নিজস্ব প্রতিবেদক :
বাদ্য বাজনার তালে তালে বলীদের এমন নৃত্য আনন্দের। খেলা শুরু এবং খেলা শেষে সাধারণত বলীরা নৃত্যের মাধ্যমে দর্শকদের আনন্দ দিয়ে থাকেন।
সুঠাম দেহে সারিবদ্ধভাবে থাকা একেক জন বলী অংশ নেয় খেলায়। শক্তিদিয়ে নয়, নানা কৌশলে প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়ের পিঠ মাটিতে লাগানোর প্রানপন চেষ্টা। শেষ মুহূর্তেই পিঠ মাটিতেই লাগালেই বিজয়। এভাবে চলছে দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বলিখেলা। এবারেরে আসরে ৩ সেটের খেলায় ৬ জনকে পুরুষ্কৃত করা হয়। ১ম সেটে যৌথভাবে চ্যাম্পিয়ন হয় কুমিল্লার বাঘা বলি এবং উখিয়ার নূর মোহাম্মদ বলি। তবে দুইজনই এই বিজয়ে অসন্তোষ জানান।
২য় এবং ৩য় মেডেলের খেলায় হাড্ডাহাড্ডি লাড়ায় বলীদের মধ্যে। আধাঘন্টার বেশী সময় লড়ে তৃতীয় মেডেলে জয়ের স্বাদ পান নূর হোসেন বলি। নগদ টাকা ও ট্রপি পেয়ে খুশি তিনি।
এদিকে বলী খেলা দেখতে এসে অনেকটা অসন্তোষ প্রকাশ করেন প্রাক্তন বলীরা। তাদের অভিযোগ আগের সেই জৌলুশ নেই বলীখেলায়। বলীদেরও সম্মানের চোখে দেখে না কেউ।
জেলা প্রশাসক মো: শাহিন ইমরান বললেন গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যেকে ধরে রাখতে এই আয়োজন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার ড. আমিনুর রহমান বলেন, মাদক থেকে যুব সমাজকে দুরে রাখতে এই এই ঐতিহ্যবাহী ক্রীড়া রাখবে ভূমিকা।
শুক্রবার শুরু হওয়া দুই দিনের পুরস্কার বিতরনের মাধ্যমে এই বলী খেলা শেষ হয় শনিবার সন্ধ্যায়।