Thursday, May 16, 2024

ঈদ ঘিরে মসলার অগ্নিমূল্যে পকেট পুড়ছে ক্রেতাদের

শাহেদ হোছাইন মুবিন :

ঈদুল আজহার বাকি আছে আর মাত্র তিনদিন। এই ঈদে পেঁয়াজ, আদা, রসুন, জিরা, হলুদ, মরিচ, দারুচিনি, এলাচ, লবঙ্গসহ মসলাজাতীয় সব পণ্যের চাহিদা থাকে বেশি। আর তাই ঈদের সপ্তাহখানেক আগে থেকেই কক্সবাজার শহরের বাজার গুলোতে মসলার ঝাঁজ তুঙ্গে উঠেছে। এতে সংসারের চাহিদা পূরণ করতে গিয়ে সমাজের মধ্যবিত্ত নিম্নবিত্ত সাধারণ মানুষ রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন।

বরিবার ( ২৫ জুন ২০২৩) সকালে কক্সবাজার শহরের বড় বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি জিরা ৮৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা ১ মাস আগেও ছিল ৬০০ টাকা। ২৫০ টাকা কেজির কমে মিলছে না আদা যা কয়েক সপ্তাহ আগেও ১২০ টাকার বিক্রি হয়েছে। চীন থেকে আমদানি করা ভালোমানের আদার দাম উঠেছে কেজিপ্রতি ৪০০ টাকায়। অথচ মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগেই এ পেঁয়াজ ও আদার দাম ছিল বর্তমান দামের অর্ধেক। রসুনের দাম ৩০ টাকা বেড়ে কেজি প্রতি পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ১৪৮ টাকায়, যার মধ্যে দেশীয়গুলো ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শুকনো মরিচ ১১০ টাকা কেজি থাকলেও এখন ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর ভারতীয় মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৪২০ টাকায়। লবঙ্গ পাইকারিতে কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৪০০ টাকায় যা আগে ছিল ৯০০ টাকা। বাজারে এলাচ বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ১৫০০ টাকায়, দারুচিনি বিক্রি হচ্ছে ৪২০ টাকায়। এছাড়াও
মাত্র একদিনের ব্যবধানে বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ০৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকায়।

বাজারে মসলা কিনতে আসা কয়েকজন ক্রেতার সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, ঈদকে সামনে রেখে মানুষের যেসব পণ্যের প্রতি চাহিদা থাকে, সেগুলোর দাম সবসময় বাড়ে। এবারও ব্যতিক্রম ঘটেনি। ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কাছে সরকারও জিম্মি। এতে ভোগান্তিতে পড়ে সাধারণ মানুষ।

বড় বাজারে বাজার করতে আসা ছেনুয়ারা আক্তার নামের এক গৃহিণী বলেন, ৫ হাজার টাকার বাজার করলেও চোখে পড়ে না। মসলার পাশাপাশি অন্যান্য সব পণ্যের দাম বেশি। এভাবে চললে চলার উপায় থাকে না। একতো ঈদের খরচ, এর মধ্যে বাজারে সবকিছুর দাম বেশি। সরকারের উচিত নিয়মিত বাজার তদারকি করা, অন্যথায় সাধারণ মানুষের টিকে থাকা দায় হয়ে পড়বে।

কুতুবউদ্দিন নামে বাজারের এক ব্যবসায়ী বলেন, খোলা মসলা ছাড়াও প্যাকেটজাত মসলার দামও অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। প্রতিটি রাঁধুনির মসলার দাম ১০ থেকে ২০০ টাকা বেড়েছে। আমাদের কেনা ও খরচ পড়ছে বেশি। সাধারণ মানুষ কী করবে, ক্রয় করতে বাধ্য হচ্ছে। কারণ সব জায়গায় দাম বেশি।

একাধিক ব্যবসায়ীরা জানান, ঈদের আগে বাজার স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবে ঈদের পর দাম কমতে পারে বলে জানিয়েছেন তারা।

নিত্যপণ্যের দাম সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে আনতে সরকারের কঠোর তদারকির দাবি ক্রেতাদের।

আরও খবর

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

জনপ্রিয় সংবাদ

You cannot copy content of this page