আব্দুর রশিদ মানিক:
মিয়ানমারের রাখাইনে জান্তা বাহিনী এবং সশস্ত্রগোষ্ঠী আরাকান আর্মির মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। কিন্তু এই সংঘর্ষের রেশ উড়ে এসে পড়েছে কক্সবাজার সীমান্তে। টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় ভারী মর্টার ও গুলির শব্দ শুনা যাচ্ছে। মিয়ানমার সীমান্তবর্তী এলাকায় বসবাসকারী গ্রামবাসীরা এখন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।
শনিবার (২৭ জানুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৩ টার দিকে এপারে বাংলাদেশ অংশে হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড উলুবনিয়া এলাকায় স্থানীয় নুরুল ইসলামের বসত ঘরে এসে পড়ে এলএমজি’র গুলি। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার আতঙ্ক আরও বেড়েছে সীমান্ত এলাকার মানুষের।
হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মাওলানা নুর আহমদ আনোয়ারী টিটিএন-কে বলেছেন, গতকাল (২৭ জানুয়ারি) আমি নিজেও গুলির আওয়াজ শুনেছি। আমার এলাকার একটি ঘরেও গুলি এসে পড়েছে। আমরা খবরাখবর নিয়েছি। সীমান্ত এলাকার মানুষজন এখন অনেক আতঙ্কে আছে।
সকাল থেকে বিজিবিসহ অনেক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সীমান্ত এলাকায় এসেছে জানিয়ে তিনি যোগ করেন, বিজিবসহ অনেক বাহিনী সীমান্ত এলাকায় এখন টহল দিচ্ছে। এরকম অবস্থা হলে একটু শান্তি পাবে এলাকার মানুষ।
বিষয়টি নিয়ে টেকনাফ-২ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোঃ মহিউদ্দিন বলেন, প্রতিবেশী দেশটিতে দীর্ঘদিন ধরে সংঘাত চলমান থাকায় মিয়ানমার সীমান্তে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার আছে এবং এখন সীমান্তের কাছাকাছি সংঘর্ষ চলছে বলে তা আরও জোরদার করা হয়েছে।
যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য আমরা চব্বিশঘন্টা সতর্ক আছি জানিয়ে তিনি বলেন, হোয়াইক্যং এ গুলাগুলির শব্দ এবং গুলি এসে পড়ার খবর শুনেছি। কিন্তু ওই এলাকা তার এখতিয়ারের মধ্যে না। এ বিষয়ে তিনি ৩৪ বিজিবির অধিনায়ক সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন।
তবে ৩৪ বিজিবির অধিনায়ক এই প্রতিবেদকের ফোন ধরেননি।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইয়ামিন হোসেন টিটিএন-কে বলেন, গুলাগুলির খবর শুনার পর থেকেই ইউএনও টেকনাফ এবং টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খবরাখবর নিচ্ছেন। এছাড়া বিজিবির বাড়তি নজরদারি সেখানে জোরদার করা হয়েছে।