Friday, May 17, 2024

মহেশখালী-কক্সবাজার নৌ-পথে টানেল বা সেতু নির্মাণের প্রস্তাব

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিউ ডেভেলাপমেন্ট ব্যাংক (এনডিবি)’র কাছে ৫ টি সেতু নির্মাণের প্রস্তাব পাঠিয়েছে সেতু বিভাগ। তার মধ্যে মহেশখালী-কক্সবাজার নৌ-পথে টানেল বা সেতু নির্মাণের প্রস্তাবও রয়েছে।

চীন ও রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন নিউ ডেভেলাপমেন্ট ব্যাংকের (এনডিবি) কাছে পাঁচটি সেতু নির্মাণে ঋণ চেয়েছে সরকার। সেতু বিভাগ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

এনডিবি’র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা ভ্লাদিমির কাজবেকভ-এর নেতৃত্বে এনডিবি’র একটি প্রতিনিধিদল গত ২১ থেকে ২৩শে জানুয়ারি বাংলাদেশ সফর করেছে। সেখানেই সেতু বিভাগের পক্ষ থেকে এ প্রস্তাব পাঠানো হয়।

সেতু বিভাগ জানান, মহেশখালী -কক্সবাজার নৌ-পথে দুই কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের টানেল বা সেতু নির্মাণে আনুমানিক ৮ হাজার ১০০ কোটি টাকা বা ৭৩৬ মিলিয়ন ডলার ব্যয় হতে পারে।

প্রস্তাবিত ৫টি সেতুর মধ্যে মহেশখালী-কক্সবাজার সেতু ছাড়াও ৪টি সেতু রয়েছে। তার একটি হলো বরিশালের সঙ্গে ভোলার সংযোগ স্থাপনে একটি সেতু (কালাবদর ও তেঁতুলিয়া নদীর উপর প্রস্তাবিত)। এই প্রকল্পের সম্ভাব্যতা সমীক্ষার চূড়ান্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বা ১.৬১৫ বিলিয়ন ডলার।
২) পাটুরিয়া-গোয়ালন্দ দ্বিতীয় পদ্মা সেতু। এই প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৩১ হাজার ২০০ কোটি টাকা (২.৮ বিলিয়ন ডলার)।
৩) বাকেরগঞ্জ-বাউফল সড়কে কারখানা নদীর উপর একটি সেতু।
৪) মেঘনা নদীর উপর ভোলা-লক্ষ্মীপুর সড়কে একটি সেতু। ৫)

মানবজমিনের ওই প্রতিবেদনে সেতু বিভাগের সূত্র উল্লেখ করে বলা হয়, সব মিলিয়ে পাঁচ প্রকল্পে আনুমানিক ৮.৮৭ বিলিয়ন ডলার ব্যয় হতে পারে।

সেতু বিভাগের সচিব মো. মনজুর হোসেন জানান, এনডিবি’র সঙ্গে বৈঠকে সেতু বিভাগ কোনো প্রকল্পে অর্থায়নের জন্য অগ্রাধিকার নির্ধারণ করে দেয়নি। এনডিবি তাদের পর্যালোচনা অনুযায়ী, যে সেতুতে বিনিয়োগে আগ্রহী হবে, সেখানে বিনিয়োগ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে এনডিবি’র সদস্যপদ লাভ করে বাংলাদেশ, তবে ঋণ প্রস্তাব পাঠাতে দীর্ঘসূত্রতার কারণে এই সংস্থার কাছ থেকে এখনো ঋণ পায়নি বাংলাদেশ। তবে দুই প্রকল্পে ঋণ প্রক্রিয়াকরণের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে।

এনডিবি ছয়টি খাতে সদস্য দেশগুলোকে ঋণ দেয়। এগুলো হলো- পরিচ্ছন্ন জ্বালানি ও জ্বালানি ব্যবহারের দক্ষতা বৃদ্ধি, পরিবহন, অবকাঠামো, পানি ও স্যানিটেশন, পরিবেশ সুরক্ষা, সামাজিক অবকাঠামো এবং ডিজিটাল অবকাঠামো খাত।

আরও খবর

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

জনপ্রিয় সংবাদ

You cannot copy content of this page