কাব্য সৌরভ :
সৌদি আরবের এক মরু এলাকায় ডাস্টবিনের খাবার কুড়িয়ে খাচ্ছে এক যুবক। এমন একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ওই ভিডিও’তে যুবক দালালের ফাঁদে পড়ে সৌদি আরব গিয়ে তার এমন পরিণতির কথাও জানান। জানা যায় ওই যুবক মহেশখালী উপজেলার বড় মহেশখালী ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড মধুয়ার ডেইল এলাকার রহিম বকসুর পুত্র শাহজাহান মুনির নয়ন।
তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি টিটিএন কে জানান, বড় মহেশখালী মধুয়ার ডেইল এলাকার শামসুল আলম প্রকাশ সোনা মিয়া নামের এক দালালের মাধ্যমে ৫ লক্ষ টাকার বিনিময়ে তিনি সৌদি যান। দালাল সোনা মিয়া শাহজাহানকে গত ২৩ নভেম্বর টেইলার্সের ভিসার কথা বলে সৌদি আরবে পাঠান। দালাল সোনা মিয়ার বরাত দিয়ে শাহজাহান টিটিএন-কে অভিযোগ করে বলেন, ভিসা চুক্তির সময় সোনা মিয়া বলেছিলো ফ্লাইটের পর বিমানবন্দর থেকে তার লোক শাহজাহানকে এয়ারপোর্ট থেকে রিসিভ করে নিয়ে যাবে। এরপর তিনমাস তার থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করবে। কিন্তু সৌদি আরবের এয়ারপোর্টে পৌঁছার পর সোনা মিয়া শাহজাহানের সাথে যোগাযোগ রাখেনি।
এরপর নিকটস্থ পরিচিত একজনের বাসার খোঁজ পেয়ে তাকে দালালের ফাঁদে পড়ার বিষয়টি বুঝিয়ে বলার পর তিনি শাহজাহান কে তার বাসায় আশ্রয় দেন। ১৫ দিন থাকার পর সে শাহজাহানকে তার বাসায় আর রাখতে পারবে না বলে বের করে দিয়ে এক গাড়িতে তুলে দিলে ওই গাড়ি তাকে এক অচেনা জায়গায় নিয়ে যায়। গাড়িভাড়া না থাকায় পরিচিত কাউকে না পেয়ে ওই মরু এলাকায় খোলা আকাশের নিচে দিনপার করেন শাহাজাহান। এসময় তিনি ডাস্টবিনের খাবার খেয়ে কোনো রকম বেঁচে থাকেন।
শাহজাহান জানান, বিভিন্ন লোক থেকে ধারদেনা করে তিনি সৌদি আরব গিয়েছিলেন, পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিও তিনি। কিন্তু শামসুল আলম প্রকাশ সোনা মিয়ার এমন প্রতারণায় তার প্রবাস জীবন দুর্বিষহ হয়ে গেছে। তিনি দালাল শামসুল আলম প্রকাশ সোনা মিয়ার শাস্তির দাবী জানিয়ে বলেন, ‘ভাই আকামা না থাকায় আমি কোনো কাজ করতেও পারছিনা, আর ধারদেনা করে বিদেশ আসায় ধারদেনার ভয়ে দেশেও যেতে পারছিনা। এদিকে আমার পরিবারে আমি ছাড়া তেমন কেউ নেই পরিবার চালানোর।’
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দালাল শামসুল আলম প্রকাশ সোনা মিয়ার এমন প্রতারণার ফাঁদে পড়ে সৌদি আরব গিয়ে অনেক যুবক নিঃস্ব হয়েছেন। শামসুল আলমসহ এমন দালালদের উপযুক্ত শাস্তি চান তারা।