শাহিদ মোস্তফা শাহিদ:
কক্সবাজারের নবসৃষ্ট ঈদগাঁও উপজেলার ৩ ইউনিয়নের ২০ টির এলাকায় পাহাড়ের ঢালে,খাদে কেউ কেউ আবার সুড়ঙ্গ খুঁড়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে বসবাস করছে স্থানীয়রা। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরদারি ও উদাসীনতায় এ প্রবনতা দিনদিন বৃদ্ধি পেয়েছে বলে অভিযোগ সচেতন মহলের। সরেজমিন ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামপুর,ইসলামাবাদ,ঈদগাঁও ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে এমন দৃশ্য। অধিক ঝুঁকিপূর্ণ জেনেও তারা অল্প টাকায় রিজার্ভ জমি ক্রয় করে সেখানে বসতি গড়ে তুলছে।স্থানীয় সচেতন সমাজের প্রতিনিধিরা বলছে,প্রচন্ড বাতাস আর বৃষ্টি হলে পাহাড়ী এলাকায় বসবাসকারী লোকজন পাহাড় ধসের চরম আতঙ্কে দিনাতিপাত করে প্রতিনিয়ত।সরেজমিনে আরো দেখা যায়, অনেকে পাহাড় কেটে সমতল ভূমিতে পরিণত করেছে। তারা পাহাড় কেটে বসতবাড়ীও করছে। তাছাড়াও প্রায়শ এলাকায় পাহাড় কাটা অব্যাহত থাকায় পাহাড়ের নিচে থাকা জমি গুলো বালি ও মাটিতে ভরে যাচ্ছে। এদিকে পাহাড়ের পার্শ্ববর্তী লোকজনের ভোগান্তি ও দূর্ভোগ বেড়ে যায়। অন্যদিকে চলমান বর্ষা মৌসুমে কাটা পাহাড়ে ফাটল সহ পাহাড় ধসে পড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করছেন এলাকার সচেতন মহল। এ ভাবে ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ের লোকজনকে যদি বর্ষা মাসে অন্যত্রে সরিয়ে নিয়ে না যায় তা হলে পার্বত্য অঞ্চলের মতো পাহাড় ধসে প্রাণহানি ঘটতে পারে। খোঁজ খবর ও সরেজমিনে দেখা যায়, ইসলামপুর ইউনিয়নের পূর্ব নাপিত খালী দুদুমিয়ার ঘোনা, জুমনগর, ভিলেজার পাড়া,হাজী পাড়া, মধ্যম নাপিত খালী,বামনকাটা, নতুন অফিস, চাকার দোকান, ইসলামাবাদের কাঞ্চনমালা, পশ্চিম গজালিয়া, গজালিয়া, হরিপুর, পূর্ব বোয়ালখালী,পূর্ব গজালিয়া,আউলিয়াবাদ ,ঈদগাঁওয়ের কালির ছড়া,শিয়া পাড়া, ভূতিয়া পাড়া, জঙ্গল মাছুয়াখালী, মাছুয়া খালী, মেহের ঘোনা, চান্দের ঘোনা, ভাদিতলা, দরগাহ পাড়া, শিয়া পাড়া, দক্ষিণ ভোমরিয়া ঘোনাসহ বিভিন্ন স্থানে ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে বসবাস করে আসছে ২০/২৫ হাজার মানুষ। এদিকে পাহাড় কাটা, রিজার্ভ জমি ক্রয় বিক্রি, দখল করে স্থাপনা নির্মান ও বসতি গড়ে তোলা অপরাধ হলেও অনেকে আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে স্থানীয় বন কর্মকর্তা, কর্মচারী, হেডম্যান, ভিলেজারদের ম্যানেজ করে অপকর্ম অব্যাহত রেখেছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা।ইসলামপুরের আবুল বশর, মুফিজর রহমানসহ অনেকেই বলেন, ভারী বৃষ্টিপাত আর বাতাস হলে নির্ঘূম রাত কাটাতে হয় তাদের। কিছুদিন আগে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে ছৈয়দ আকবরের বাড়ীর উপরে পাহাড় থেকে মাটি নিচে নেমে এসে বাড়ীর দেওয়ালের সাথে ধাক্কা লাগে,তবে হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে জানান ছৈয়দ আকবর।তা দের মতোই পাহাড়ের বসবাসকারীরা বলেন, সরকার পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করলে সরে যাবে। এ বিষয়ে জানতে ঈদগাঁও উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা ইউএনও মোঃ জাকারিয়ার কাছে জানতে কয়েকবার কয়েক বার কল করা হলেও রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।