শাহেদ হোছাইন মুবিন :
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের ছুটিতে আসা পযর্টকের ভিড়ে তিল ধারণের ঠাঁই নেই সাগরতীরে।
বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে গিয়ে দেখা যায়, ফাল্গুনের তপ্তরোদ ও সন্ধ্যার শীতল হাওয়ার স্পর্শ নিতে সাগরতীর জুড়ে লোকে লোকারণ্য। বালিয়াড়ি থেকে শুরু করে সাগরের নোনাজল সবখানে মানুষ আর মানুষ। শিশু থেকে বৃদ্ধ, সব বয়সের মানুষের ভিড় সাগরতীরে।
সব মানুষের গল্পই অভিন্ন এবং আকাশের মেঘ মালার মতো মিশে গেছে। শহুরে যান্ত্রিক কোলাহল ছেড়ে এসে প্রশান্তির খোঁজে ব্যস্ত সময় পার করছে সবাই।
সৈকতে আহাম্মদ নামক এক পর্যটক তার অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, এটা ঘুরে বেড়ানোর উপযুক্ত সময়। তাই পরিবার নিয়ে কক্সবাজার ছুটে এলাম। বেশ আনন্দ করছি।
আনন্দে সময় কাটানো একাধিক পর্যটক জানান, সাগরের টানেই কক্সবাজার ছুটে আসা। বিশেষ করে, যখনই ছুটি পাওয়া যায় তখনই কক্সবাজার ছুটে আসতে মন চায়। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের ছুটির দিনে প্রিয়জনদের সঙ্গে ঘুরে বেড়াতে কক্সবাজার আসা।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে পর্যটনে ব্যাপক মন্দা গেছে। তবে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের ছুটিতে আশানুরূপ পর্যটকে খুশি ব্যবসায়িরাও।
বৃহত্তর বিচ ব্যবসায়ি সমিতির সভাপতি আব্দুর রহমান জানান, তিনদিনের ছুটিতে কক্সবাজারের সিংহভাগ হোটেল আগাম বুকিং হয়েছে। পর্যটকরা অনলাইনে রুম চাইলেও দেওয়া যাচ্ছে না। লাখো পর্যটকে আবারো সরব হয়ে উঠেছে কক্সবাজার।
সৈকতের শৈবাল থেকে শুরু করে কলাতলী পয়েন্ট পর্যন্ত ২ লাখের বেশি পর্যটক হয়েছে। যার মধ্যে অধিকাংশ মানুষই সমুদ্রে গোসল করছে। লাখো পর্যটকের সমুদ্রস্নানে ৩ স্তরের নিরাপত্তা দিচ্ছে সৈকতপাড়ের লাইফ গার্ড কর্মীরা। পর্যটকদের সর্তক করার পাশাপাশি সজাগ দৃষ্টি রাখছেন তারা।
পর্যটকদের নিরাপত্তা ও হয়রানি রোধে সমুদ্র সৈকতসহ পর্যটন স্পটগুলোতে কাজ করছে ট্যুরিস্ট পুলিশ ও জেলা প্রশাসন এবং জেলা পুলিশ।