শাহিদ মোস্তফা শাহিদ, ঈদগাঁও :
শিরোনাম দেখে অনেকের মাঝে কৌতূহল জাগতে পারে অথবা হাস্যরহস্যের সৃষ্টি হতে পারে। সিটিজেনরা এমনও মন্তব্য করতে পারে একজন করে ৫ মেম্বার উদ্যোগ নিলে কয়েকটি টয়লেট নির্মাণ করা কোনো ব্যাপারও না। আসলেই বাস্তবতা তাই বলে।
কিন্তু যে স্থানে টয়লেট নির্মাণের দাবি উঠেছে সেখান থেকে সরকার প্রতিবছর ৬/৭ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় করে। তাই তারা সরকারি কোষাগার থেকে টয়লেট নির্মাণের জোর সুপারিশ করেছে।এমন চমকপ্রদ একটি ঘটনা ঘটেছে কক্সবাজার সদরের চৌফলদন্ডীতে।
জানা যায়, কক্সবাজার সদরের চৌফলদন্ডী খেয়াঘাটটি প্রতি বছর জেলা পরিষদ থেকে ইজারা দেওয়া হয়। এ বারেও প্রায় ৭ লাখ টাকায় ইজারা হয়েছে ঘাটতি। কিন্তু ঘাটের দৃশ্যমান কোনো উন্নয়ন হয়নি, হয়নি একটি ঘাট, হয়নি কোনো যাত্রী চাউনি।মানুষের সবচেয়ে প্রয়োজনী একটি টয়লেটও নির্মাণ না হওয়ায় চরম ভোগান্তি এবং বেকায়দা পড়ে শত শত নারী পুরুষ যাত্রী।
এই দূর্ভোগের কথা চিন্তা করে গত ২২ মে কক্সবাজার জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বরাবর একটি টয়লেট নির্মাণের জন্য আবেদন করেন চৌফলদন্ডীর বাসিন্দা নুরুল আলম। আবেদনে চৌফলদন্ডী ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত নারী সদস্যসহ আরো ৪ সাধারণ সদস্য সুপারিশ করেন৷
সুপারিশকারী হলেন ১নং ওয়ার্ডের মেম্বার উছাচিং, ২নং ওয়ার্ডের নাছির উদ্দীন, ৩নং ওয়ার্ডের মোহাম্মদ আইয়ুব আলী, ৪নং ওয়ার্ডের মোহাম্মদ শাহজাহান ও ১.২.৩ নং ওয়ার্ডের নারী সদস্য নিলুফা ইয়াছমিন বকুল৷
সুপারিশকারীরা আবেদনে জোর দাবি জানিয়ে জনগুরুত্বপূর্ণ চৌফলদন্ডী ব্রীজ সংলগ্ন ঘাটে একটি টয়লেট নির্মাণের জন্য কক্সবাজার জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহিনুল হক মার্শালের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।