নিজস্ব প্রতিবেদক:
১৭৩ বাংলাদেশি নাগরিক নিয়ে বাংলাদেশ-মিয়ানমারের জলসীমায় এসেছে মিয়ানমারের চিন ডুইন জাহাজ। বুধবার দুপুর ১ টায় চিন ডুইন জাহাজ থেকে বাংলাদেশি জাহাজ ‘ কর্ণফুলী টাগ-১’ জাহাজে করে কক্সবাজারের বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ঘাটে নিয়ে আসা হয় তাদের।
গতকাল ২৩ এপ্রিল সিতওয়ে বন্দর থেকে বাংলাদেশে জলসীমার উদ্যেশ্যে রওনা হয় জাহাজ চিন ডুইন।
বাংলাদেশি জাহাজে করে জলসীমা থেকে নুনিয়াছড়া ঘাটে আনার পর স্বজনদের সামনেই একে একে তাদেরকে জাহাজ থেকে নামানো হয়। বিজিবি, কোস্ট গার্ড ও পুলিশের কড়া নিরাপত্তাই হস্তান্তর প্রক্রিয়ার জন্য তৈরি করা অস্থায়ী তাবুতে নেওয়া হয় তাদের। সেখানে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতসহ বিজিবি ও কোস্টগার্ডের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া পুরো প্রক্রিয়াটিতে সকাল থেকেই উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রালয়ের স্থায়ী কমিটির সদস্য, জাতীয় সংসদের হুইপ ও কক্সবাজার-৩ এর সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, জাহাজে ফেরা ১৭৩ জন বাংলাদেশির মধ্যে ১২৯ জন কক্সবাজারের, ৩০ জন বান্দরবান, সাতজন রাঙামাটি- খাগড়াছড়ির এবং নোয়াখালী, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম, রাজবাড়ী, নরসিংদী, নীলফামারী জেলার একজন করে বাসিন্দা আছেন। এর মধ্যে ৩জন নারীও আছেন।
জানা যায়, বাংলাদেশি নাগরিকদের দ্রুত ও সহজে ফেরত আনার পরিকল্পনায় মিয়ানমারে থাকা বাংলাদেশি দূতাবাস মিয়ানমারের বিভিন্ন কারাগারে অবস্থানরত ১৪৪ জন যাচাই করা বাংলাদেশি নাগরিক, যাদের কারাভোগের মেয়াদ পূর্ণ হয়েছে বা ক্ষমা পেয়েছেন তাদেরকে সিতওয়ে কারাগারে আনতে উদ্যোগ নেয়।
পাশাপাশি আরও ২৯ জন যাচাই করা বাংলাদেশি নাগরিক, যারা এখনো কারাভোগরত কিংবা বিচারাধীন, একই সঙ্গে তাদেরও মুক্তি দেওয়ার বিষয়টি মিয়ানমারের কাছে তুলে ধরে বাংলাদেশ। যার ভিত্তিতে সাজা মওকুফ করে তাদেরও সিতওয়ে কারাগার থেকে দেশে আনা হয়েছে আজকে।
জানা গেছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যাচাই বাছাই শেষে আজকেই ১৭৩ জনকে নিজেদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিবে।
রাখাইন রাজ্যে সংঘাতের কারণে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য হওয়া মিয়ানমারের প্রতিরক্ষা বাহিনীর ২৮৫ সদস্যকে নিয়ে আগামীকাল ২৫ এপ্রিল ফিরে যাবে চিন ডুইন জাহাজটি।
উল্লেখ্য, সর্বশেষ ৩ অক্টোবর দুই দেশের সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে অনুষ্ঠিত পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে মিয়ানমারে কারাভোগ শেষ করা ২৯ জন বাংলাদেশি নাগরিককে দেশে পাঠানো হয়।