নিজস্ব প্রতিবেদক :
জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র মিলে ৫০টি সংরক্ষিত নারী আসনের মধ্যে ৪৮ জনকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। বুধবার বিকেলে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ড এ মনোনয়ন প্রদানের ঘোষণা দেয়। বাকি দুটি আসন শরীক দলকে ছেড়ে দিতে পারে আওয়ামী লীগ। তবে মনোনয়ন প্রাপ্তদের মধ্যে কক্সবাজার থেকে কেউ নেই। আওয়ামী লীগ শরিক দলকে বাকি দুটি আসন ছেড়ে দিলে কক্সবাজারের নারী আসনের হিসাব নিকাশও পাল্টে যেতে পারে। ভাগ্য খুলে যেতে পারে জাতীয় পার্টি মনোনীত হোসনে আরার এমন মন্তব্য শোনা যাচ্ছে রাজনৈতিক অঙ্গনে।
তাই এ নিয়ে জেলা জুড়ে চলছে নানান গুঞ্জন, কেউ কেউ মেলাচ্ছেন নানান হিসেব নিকেশ। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের একটি সূত্র বলছে, সাবেক নারী সংসদ সদস্য কানিজ ফাতেমা আহমেদ এতদিন মনোনয়ন দৌড়ে এগিয়ে ছিলেন। তবে নারী সংসদ সদস্যদের পরপর দুই বার মনোনয়ন না দেয়ার দলীয় সিদ্ধান্ত আছে। এছাড়াও মনোনীত ৪৮ জনের তালিকায় জায়গা করতে না পারায় তার মনোনয়ন পাওয়া নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। যদি তাই হয় এবং আওয়ামী লীগ দুটি আসন যদি শরীক দলকে ছেড়ে দেয়, তাহলে কক্সবাজারে সংরক্ষিত নারী সংসদীয় আসনে মনোনয়ন পেতে পারেন জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী। সে হিসেবে রাজনৈতিক সমীকরণ পাল্টে দিয়ে এ আসন পেতে পারেন জাতীয় পার্টি মনোনীত হোসনে আরা।
কক্সবাজার থেকে মনোনয়ন জমা দেয়া আওয়ামী লীগের ১৬ জন প্রার্থী ও জাতীয় পার্টির ১ জনসহ মোট ১৭ প্রার্থী রয়েছেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ থেকে ৩ জন প্রার্থী ও জাতীয় পার্টি থেকে ১ জন। তারা হলেন, আওয়ামী লীগের প্রয়াত নেতা চকরিয়া পৌরসভার প্রতিষ্ঠাকালীন প্রশাসক এডভোকেট আমজাদ হোসেনের স্ত্রী ফিরোজা আমজাদ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক উপকমিটির সদস্য ও ডেপুটি এটর্নি জেনারেল আনিসুল মাওয়া ও অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লেখাপড়া শেষে দেশে ফিরে গার্মেন্টস ব্যবসায় যুক্ত হওয়া হারবাং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ক্য থিন চ ডলি এবং চকরিয়া-পেকুয়ার জাতীয় পার্টি থেকে নির্বাচিত সাবেক
সংসদ সদস্য মোহাম্মদ ইলিয়াছের স্ত্রী ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে এ আসনে জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী হোসনে আরা।
কানিজ ফাতেমা আহমেদকে বাদ দিয়ে যদি চকরিয়া থেকে আওয়ামী লীগের কাউকে বিবেচনায় আনা হয়, তবে ফিরোজা আমজাদ, আনিসুল মাওয়া ও ক্য থিন চ ডলি প্রাধান্য পেতে পারেন। অন্যদিকে নারী আসনটি যদি জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেয়া হয় তাহলে হোসনে আরা হতে পারেন মহিলা এমপি। অবশ্য এদের বাইরেও দল উপযুক্ত মনে করলে অন্যদের থেকেও যে কেউ একজনকে মনোনীত করতে পারে বলে মন্তব্য নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কেন্দ্রীয় নেতার। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ঘোষিত ৪৮টি আসনের বিপরীতে মনোনয়ন চুড়ান্ত হয়ে গেছে, বাকী দুটি আসন শরীক দলকে ছেড়ে দিতে পারে। তেমন হলে কক্সবাজার থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন কেউ পায়নি, বিষয়টি কি এমন দাঁড়ালো? উত্তরে ওই নেতা জানালেন, ‘পরিস্থিতি তাই বলছে।’ যদি শরীক দলকে ২টি আসন ছেড়ে দেয়া হয়, তার মধ্যে কি কক্সবাজার থাকবে? যদি থাকে তবে কি জাতীয় পার্টির হোসনে আরা নারী সংসদ সদস্য হচ্ছেন নাকি অন্য কেউ? এমন প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।