্বাস এবং মোহাম্মদ সামিন আহনাফ। তারা পাঁচজন নতুন করে এআই ইনোভেটরস নামের একটি দলও তৈরি করেছে।
নাজাতের পিতা মিরাজ হোসেন জানান, পড়ালেখা না করে মোবাইল এবং কম্পিউটার ব্যবহারের কারণে শাস্তিও দিয়েছে কয়েকবার। ছেলের এমন উদ্ভাবন দেখে অবাক তিনি নিজেও।
বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুল এ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মুহাম্মদ ইয়াছিন আরাফাত এই শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা করা এবং অন্যান্য শিক্ষার্থীদের এবিষয়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে জানিয়ে বলেন, স্মার্ট যুগে সকল অভিভাবক এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের প্রযুক্তি বিষয়ে সহযোগিতা এবং অনুপ্রাণিত করা উচিত।
এআই জার্ভিস এখনো ডেভেলপমেন্ট ভার্সনে আছে। যেটি রূপ দেওয়া হবে এ্যাপে। এআই জার্ভিসের মাধ্যমে পুরো ঘর এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকেও করা যাবে নিয়ন্ত্রণ। এর জন্য প্রয়োজন হবে অরডৈনো অটোমেশন সিস্টেম। সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতা পেলেই এই কার্যক্রমকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে চান এই শিক্ষার্থীরা।