সিয়াম সোহেল
স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে সিএনজিতে ওঠে সিএনজি চালক জাহেদকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া সেই চালককে ৪৮ ঘন্টা পর হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করেছে র্যাব-১৫। এছাড়াও অপহরণকারী চক্রের একজনকে আটক করার কথা জানিয়েছে র্যাব।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার হোসেন শামীম।
অপহৃত জাহেদ হোসাইন উখিয়া উপজেলার রত্নাপালং ইউনিয়নের গায়ালা মারা এলাকার ছিদ্দিক আহমদের ছেলে। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি হলেন- মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন ওরফে ইকবাল (২৮)। তিনি কক্সবাজার জেলার রামু থানাধীন উমখালী এলাকার বাসিন্দা মৃত আব্দুল হাকিমের ছেলে।
অপহৃত সিএনজি চালকের বড় ভাই ছৈয়দ হোসেন জানিয়েছেন- গেল বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) রাত ৮টার দিকে স্বামী -স্ত্রী সেজে দুজন ব্যক্তি জাহেদের সিএনজি কলাতলী থেকে রামুর কলঘর বাজার যাবার জন্য ভাড়া করে। লিংকরোড এলাকায় পৌঁছানোর পর জাহেদকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে অপহরণ করে নিয়ে যায় তারা। পরবর্তীতে, জাহেদের ফোন থেকেই পরিবারকে একাধিকবার ফোন করে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। সর্বশেষ অপহরণকারীরা জানায় ২৫ মার্চ রাতের মধ্যে অর্থ না দিলে জাহেদকে কেটে টুকরো টুকরো করে লাশ পাঠিয়ে দেওয়া হবে। এ পরিস্থিতিতে জাহেদের পরিবার র্যাবের দ্বারস্থ হন।
র্যাব কর্মকর্তার দাবি- পাহাড়ি এলাকায় অপহরণকারীদের অবস্থানস্থল চিহ্নিত করে কয়েকশ’ গ্রামবাসীকে সঙ্গে নিয়ে অপহরণকারীদের আস্তানা ঘিরে সেখানে ব্লক রেইড অভিযান পরিচালনা শুরু করলে অপহরণকারীরা জাহেদকে রেখে পালিয়ে যায়। এ সময় দুর্গম পাহাড়ি ঢাল থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় জাহেদকে উদ্ধার এবং এক অপহরণকারী চক্রের একজনকে আটক করা হয়।
অপহৃত সিএনজি চালক জাহেদের মা জমিলা খাতুন বলেন- আমার ছেলেকে ফিরে পাব সেই আশা ছেড়ে দিয়েছিলাম। র্যাবের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।
দুর্গম পাহাড়ে অভিযানের নেতৃত্বে থাকা কক্সবাজার র্যাব -১৫ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার হোসেন শামীম বলেন, অপহৃত ব্যক্তিকে উদ্ধার ও অপহরণকারীদেরকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাব ১৫ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এইচএম সাজ্জাদ হোসেনের নির্দেশে আমরা এই অভিযানের পরিকল্পনা করি। কক্সবাজার থেকে অপহরণ মুক্তিপণের এই চক্র নির্মূলে র্যাবের তৎপরতা অব্যাহত থাকবে।