নিজস্ব প্রতিবেদক
তরুণ সাংবাদিক তুষার হালদার ও অভিশ্রুতি শাস্ত্রী। দু’জনই অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্য রিপোর্ট ডটলাইভের সাংবাদিক ছিলেন। নতুন আরেকটি প্রতিষ্ঠানে চাকরিতে যোগ দেওয়া উপলক্ষে খেতে গিয়েছিলেন বেইলি রোডের বহুতল ভবনের রেস্তোরাঁয়।
সেখানে আগুনে দু’জনই এখন না ফেরার দেশে। বার্ন ইউনিটে তাদের মরদেহ শনাক্ত করেন দ্য রিপোর্টের চিফ রিপোর্টার গোলাম রব্বানী।
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাংবাদিকতা, মিডিয়া ও যোগাযোগ বিভাগ থেকে স্নাতক শেষ করে দ্য রিপোর্ট ডটলাইভে কাজ করতেন তুষার। সম্প্রতি তিনি নতুন একটি অনলাইন মাল্টিমিডিয়া প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। চলতি মাসেই নতুন কর্মস্থলে যোগ দেওয়ার কথা ছিল তার।
এদিকে অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর পরিচয় নিয়ে তৈরি হয়েছে ধুম্রজাল। পিতৃত্বের দাবি নিয়ে বার্ন ইউনিটে হাজির হয়েছেন সবুজ শেখ নামের এক ব্যক্তি। তার দাবি- মুসলমান হলেও নিজেকে হিন্দু হিসেবে পরিচয় দিতেন তার মেয়ে। সবরুল আলম নামে আরেক ব্যক্তি এনআইডি নিয়ে অভিশ্রুতির মরদেহ শনাক্ত করতে মেডিকেল মর্গে যান। তাতে নাম লেখা ছিল বৃষ্টি খাতুন। প্রতারক সন্দেহে পুলিশ প্রথমে ওই ব্যক্তিকে আটকও করেছিল। জিজ্ঞাসাবাদের পর অবশ্য তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
জানা গেছে, রমনা কালী মন্দিরেও নিয়মিত যাওয়া-আসা ছিল অভিশ্রুতির। মন্দিরের সবার সঙ্গে ছিল সুসম্পর্ক। তিনি কোথাও নিজের বাবা-মায়ের পরিচয় দিতেন না। রমনা কালী মন্দিরের পক্ষ থেকে কয়েকজন মেডিকেলে অভিশ্রুতির মরদেহ নিতে এসেছিলেন। মন্দির কর্তৃপক্ষ এরই মধ্যে অভিশ্রুতির সৎকারে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। অভিশ্রুতি শাস্ত্রী ইডেন মহিলা কলেজের দর্শন বিভাগে অধ্যয়নের পাশাপাশি সাংবাদিকতায় যুক্ত ছিলেন।
বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে বেইলি রোডে বহুতল ওই ভবনে আগুনে অন্তত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।