শাহেদ হোছাইন মুবিন :
কক্সবাজারে বডি ম্যাসেজ করার জন্য ভাড়া পাওয়া যায় মেয়ে এমনই এক শিরোনামে মাহী ভিশন বিডি ও নয়া পাগল নামের দুইটি ফেইসবুক পেইজ থেকে একটি ভিডিও কনটেন্ট প্রকাশ হলে আলোচনার ঝড় উঠে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ভিডিওটি বেশ ভাইরালও হয়।
তবে আদৌ কি কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে জনসম্মুখে এভাবে বড়ি ম্যাসাজ সার্ভিস দেয়া হয়? তা জানতে সরেজমিনে অনুসন্ধানে সমুদ্র সৈকতে টিম টিটিএন।
ভিডিওটিতে প্রথমে কলাতলি বিচ পয়েন্টের চিত্র দেখানো হয়। যেখানে দেখা যায় ২৪ নাম্বার চেয়ারে ভিডিওটি ধারণ করা হয়েছিল। তাই টিম টিটিএন বিচ কর্মীদের সহায়তায় ২৪ নং চেয়ার খুজতে শুরু করে। কিন্তু কলাতলী বিচ পয়েন্টে থাকা ২৪ নম্বর চেয়ারের সাথে ভিডিওতে দেখানো ২৪ নাম্বার চোয়ারের কোনো সামঞ্জস্যতা পাওয়া যায়নি।
এবার টিম টিটিএন সেই ২৪ নং চেয়ারের খুঁজে সুগন্ধা পয়েন্টে । সেখানে দীর্ঘক্ষণ খোঁজাখুজির পর অবশেষে পাওয়া গেলো সেই ২৪ নম্বর চেয়ার। এরপর চেয়ারের দায়িত্বে থাকা কর্মচারীর সাথে কথা হয়। তিনি জানান আপত্তিকর এই ভিডিও ধারণ করার সময় নিষেধ করা হলে তারা একটি টেলিভিশনের সাংবাদিক পরিচয় দেয়।
এরই মধ্যে টিম টিটিএনের হাতে আসে কিছু ভিডিও। যাতে দেখা যায় কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ভিডিও বানানো এসব অভিনেতা অভিনেত্রীদের। তারা ঢাকায় ইউটিউব কন্টেন্ট তৈরিতে বিভিন্ন চরিত্রে ভাড়ায় অভিনয় করেন । যার প্রমাণ তুলে ধরা হলো।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বডি ম্যাসাজের ভিডিও সম্পর্কে কক্সবাজারে আগত পর্যটকদের কাছে জানতে চাইলে তারা জানায় , এর আগেও একাধিক বার কক্সবাজার আসলেও এমন কোনো কিছু চোখে পড়েনি। তবে যে উদ্দেশ্যে ভিডিও করা হোক না কেন এটির ফলে পর্যটন নগরীর ভাবমূর্তির উপর আঘাত এসেছে ।
ভিডিওটি নিয়ে কক্সবাজারের স্হানীয় জনসাধারণের মাঝে চলছে ব্যাপাক আলোচনা সমালোচনা। তারা বলছে এটি যে বা যারা করেছেন , উদ্দেশ্যমূলকভাবে কক্সবাজারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্যই করেছে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইয়ামিন হোসেন জানান, “কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের কোন পয়েন্টেই এই ধরনের কোন কর্মকাণ্ডের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায় নি । তবে কোনোভাবে এধরণের অনৈতিক কার্যকলাপের প্রমাণ মিললে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
চেয়ারের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারও ধারণা বাস্তবে কিটকট চেয়ারে বডি ম্যাসেজের জন্যে নারী পাওয়া যায় না, এরা নিজেরা অভিনয় করে ভিডিওটি বানিয়েছে। বাস্তবে কোন কিছুরই অস্তিত্ব নেই।
তবে এমন মিথ্যা তথ্য দিয়ে পর্যটন শহরের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে ভিডিও কনটেন্ট নির্মাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি কক্সবাজারের সচেতন মানুষদের ।