আবদুর রশিদ মানিক
সময়টা ২০২৩ সাল। মিফতাহুল জান্নাত নুর মেডিকেল ভর্তির প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে পরীক্ষার ১৫দিন আগে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। অসুস্থতায় মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ঠিক আগে বাড়ি ফিরতে হয় মেধাবী শিক্ষার্থী মিফতাহুল জান্নাত নুরের। সেইবার পরীক্ষা দিয়ে মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ না হলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কেমিস্ট্রি এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সিএসসিতে মেধাতালিকায় আসে মিফতার নাম।
একপর্যায়ে মেডিকেলের স্বপ্ন বাদ দিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসসিতে ভর্তি হয়। তবে তাতেই সন্তুষ্ট হতে পারছিলেন না মিফতা। মেডিকেলের স্বপ্ন যেন তাড়িয়ে বেড়ায় মিফতাকে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ছেড়ে ফিরে আসেন কক্সবাজার। মেডিকেল জয়ের স্বপ্ন নিয়ে ভর্তি হন মেডিকেল ভর্তি কোচিং সেন্টার উন্মেষে। টিকেও যান মেডিকেলে। মুগদা মেডিক্যাল কলেজে ৮৩৭ তম হয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়ে যায় মিফতা।
মিফতা অদম্য স্পৃহা নিয়ে স্বপ্ন ছোঁয়ার সেই পথচলার কথা জানান টিটিএনকে। জানালেন, অসুস্থ হলেও মেডিকেলের স্বপ্ন আমাকে তাড়িয়ে বেড়িয়েছে। ডাক্তার বলেছিলো মেডিকেলে ভর্তির চাপ না নিয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে। তবে আমি চেষ্টা করে গেছি। সে ক্ষেত্রে আমার মা এবং পরিবার আমাকে আশ্বাস দিয়েছেন, সাপোর্ট দিয়েছেন।
মেয়ের সাফল্যে আনন্দিত মিফতার মা। বললেন, খারাপ সময়ে হাত ছেড়ে না দিয়ে সকল বাবা মায়ের উচিত সন্তানের পাশে থাকা। মেয়েকে সবসময় সাহস দিয়েছি।
মা রহিমা ইয়াছমিন ও বাবা মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম দম্পতির মেয়ে মিফতা জান্নাত নুর। তার বাড়ি কক্সবাজারের লিংক রোড এলাকায়।
মিফতাহুল জান্নাত নুর কক্সবাজার কলেজিয়েট স্কুলে প্রাথমিকে পড়াশোনা করেন, কক্সবাজার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক এবং কক্সবাজার সরকারি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করেন। সব পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে উতরে যান তিনি। সব শেষে লালন করা মেডিকেলে চান্স পাওয়ার স্বপ্নও ছুঁলেন মিফতা।
আশা ছেড়ে না দিয়ে কিভাবে নিজের স্বপ্ন ছুঁতে হয় চ্যালেঞ্জ নিয়ে মিফতা যেনো তাই দেখিয়ে দিলো পথের সারথিদের।