Saturday, May 18, 2024

কে পাচ্ছেন চেয়ারম্যানের আসন? নেপথ্যের চার কারণ

বিশেষ প্রতিনিধি

আর মাত্র কিছু ঘন্টা অপেক্ষা, বুধবার (৮ মে) সকাল ৮ টা থেকে ৪টা পর্যন্ত কক্সবাজার সদরের ২ লাখ ২২ হাজার ৯৯৬ জন ভোটার ইভিএমে ভোটাধিকার প্রয়োগ করে নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে নিয়ে যাবেন উপজেলার মসনদে।

আলোচিত এই নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন দুই হেভিওয়েট প্রার্থী, কার ভাগ্যে জুটতে পারে এই আসন? ভোটের মাঠে সেটির বিশ্লেষণে উঠে এসেছে নেপথ্যের চারটি কারণ।

প্রথমত, কক্সবাজার পৌরসভার ৬৭ হাজার ৫৭৭ জন ভোটারের মতামত বড় ভূমিকা রাখতে যাচ্ছে ফলাফলের পার্থক্য তৈরিতে।

আনারস প্রতীকের প্রার্থী মুজিবুর রহমান এক মেয়াদে মেয়র হয়ে সামলেছেন কক্সবাজার পৌরসভা। অতি সম্প্রতির এই সময়কাল জুড়ে তাকে ঘিরে ছিলো নানা বিতর্ক, তার দুর্নীতি ও ক্ষমতার দাপট। সেসব ফিরিস্তি বর্ণনা দিতে গিয়ে একটি জাতীয় টেলিভিশন করেছিলো সার্কাস্টিক শিরোনাম- ” কিং অব কক্সবাজার। ”

নিজস্ব বলয়ের সুবিধাভোগীরা মুজিবের পাশে আছেন ঠিকই, তবে পৌর এলাকার সর্বসাধারণের একটি বড় অংশ নীরবে মত দিবেন তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নুরুল আবছারকে এমন কথা সাধারণ ভোটারদের মুখে মুখে। মুজিবের এক মেয়াদের মেয়র থাকাকালীন নানা বিতর্ক, দুর্নীতি ও ক্ষমতার দাপট দেখলেও আবছারের ৪ মেয়াদে চেয়ারম্যান থাকাকালীন মানুষ একজন জনদরদী নেতা হিসেবে তাকে পেয়েছিলেন। প্রার্থী বেছে নিতে ভোটারদের মাঝে এসব কথা এখন তুমুল আলোচনায়।

চারবার মেয়র পদে আসীন ছিলেন মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী নুরুল আবছার, যখন মেয়র’কে বলা হতো চেয়ারম্যান। একাত্তরের রণাঙ্গনে লড়াই করা এই বীর মুক্তিযোদ্ধা পর্যটন শহরের প্রথম ও দ্বিতীয় প্রজন্মের কাছে বেশ জনপ্রিয়। গল্পে শোনে বড় হওয়া তৃতীয় প্রজন্মও এখন উন্মুখ- বিনয়ী ও স্মার্ট এই মানুষটির প্রতিনিধিত্ব দেখতে। ভোটের মাঠে অলিতে গলিতে বয়োবৃদ্ধরা তাই নুরুল আবছারকে দেখে সেসময়ের স্মৃতি আওড়িয়েছেন,উচ্ছ্বসিত হয়েছেন। এবার তরুণ প্রজন্মও উন্মুখ সেই গল্প শোনে বড় হওয়া আবছারের প্রতিনিধিত্ব দেখতে।

স্থানীয় এই নির্বাচনে রাজনৈতিক দলের ব্যানার না থাকায় বলা চলে সব দলের সমর্থকরাই আসবেন ৮২টি ভোট কেন্দ্রে, দ্বিতীয় কারণ হিসেবে এই প্রেক্ষাপট দৃশ্যমান ফলের সমীকরণে।

তবে, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে থাকা মুজিবের পাশে যেমন দলটির পদবীধারীরা আছেন তেমনিভাবে সাবেক সদস্য আবছারের তরীতে ভিড়েছেন অনেক হেভিওয়েট।

পাঁচ ইউনিয়নের মধ্যে শহরঘেষা ঝিলংজা ও খুরুশকুলে মুজিব-আবছারের লড়াই হবে জমজমাট। তবে অন্য তিন ইউনিয়নের প্রান্তিক ভোটাররা হবেন ভাগ্য নির্ধারণের তৃতীয় কারণ।

শেষ কারণ হতে পারে সংঘাত এবং সংশয়মুক্ত ভোটের পরিবেশ। প্রভাববিস্তারহীন ও প্রশাসনের নিরপেক্ষ অবস্থানের মাধ্যমে একটি সুন্দর নির্বাচনের দেখা মিললে যোগ্য ব্যক্তিই বসবেন তার প্রাপ্য আসনে।

আরও খবর

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

জনপ্রিয় সংবাদ

You cannot copy content of this page