নিজস্ব প্রতিনিধি
স্বামী মুহাম্মদ মকছুদকে হত্যা করার পর মামলা তুলে নিতে আসামীরা হুমকি দিয়েছিল তার স্ত্রী শারমিন আক্তারকে। হুমকি দিয়ে কাজ না হওয়ায় এবার বসতঘরে ডুকে লুটপাট চালানোর পর মারধর করে আহত করেছে শারমিন আক্তারকে। পরে স্থানীয়রা তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে মহেশখালী হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়।
শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারী) রাত সাড়ে ১১টার দিকে কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়ার ইউনুছখালি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ভূক্তভোগী শারমিন আক্তার জানান- তাদের প্রতিবেশী এহছান উল্লাহর পুত্র মোঃ নাছির, আজগর আলী ও মোঃ ফারুক, মৃত উলা মিয়ার পুত্র আরিফ উল্লাহ ও দরত উল্লাহসহ আরো ৭/৮ জন লোক দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বসত ঘরে ডুকে হত্যা মামলা তুলে নিতে হুমকি দেয়। এসময় তারা শারমিন আক্তারকে মারধর করে গুরুতর আহত করে।
তিনি আরো জানান- প্রতিপক্ষের লোকজন বসতঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর করে প্রায় ৩৫ হাজার টাকার ক্ষতি করে। পাশাপাশি বাড়িতে থাকা নগদ ৩২ হাজার টাকা এবং দুই ভরি স্বর্ণলংকার লুট করে নিয়ে যায়। সেসময় তারা মামলা তুলে না নিলে তাকেও তার স্বামীর মত হত্যা করবে বলে হুমকি দেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এর আগে গত বছরের ৮ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৯টার দিকে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ছুরিকাঘাত ও মারধর করে মুহাম্মদ মকছুদকে গুরুতর আহত করা হয়। ওই ঘটনায় মকছুদের ভাই মোস্তাক আহমদ বাদী হয়ে মহেশখালী থানায় আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। পরে ১৭ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আহত মুহাম্মদ মকছুদ মারা যান। পরে আদালতের নির্দেশে মামলাটি হত্যা মামলায় রূপ নেয়।
মামলার বাদী মোস্তাক আহমদ বলেন- “ঘটনার পর থেকে পুলিশ কোন আসামী গ্রেপ্তার করতে পারেনি। পরে আসামীদের অধিকাংশই উচ্চ আদালত থেকে জামিনে এসেছে শুনেছি। তারপর থেকে মামলা তুলে নিতে বিভিন্ন মাধ্যমে হুমকি দিচ্ছে। তাদের হুমকির মুখে জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।”
এই ব্যাপারে মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ সুকান্ত চক্রবর্তী বলেন- “অভিযোগটি হাতে পেয়েছি। সেই বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।”