সিয়াম সোহেল :
রামুর গর্জনিয়া ইউনিয়নের বড়বিল গ্রামে মিয়ানমারের অবৈধ গরু পাচারে বাঁধা দেওয়ায় স্থানীয় আবুল কাশেম (৪০) নামের এক কৃষককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ভোর রাতে তাঁকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে পাশের নারাইম্মাঝিরি পাহাড়ে গুলি করা হয়। সকাল ৬টায় স্থানীয় কাঠুরিয়া লাশ দেখতে পেয়ে পরিবারকে খবর দেয়।
নিহত আবুল কাশেমের ভাই মো: শহীদুল্লাহ কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গের সামনে সাংবাদিকদের জানান- ডাকাত শাহীন গ্রুপের ৪০জন সদস্য ভারী অস্ত্র নিয়ে তাঁর ভাইকে বাড়ি থেকে ডেকে পাহাড়ের দিকে নিয়ে যায় এবং পরে গুলি করে হত্যা করে। এ নিয়ে গত এক মাসে গর্জনিয়ায় গরু পাচারকে কেন্দ্র করে চারটি হত্যার ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জনায়- আবুল কাশেম কৃষিকাজের পাশাপাশি মোটরসাইকেলে ভাড়া মারেন। সম্প্রতি সে ডাকাত শাহীনের নেতৃত্বে পাচার হওয়া গরুর অবৈধ কাজে বাঁধা দেন। সে কারণেই তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। নিহত আবুল কাশেমের স্ত্রী বর্তমানে গর্ভবতী। তাঁর আরও একটি ৪ বছরের কন্যা সন্তান রয়েছে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর-সার্কেল) মো: মিজানুর রহমান জানান- ঘটনার পর পরই পুলিশ লাশ উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে নিয়ে গেছে। অপরাধীদের গ্রেপ্তারে পুলিশের প্রচেষ্টা চলমান আছে।
উল্লেখ্য: আন্ত:উপজেলার শীর্ষ ডাকাত মো: শাহীনুর রহমান ওরফে শাহীনের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সোর্স পরিচয়ে সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমার হতে অস্ত্র ও মাদক চোরাচালান, নাইক্ষ্যংছড়ি সহ রামু উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে হত্যা, ডাকাতি, মাদক ব্যবসা ও চোরাচালান, সীমান্তে গরু চোরাকারবারীদের সহযোগিতা ছাড়াও অস্ত্রের মুখে জোরপূর্বক জমি দখল, স্থানীয়দের মারধর ও হত্যার হুমকি সহ নানা অভিযোগ রয়েছে। ডাকাত শাহীনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে প্রায় ২২টির উপরে মামলা রয়েছে। ডাকাত শাহীন ও তার গং এর বিরুদ্ধে রামু উপজেলায় দিন দিন অপরাধমূলক কর্মকান্ড সংগঠিত করা সহ আধিপত্য বিস্তার লাভ করায় স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক ও নিরাপত্তাহীনতা দেখা দিয়েছে।