শাহিদ মোস্তফা:
কক্সবাজারের সীমান্ত উপজেলা টেকনাফে পাত্রী দেখতে গিয়ে নিখোঁজের ২৫ দিন পর মৃত উদ্ধার হওয়া তিন বন্ধুর দাফন সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ময়না তদন্ত শেষে নিজ নিজ এলাকায় তাদের জানাজা পরবর্তী দাফন সম্পন্ন হয়।এর আগে তাদের লাশ গ্রামের বাড়িতে পৌঁছলে আত্মীয় স্বজন প্রতিবেশীদের কান্নায় পরিবেশ ভারি হয়ে উঠে।
নিহতরা হলো চৌফলদন্ডী উত্তর পাড়া এলাকার মোহাম্মদ আলমের ছেলে জমির উদ্দিন রুবেল, জালালাবাদ সওদাগর পাড়ার মৃত কবির আহমেদের ছেলে মোহাম্মদ ইউছুপ, কক্সবাজার শহরের মোহাম্মদ ইব্রাহিমের ছেলে মোহাম্মদ ইমরান।
নিহত রুবেলের পরিবারের দাবি তার তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী রোহিঙ্গা নারী মিনুআরা প্রকাশ মিনা পাত্রী দেখতে নেয়ার কথা বলে কৌশলে নিয়ে গিয়ে পরিকল্পিত ভাবে তাদের হত্যা করা হয়। তাকে আইনের আওতায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ঘটনার ক্লো উদঘাটন হবে বলে জানান নিহতের স্বজনেরা।
এদিকে এই বর্বর হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করে এলাকার সাধারণ মানুষ বলেন, ঘাতকদের সর্বোচ্চ শাস্তির মুখোমুখি করতে হবে। নয়তো আরো অহরহ ঘটনার সম্মুখীন হতে হবে নিরপরাধ ব্যক্তিদের।
মোহাম্মদ ইউছুপের এলাকার লোকজন জানান, নিহত ইউছুপ এলাকায় ভদ্র নম্র হিসেবে তাকে সবাই চেনে। কারো সাথে কোনদিন ঝগড়া বিবাদে যায়নি। তাকে হারিয়ে এলাকায় শোকের ছায়া বিরাজ করছে।
জানা যায়, এই ঘটনায় জড়িত ৪ জনকে ইতিপূর্বে গ্রেফতার করা হয়েছে । আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানান টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবদুল হালিম।
গত ২৮ এপ্রিল টেকনাফে পাত্রী দেখতে গিয়ে নিখোঁজ হন ৩ বন্ধু। নিখোঁজের ২৫ দিন পর টেকনাফ দমদমিয়া গহীন অরন্যে থেকে তাদের অর্ধগলিত মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ ও র্যাব।