কাব্য সৌরভ
আগামী ৮ মে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া মহেশখালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণকারী পোলিং কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে মহেশখালী উপজেলা নির্বাচন অফিস।
পোলিং কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণভুক্ত এমন একটি তালিকায় শিক্ষক দেখিয়ে দপ্তরির নাম অন্তর্ভুক্ত করার অভিযোগ উঠেছে মাতারবাড়ি তৈয়্যবিয়া তাহেরিয়া সুন্নিয়া বালিকা দাখিল মাদ্রাসার সুপার আবদুর রহমানের বিরুদ্ধে।
এই বিষয়ে জানতে ওই প্রতিষ্ঠানের দপ্তরি নুরুল আবছারের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি মাতারবাড়ি তৈয়্যবিয়া তাহেরিয়া সুন্নিয়া বালিকা দাখিল মাদ্রাসার দপ্তরি বলে স্বীকার করেন। দপ্তরি হয়েও পোলিং কর্মকর্তার প্রশিক্ষণের তালিকায় তাঁর নাম কিভাবে প্রস্তাবিত হলো তা জানতে চাইলে তিনি বলেন এবিষয়ে মাদ্রাসার সুপার বলতে পারবেন।
অভিযুক্ত মাদ্রাসা সুপার আবদুর রহমানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি স্বীকার করেন নুরুল আবছার ওই মাদ্রাসার দপ্তরি, কিন্তু মাঝেমধ্যে তিনি ইবতেদায়ী শ্রেণিতে ক্লাস করেন। প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক তালিকাভুক্ত না থাকা একজন ব্যক্তিকে শিক্ষক দেখিয়ে নির্বাচনের পোলিং প্রশিক্ষণের নাম প্রস্তাব করা সরকারের নির্বাচন বিধিমালা সম্মত কি না জানতে চাইলে তিনি কোনো সদুত্তর না দিয়ে ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন।
এই বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক জানান, নুরুল আবছার ওই মাদ্রাসার দপ্তরি, সে ইবতেদায়ী শ্রেণিতে ক্লাস করেন বিষয়টি অসত্য। তিনি আরো জানান, দপ্তরিকে শিক্ষক দেখিয়ে পোলিং কর্মকর্তার প্রশিক্ষণ করানোর মূল উদ্দেশ্য সরকারের এই নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে এমনটা করেছেন মাদ্রাসা সুপার। শুধু তাই নয়, জাতীয় নির্বাচনেও সুপার আবদুর রহমান দপ্তরি ও পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে পোলিং কর্মকর্তার প্রশিক্ষণের জন্য নাম তালিকাভুক্ত করেছিলেন।
এই বিষয়ে মহেশখালী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা বিমলেন্দু কিশোর পাল বলেন, পোলিং কর্মকর্তাদের তালিকায় যদি এমন কারো নাম অন্তর্ভুক্ত করে থাকে, তাহলে তদন্ত করে ওই প্রতিষ্ঠান প্রধানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।