নিজস্ব প্রতিবেদক
সবার সুখের দিনে শোক চলছে টেকনাফে নিহত সাবেরের পরিবারে। আশেপাশের অন্যান্য সবার ঘরে আত্নীয় স্বজনরা ঈদের কুশল বিনিময় করতে আসলেও সাবেরের পরিবারে আত্নীয় স্বজনরা আসছেন নিহত সাবেরের পরিবারকে সান্ত্বনা দিতে। কেননা এক সপ্তাহ চিকিৎসাধীন থাকার পর ঈদের আগের রাতে সাবেরের মৃত্যু হয়।
আজ বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০ টায় নিহত সাবেরের মরদেহ তার বাড়িতে আনা হয়েছে। আগামীকাল শুক্রবার জুমার নামাজের পর তার জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে পরিবার।
নিহত সাবেরের বাড়ি টেকনাফ পৌরসভা ৯নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ জালিয়া পাড়া এলাকার বাসিন্দা মো.হাশেমের ছেলে।
ঈদের দিন হাসিখুশির মাঝে সাবের যেন গোটা এলাকাকে শোকের সাগরে ভাসিয়ে দিলেন। সাবেরের মরদেহ দেখতে তাই ছুটে আসছে আত্নীয়স্বজন ও এলাকাবাসী। গোটা এলাকায় চলছে শোকের মাতম।
মৃত্যুর কয়েকমিনিট আগে হামলাকারীদের বর্ণনা দিয়েছিলেন সাবের। তিনি টেকনাফের শ্রমিকলীগ কর্মী। বুধবার (১০ এপ্রিল) দিনগত রাত ১ টার দিকে চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় তার। এর আগে গত ৩ এপ্রিল চাঁদা দাবি করে তার উপরে ৪-৫ জন মিলে সন্ত্রাসী হামলা চালায় বলে দাবি করেন নিহতের পরিবার।
নিহতের স্বজনরা জানান, ২ এপ্রিল বিকেলে টেকনাফ শহরের বার্মিজ মার্কেট এলাকায় সাবেরের দোকানে গিয়ে চাঁদা দাবী করেন স্থানীয় কিছু চাঁদাবাজ। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে সাবেরের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে চাঁদাবাজ চক্রের ৪ থেকে ৫ জন তাকে দোকান থেকে বের করে বেধড়ক মারধর করে ।
চট্টগ্রামের চিকিৎসক তার শারীরিক পরীক্ষা করার বরাতে পরিবার জানায়, মারধরের ফলে সাবেরের হৃদপিণ্ড ও কিডনিতে গুরুতর আঘাত হয়েছে। এমতাবস্থায় চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক তাকে বাঁচানো সম্ভব না বলে জানায়। পরে চট্রগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাকে ভর্তি করান তার স্বজনরা। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় মামলা দায়ের প্রক্রিয়া চলমান বলে জানায় নিহতের পরিবার