নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজের শৌর্য বীর্য হারিয়ে মৃত কঙ্কাল নিয়েই যেন এখনো দাঁড়িয়ে আছে বেইলি রোডের গ্রীন কোজি কটেজ। সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এখনো দগদগে পোড়া ঘা হয়ে ব্যাথাতুর হৃদয়ে সপ্তাহ ধরে স্মৃতি আওড়াচ্ছেন স্বজনহারা মানুষ।
প্রতিদিন কেউ না কেউ আসছেন জায়গাটিতে। ফ্যালফ্যাল চোখে তাকিয়ে দেখেন পোড়া কটেজটি। গত রোববারে এসেছিলেন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, তিনি একজন পিতা। পরিবারের একজন নয় একসাথে তিন জনকেই হারিয়েছেন এ পিতা। যেখানে পুড়ে নিহত হয়েছেন তাঁর অমায়িক সন্তান কাস্টমস কর্মকর্তা শাহজালাল, ছেলের বউ এবং সাড়ে তিন বছরের ফুটফুটে আদুরে নাতনি ফাইরুজ। তিনজনকে হারিয়ে গত রবিবার বেইলি রোডে স্মৃতি খুঁজতে যান ওই বাবা। সেখানে গিয়ে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন এবং গণমাধ্যমের কাছে কিছু প্রশ্ন রাখেন। যেসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বেড়াচ্ছেন স্বজন হারানো আরো বিশ ত্রিশটি পরিবার।
এসময় বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম বলেন, আমার দেশে আইন আছে , কিন্তু প্রয়োগ নেই। তিনি অভিযোগ করে বলেন, সিড়ির নিচে কেন গ্যাসের সিলিন্ডার থাকবে? শাহ জালালের ভাই বোনেরা এটির সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন। যাতে এমন মৃত্যু যেন আর কারো না হয়।
শাহজালালের ছোট ভাই বলেন, যখন আমাদের কাছ থেকে কেউ হারিয়ে যায় তখন সেটি বড় হয়ে যায়। ঘটনার দিকে আর ফোকাস থাকে না। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।
গত ২৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বেইলি রোডে গ্রীন কোজি কটেজের আগুনে দম বন্ধ হয়ে মারা যান উখিয়ার শাহজালাল, তাঁর স্ত্রী এবং সাড়ে তিন বছরের একমাত্র কন্যা ফাইরুজ।