আব্দুর রশিদ মানিক:
সম্প্রতি কক্সবাজারে হঠাৎ মিয়ানমারে জ্বালানি তেল পাচার বেড়ে গেছে। গত কয়েকদিনের ব্যবধানে কক্সবাজারের বিভিন্ন জায়গা থেকে ১০ হাজার লিটারেরও বেশি তেল জব্দ করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
মায়ানমারে জ্বালানী তেল পাচার বন্ধে জেলাব্যাপী অভিযান পরিচালনা করেছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন। জ্বালানি তেলসহ অন্যান্য দ্রব্যের পাচার রোধকল্পে কক্সবাজারের বিভিন্ন উপজেলায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। এ সময় লাইসেন্স ছাড়া পেট্রোলিয়াম ব্যবসা পরিচালনার দায়ে ৬ টি প্রতিষ্ঠানকে ২,১৮,০০০ টাকা জরিমানা করা হয়। এর মধ্যে শহরের নুনিয়ারছড়া এলাকায় লাইসেন্স ছাড়া বার্জ পরিচালনার দায়ে ২ টি প্রতিষ্ঠানকে ১,০০,০০০ করে ২,০০,০০০ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) সকাল থেকে কক্সবাজার জেলাব্যাপী শুরু হয় এই অভিযান। এসময় একযোগে সকল পেট্রোল পাম্প ও ট্রলারে তেল বিক্রি করা নদীর মোহনায় ভাসমান তেলের পাম্পগুলোতে অভিযান চালানো হয়। অবৈধ পন্থায় কোনো পাম্প তেল বিক্রি করছে কিনা সেটি খতিয়ে দেখা হয় অভিযানে।
ফিশারিঘাটে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইয়ামিন হোসেনের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের একটি টিম। এসময় তিনি বলেন, ডলার খরচ করে কেনা বাংলাদেশের জ্বালানি তেল পাচার করা হচ্ছে। এবার থেকে তেলের পাম্প থেকে কারা কি পরিমাণ তেল কিনছে তার হিসেব রাখার নির্দেশনা দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
এসময় তিনি আরও জানান, পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের সাথে তারা যোগাযোগ করেছে, শীঘ্রই তারা কক্সবাজারে কোন পাম্প কি পরিমাণ তেল কিনছে তালিকাটি হাতে পাবেন, তালিকাটি পেলে তেল পাচারের সাথে জড়িত পাম্পগুলোকে শনাক্ত করতে সহজ হবে তাদের।
ফিশিং ট্রলারে তেল বিক্রি করা পাম্পগুলোর মালিক ও জেলেরা বলছেন, মূলত পাচারকারীরা বিভিন্ন পেট্রোল পাম্পের সাথে চুক্তি করে তেলগুলো পাচার করে। এর সাথে জেলে বা নদীর মোহনার ভাসমান পাম্পগুলো জড়িত নয়।