আসিফুজ্জামান সাজিন :
৬ মাস আগে ঝিলংজা ও পিএমখালী ইউনিয়নের মাঝামাঝি বাঁধটি সরকারি ভাবে নির্মাণ করা হয়। এতে খরচ হয়েছিলো ১ কোটি ২৯ লাখ টাকা। তবে দীর্ঘদিন যাবত এই বাঁধে ছিদ্র দেখা দেয় এবং সাগরের লবণাক্ত পানি ছিদ্র দিয়ে প্রবেশ করে চাষাবাদের জমিতে। সেচ ম্যানেজার ও সাবেক ইউপি সদস্য মোস্তাক আহমেদ বলেন, সরকার চাষীদের কথা চিন্তা করে প্রতি বছর সাগরের লবণ পানি আটকানোর জন্য বাঁধ নির্মাণ করেন। কিন্তু বাঁধ নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের গাফিলতির কারণে বাঁধটি ছিদ্র হয় এবং বারবার কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করলেও তারা তা কানে নেয়নি । যার ফলে, আমাদের হাজার হাজার হেক্টর চাষাবাদের জমি লবণ পানির কারণে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
ঝিলংজা ইউনিয়নের বাসিন্দা নাছির উদ্দীন তিনি জানান, দীর্ঘদীন ধরে তার এলাকায় শত হেক্টর জমিতে কৃষিকাজ করছেন তবে এখন তিনি চিন্তায় ভুগছেন। কারণ, পানির সংকটে তার অধিকাংশ জমিতে চাষাবাদ করতে পারেননি। তার দাবী বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন খাল ‘পাতিলা খাল’ এখন শুকনো মরুভূমি প্রায়। এই খালের পানিই থেকে পিএমখালীসহ আশেপাশের হাজার-হাজার হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হয়। কিন্তু খালটি শুকিয়ে যাওয়ায় এখন বিপদের মুখে সে সকল জমির চাষীরা। তাদের চাওয়া সরকার বা স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে যদি খালটিকে পুনরায় আগের মতো করা। এবং তারা চাষের জমিতে পানি ব্যবস্থার জন্য যাবতীয় সহযোগিতা চান প্রশাসনের।
এই বিষয়ে কক্সবাজারের সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সম্রাট খীসা জানান, লিখিতভাবে এবং প্রশাসনিক কাঠামো অনুসরণ করে যদি কোনো অভিযোগ পান তাহলে অবশ্যই এই বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে সেই সাথে কৃষকদের দাবী পূরণে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা হবে।
বাঁধ নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানে কন্ট্রাক্টরের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বাঁধে ছিদ্র হওয়ার অভিযোগের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, এটি সংস্কারের কাজ চলছে, দ্রুত সময়ের ভিতরে বাঁধ সংস্কার করা হবে।
ঝিলংজা, পিএমখালী, রাজারকুল, চাকমারকুল এবং মিঠাছড়িসহ বাকখালীর সাথে সম্পৃক্ত আশপাশের এলাকার কৃষকরা ভুগছেন পানির সংকটে। এছাড়াও কক্সবাজারের বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের ফসলী জমিও শুকিয়ে যাচ্ছে পর্যাপ্ত পানির অভাবে।
পাঁচ ইউনিয়নের কৃষিকাজে সংশ্লিষ্টরা মনে করছে শতকোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে পর্যাপ্ত পানির সংকটে। তাই চাষীদের বাঁচাতে সরকারের কাছে অনুরোধ জানায়েছেন স্থানীয় এলাকাবাসী।