Saturday, April 27, 2024

দৈনিক যুগান্তর অনলাইনে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ ও ব্যাখ্যা জানিয়েছেন ঈদগাহ্ স্কুলের প্রধান শিক্ষক

 

দৈনিক যুগান্তর অনলাইনে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ ও ব্যাখ্যা জানিয়েছেন ঈদগাহ্ স্কুলের প্রধান শিক্ষক

গত ২২ মে জাতীয় দৈনিক যুগান্তর অনলাইনে প্রকাশিত “২ কোটি আত্মসাতে অভিযুক্ত সেই শিক্ষক জেলায় শ্রেষ্ঠ” শীর্ষক সংবাদটি আমার দৃষ্টি গোচর হয়েছে। সংবাদটি একপেশে মনগড়া, হাস্যকর ও বিভ্রান্তিকর। প্রকাশিত সংবাদের সাথে বাস্তবতার কোনো মিল নেই, এটি স্রেফ একটি কুচক্রী মহলের অপপ্রচার। উপজেলা এবং জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে ষড়যন্ত্রকারীরা বসে নেই। তারা বিভিন্ন ভাবে আমাকে হয়রানি এবং প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে স্বাধীনতা বিরোধী একটি পক্ষ ( যাদের বিরুদ্ধে রয়েছে নানা অভিযোগ) উঠেপড়ে লেগেছে। বিভিন্ন দপ্তরে মিথ্যা সাজানো বানোয়াট, হাস্যকর, অভিযোগ দিয়ে ঘায়েল করতে না পেরে গণমাধ্যমের আশ্রয় নিয়েছে।

জাতীর বিবেক গণমাধ্যমকর্মীরা সত্যতা যাচাই না করে একটি প্রতিষ্ঠান এবং স্কুল প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে কুৎসিত বিকৃত তথ্য উপস্থাপন করে সংবাদ পরিবেশন করেছে,যার বিন্দু মাত্র সত্যতা নেই। মুল কথা হচ্ছে, আমি স্কুলের প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে বিদ্যালয়ের শিক্ষার মানোন্নয়ন, শিক্ষক সংকট নিরসন, কনফারেন্স রুম, লাইব্রেরীর আধুনিকায়ন, ঝড়ে পড়া শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে পড়ালেখার সুযোগ সুবিধা করে দেওয়াসহ অভুতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। ইত্যবসরে মেয়াদ উত্তীর্ণ বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের ৪ সদস্য বিভিন্ন খাত থেকে নানাভাবে আমার কাছ থেকে চাঁদা দাবি করে আসছে। আমি তাদের অনৈতিক সুবিধাতে রাজি না হওয়ায় তারা একত্রিত হয়ে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সংশ্লিষ্ট কয়েকটি সংস্থা ইতিপূর্বে তদন্ত করে কোনো সত্যতা প্রমাণ করতে পারেনি।

তদন্ত কমিটির রিপোর্টে সত্যতা প্রমাণিত না হওয়ায় পাগলের মতো সাংবাদিকদের আশ্রয় নিয়ে মিথ্যা প্রপাগাণ্ডা চালাচ্ছে। উল্লেখ্য যে, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা একজন শহিদুল্লাহ মিয়াজী তার আপন বড় ভাই মরহুম আলহাজ্ব জসিম উল্লাহ মিয়াজী অত্র বিদ্যালয়ের সহ সভাপতি থাকাকালীন ২০০৭ সালে স্কুলের ২৯ টি দোকান থেকে সালামি বাবদ ১৮ লক্ষ, ৪৮ হাজার, ৫০ টাকা আত্মসাত করে। তৎকালীন সময়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নীরিক্ষা অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মোঃ আবদুল মজিদ ও সাইফ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী তদন্ত করে এই টাকা টাকা আত্মসাতের সত্যতা পান। টাক আত্মসাতের মতো দূর্নীতি ধামাচাপা এবং বিদ্যালয়ের ফান্ডে জমা করার তাগাদা দিলে তার ছোট ভাই শহিদুল্লাহ মিয়াজী উল্টো আমার বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিকর ও মানহানিকর অভিযোগ দায়ের করেছে।যে অভিযোগে আমার চরিত্র হননের চেষ্টা করেছে এই স্বাধীনতা বিরোধী সিন্ডিকেট। আমি দৃঢ় কণ্ঠে বলতে পারবো স্কুলের প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে কোনো ধরনের অনিয়ম- দূর্ণীতি হয়নি। স্বচ্ছ জবাবদিহির মাধ্যমে বিদ্যালয়টিকে নিজের পরিবারের চেয়ে বেশি প্রধান্য দিয়ে আসছি।

ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে বরাবরের মতোই জেএসসি , এসএসসিতে ফলাফলে ক্রমাগত উন্নতির ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছি। সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করি ঈদগাহ্ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়কে জেলার শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করতে । দুঃখজনক হলেও সত্য, আমি স্কুলের প্রধান শিক্ষক হিসেবে সুনামের সাথে যখন দায়িত্ব পালন করে আসছি তখনই আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে গণমাধ্যমসহ নানা স্থানে অপপ্রচার চালায়। আমাকে কোনঠাসা করতে পারলে কেউ একজন স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পাবে, দায়িত্ব পেলে বিদ্যালয়ের সম্পদ গুলোসহ লীজ দিবে এমন কি সমস্ত অনিয়মের মাধ্যমে লুটেপুড়ে খাবে এমন দিব্যি স্বপ্নে বিভোর হয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের সাথে তাল মিলিয়ে ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঈদগাহ্ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে আসছে। ষড়যন্ত্রকারী এতদিন অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ করতে না পেরে আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে যায়।

সম্প্রতি জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ২০২৩ ইং এর উপজেলা ও জেলা কমিটি আমার যোগ্যতা, মেধা, শ্রম, প্রজ্ঞা, বিদ্যালয়ের অভূতপূর্ব উন্নয়ন, শিক্ষার মানোন্নয়ন যাচাই বাছাই করে আমাকে গত ১৭ মে, ২৩ইং উপজেলা এবং ২০ মে ২৩ ইং জেলার শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান প্রধান হিসেবে মনোনীত করলে পূনরায় স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠে। জাতীর বিবেক গণমাধ্যমকর্মীদের ব্যবহার করে ফায়দা হাসিলের অপচেষ্টা ও বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং সহকর্মীদের মাঝে আমাকে হেয়প্রতিপন্ন ও বিদ্যালয়ের ধারাবাহিকতা ক্ষুন্ন করার কু-মানসে সিন্ডিকেট গড়ে তুলে প্রতিনিয়ত তারা একের পর এক মিথ্যা অভিযোগ, অপপ্রচার চালিয়ে আসছে। সবকিছুর তথ্য উপাত্ত তদন্ত সংস্থা এবং প্রতিনিধিদের কাছে উপস্থাপন করেছি। মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগ ইতিপূর্বে মিথ্যাই প্রমাণিত হয়েছে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত মিথ্যা সংবাদের আমি এবং স্কুলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। দৈনিক যুগান্তরের অনলাইনে প্রকাশিত সংবাদ নিয়ে সংশ্লিষ্ট কাউকে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।

নিবেদক।

খুরশিদুল জন্নাত
প্রধান শিক্ষক
ঈদগাহ্ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়
কক্সবাজার সদর।

আরও খবর

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

জনপ্রিয় সংবাদ

You cannot copy content of this page