রাহুল মহাজন
সনাতন ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করেন মধু কৃষ্ণ ত্রয়োদশী তিথিতে গঙ্গা স্নান করলে অশেষ পূণ্য ও ইচ্ছা পূরণ হয়। তাই এই দিনে নিজের ভালোর জন্য ও প্রয়াত স্বজনদের আত্মার শান্তির জন্য নির্দিষ্ট করা স্থানে স্নান করতে একত্র হন তাঁরা। অন্যান্যদের মতো কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের কবিতা চত্বর পয়েন্টে বন্ধুদের সাথে বারুণী স্নান করতে গিয়েছিলেন জয় শর্মা (১৫)। হঠাৎ বড় একটি ঢেউ এসে পানিতে তলিয়ে যায় সে। পরে অনেক খোঁজাখুঁজি করে সেখান থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
শনিবার (০৬ এপ্রিল) দুপুরের দিকে সৈকতের কবিতা চত্বর পয়েন্টে এ ঘটনা ঘটে। তার বাড়ি কক্সবাজার শহরের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বৈদ্যঘোনা এলাকায়। সে কক্সবাজার পৌর প্রিপ্যারেটরি স্কুলের ৮ম শ্রেণির ছাত্র।
জয়ের বন্ধু পান্ত শর্মা জানায় সমুদ্রে স্নানে নেমে হঠাৎ স্রোতের টানে ভেসে গেলে তাকে খুঁজতে থাকি এক পর্যায়ে খুঁজে না পেয়ে তার পরিবার ও স্বজনকে জানায়। এর কিছুক্ষণ পর ভেসে আসে জয় শর্মার নিতর দেহ। এর আমরা সকলে তাকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে আসি। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
উৎসবে আসা মিশু গুপ্ত নামে এক পুণ্যার্থী বলেন, সকাল থেকে সৈকতে লাখের অধিক মানুষের ঢল নামে। সেখানে পুণ্যার্থীর জন্য কোন নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না। শুরু থেকে আমরা বলে আসছিলাম কোন দুর্ঘটনা হতে পারে। শেষ পর্যন্ত সেটি বাস্তবে রূপ নিয়েছে। এটির দায় কেউ এড়াতে পারেন না বলে তিনি অভিযোগ তুলেন।
স্কুল পড়ুয়া এই কিশোরকে হারিয়ে আত্মহারা বাবা বিমল শর্মা এবং মা শিল্পী শর্মা। তাদের পরিবারে চলছে শোকের মাতম।