আব্দুর রশিদ মানিক:
উত্তাল সমুদ্র। একের পর এক ঢেউ এসে আঘাত করছে পাড়ে। ঢেউয়ের আঘাতে উপড়ে যাচ্ছে ঝাউগাছ, তলিয়ে যাচ্ছে জিওব্যাগ। তছনছ হচ্ছে বালিয়াড়ির রাস্তা ও বিভিন্ন স্থাপনা। সমুদ্রের এমন বিরূপ আচরণ দেখে অবাক পর্যটকরা।
ঢাকা থেকে ঘুরতে আসা সামির আহমেদ টিটিএনকে বলেন, আমি এর আগে বহুবার কক্সবাজারে ঘুরতে এসেছি। এরকম উত্তাল সমুদ্র এর আগে কখনো দেখিনি। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্য দিনদিন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সাগরে নামতেও ভয় করছে। সমুদ্র খুব উত্তাল।
আরেক পর্যটক মাহাসিন বলেন, সমুদ্রের বড় বড় ঢেউ আর গর্জন দেখে খুব ভালো লাগছে। এরকম উত্তাল সমুদ্র দেখা যায় বিরল। আমরা সৌভাগ্যক্রমে দেখলাম।
কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ড. তানজীর সাইফ আহমেদ ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত সৈকত এলাকা পরিদর্শনে এসে জানান, পূর্ণিমার ভরা কাঠালের পাশাপাশি নিম্নচাপের কারণে জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ থেকে ৪ ফুট উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে। এতে কক্সবাজারের উপকূলীয় অঞ্চলসহ সমুদ্র সৈকতে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। উপকূলীয় অঞ্চলের বিভিন্ন জায়গার বাঁধ ভেঙে পানি প্রবেশ করেছে। মহেশখালীর মাতারবাড়ী, ধলঘাটার জিওব্যাগ ভেঙে তা টপকিয়ে পানি প্রবেশ করেছে। পাশাপাশি কুতুবদিয়া উপজেলার উত্তর ধুরুং এলাকার একটি অংশে বাঁধ টপকিয়ে পানি প্রবেশ করেছে। এলাকাগুলো পরিদর্শন করা হয়েছে।
ভাঙন প্রতিরোধে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এছাড়া উপকূলীয় অঞ্চলে ভাঙন এলাকায় প্রাথমিকভাবে প্রতিরক্ষা বাঁধ দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে বলেও জানান নির্বাহী প্রকৌশলী ড. তানজীর সাইফ আহমেদ।
এছাড়াও তীব্র ভাঙনের মুখে পড়েছে মেরিন ড্রাইভ সড়ক। মেরিন ড্রাইভ সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন অংশ ইতোমধ্যে মেরামত করা হচ্ছে।