নিজস্ব প্রতিনিধি
রাত গড়িয়ে সকাল হয়েছে। ঘড়ির কাঁটা সকাল ১১ টায় পৌঁছানোর আগেই মানুষজন ছুটে এসেছেন শাহজালাল ও তার মেয়ে ফাইরুজের জানাজার নামাজ পড়তে। এর আগে শাহজালালের স্ত্রীর জানাজা তার বাপের বাড়ি রামুতে পড়ানো হয়।
নিজ গ্রামের মরিচ্যা মু্ক্তিযোদ্ধা স্মৃতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সকাল ১১ টায় শাহজলাল ও তার কন্যা ফাইরুজের জানাজা সম্পন্ন হয়। মাওলানা ফরিদ উদ্দিন তাদের জানাজা পড়িয়েছেন।
এর আগে গতকাল রাত থেকেই আত্নীয়স্বজন সকলেই এসেছে উখিয়া মরিচ্যায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাক্তার আবুল কাশেমের বাড়িতে। তাঁর পরিবারে শাহজালাল, শাহজালালের স্ত্রী, তিন বছরের ফুটফুটে আদরের নাতনির মরদেহ দেখতে। আত্নীয়স্বজন,গ্রামবাসী এমনকি ভিন্ন ধর্মাবলম্বী মনুষরাও এসেছেন। সমবেদনা জানাচ্ছেন শাহজালালের বাবা,ভাই-বোনদের।
পূর্ব নির্ধারিত ঘোষণা অনুযায়ী রোববার (৩মার্চ) মরিচ্যা মু্ক্তিযোদ্ধা স্মৃতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে তাদের জানাজা পড়ানো হয়। আজ রবিবার সকাল ১১ টায় তাদের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শেষ বিদায় দিতে জমায়েত হয়েছেন একে একে সকলেই। সমবেদনা জানাচ্ছেন। সান্ত্বনা দিচ্ছেন পরিবারকে।
এর আগে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে শনিবার (২মার্চ) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে নিহতদের মরদেহ নিয়ে কক্সবাজার নিজ বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হলে রাত সাড়ে ৮ টার দিকে তাদের মরদেহ শাহজালালের শ্বশুর বাড়ি রামুর ফতেখাঁরকুলে এসে পৌঁছান। সেখান থেকে রাত ১০ টায় শাহজালাল ও তার কন্যার মরদেহ নিজ বাড়ি মরিচ্যায় নিয়ে আসা হয় এবং শাহজালালের স্ত্রীর জানাজা বাপের বাড়িতে পড়ানো শেষে তার মরদেহও মরিচ্যায় নিয়ে আসা হয় দাফনের জন্য।
উল্লেখ্য, ঢাকার বেইলি রোডে আগুনে পুড়ে নিহত হন কক্সবাজারের উখিয়ার একই পরিবারের এই তিন সদস্য।