নিজস্ব প্রতিবেদক:
সেন্টমার্টিনের হোছন বানু। ৬৭ বছরের এই বৃদ্ধা বলছিলেন তুফানে তার ঘরবাড়ি বিলীন হয়ে গেছে। মোখার আঘাত শুরুর পর বিকেল ৩ টার দিকে তার ঘরের চাল উড়িয়ে নিয়ে যায় বাতাসে। তারপর থেকে তিন আশ্রয় নিয়েছে পাশের একটি কটেজে। সেন্টমার্টিনে তার মতো মোখার আঘাতে বাড়িঘর ভেঙ্গেছে প্রায় ১২০০ মানুষের। যাদের একজন মোহাম্মদ আলম। ৩ নং ওয়াডের এই বাসিন্দা জানান,তুফান শুরু হতেই তার ঘর ভেঙ্গে যায়। তারা আশ্রয় নিয়েছে স্থানীয় এক আত্মীয়ের বাড়িতে। বয়োবৃদ্ধ নুরুল আলম জানান, বাতাসের সাথে যদি জলোচ্ছাস হতো তবে সেন্টমার্টিনে জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতো। তিনি জানান,প্রচন্ড বেগে বাতাস শুরু হওয়ার পর দুপুর ২ টার দিকে নারকেল গাছ পড়ে তার ঘরটি ভেঙ্গে যায়।
এদিকে সেন্টমার্টিন পরিদর্শনকালে এসব মানুষের সবক্ষতি সরকারিভাবে পুষিয়ে দেয়ার কথা জানান কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান। তিনি জানান, যাদের চাল উড়ে গেছে তাদের টেউটিন ও নগদ টাকা এবং যাদের বাড়িঘর ভেঙ্গে গেছে তাদের নগদ টাকা দেয়া হবে।