ঢাকা ০৩:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ১৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
পিটি স্কুল থেকে অ’প’হৃ’ত ব্যবসায়ী আলমগীর সাবরাং থেকে উদ্ধার: আটক ১ বাংলাদেশের প্রথম ‘কার্বন নিরপেক্ষ’ শিশু রুহাব ভারতের অন্ধ্র উপকূলে মোনথার আঘাত, ১ জনের মৃত্যু রাজনীতি চরিত্র বদলায়, কাহিনী বদলায় না ইসলামাবাদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক গ্রেফতার একলাফে সাড়ে ১০ হাজার টাকা কমলো স্বর্ণের দাম পল্টন ট্রাজেডি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল নিখোঁজের ২৫ ঘণ্টা পর বাঁকখালি নদী থেকে ইব্রাহিমের ম’র’দে’হ উদ্ধার কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক কোনো ফ্লাইট-জরুরি অবতরণও নিষেধ যে কারণে.. সাগরজলে নারী পর্যটকের গোসলের ভিডিও ধারণ, টিকটকার গ্রেফতার কালারমারছড়ায় পুলিশের অভিযান: অস্ত্রসহ আটক ৩ মির্জা ফখরুলের সঙ্গে ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সৌজন্যে সাক্ষাৎ সীমান্তে ৪ লাখ ইয়াবা জব্দ : ৬ মাসে ৪০ কোটি টাকার অধিক মূল্যের ইয়াবা উদ্ধার ৩৪ বিজিবির পেকুয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে গ্রেফতার হলো রংপুরের মোবারক আলী হত্যা মামলার মূলহোতা মমিনুল

৬ দিনে ৬০০ কোটি টাকার ব্যবসা কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে

তীব্র গরমের মাঝেও ঈদের লম্বা ছুটিতে বিশ্বের অন্যতম দীর্ঘ সমুদ্রসৈকত কক্সবাজার ছিল পর্যটকে টইটম্বুর। টানা ৬ দিনে আগমন ঘটে ৭ লাখ ভ্রমণপিপাসুর। যার কারণে চাঙা ছিল পর্যটনখাতের সব ধরনের ব্যবসা। চেম্বার অফ কমার্সের মতে, এই সময়ের মধ্যে প্রায় ৬০০ কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছে, যা প্রত্যাশার চেয়েও অনেক বেশি।

ঈদের পরদিন থেকে সৈকত শহরে প্রতিদিন লাখো পর্যটক আসতে থাকে। ঈদের পরদিন থেকে প্রতিদিনই লাখের বেশি পর্যটকে মুখরিত ছিল সাগরতীর। পর্যটকরা সাগরের নোনাজলে মেতে ওঠার পাশাপাশি উপভোগ করেন নানা রোমাঞ্চকর অ্যাডভেঞ্চার, যেমন জেড স্কি, বিচ বাইক এবং ঘোড়ার পিঠে ভ্রমণ। এতে সৈকতপাড়ের শামুক-ঝিনুক, শুঁটকি, আচার, গহনা ও বার্মিজ পণ্যের দোকানিদের মধ্যে ব্যস্ততার শেষ ছিল না।

সৈকতের ফটোগ্রাফার মোহাম্মদ গফুর বলেন, ঈদের ছুটিতে কক্সবাজার সৈকতে প্রচুর পর্যটক। ঈদের পর থেকে প্রতিদিনই ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা আয় করেছি পর্যটকের ছবি তুলে। সৈকতে প্রায় ৬’শ ফটোগ্রাফার রয়েছে, সবারই একই অবস্থা।

জেড স্কী চালক মুন্না বলেন, সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত পর্যটকদের জেড স্কীতে চড়িয়ে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা আয় হয়। ঈদের ছুটিতে কক্সবাজারে পর্যটক আসায় ভাল ব্যবসা হচ্ছে।

বার্মিজ পণ্যের দোকানদার রহিম উদ্দিন বলেন, রমজান একমাস পর্যটক শূন্য ছিল। তাই ব্যবসা হয়নি। কিন্তু ঈদের ছুটিতে কক্সবাজারে বিপুল সংখ্যক পর্যটক আসায় প্রতিদিনই ৬০ থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত ব্যবসা হয়েছে।

কক্সবাজারে রয়েছে ৫ শতাধিক হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউস। টানা ছুটিতে হোটেলগুলো ছিল পর্যটকে ঠাসা। প্রত্যাশা অনুযায়ী ব্যবসা হয়েছে বলে দাবি হোটেল কর্তৃপক্ষের।

হোটেল কক্স টুডের ব্যবস্থাপক আবু তালেব শাহ বলেন, প্রত্যাশা অনুযায়ী এবারের ছুটিতে ব্যবসা হয়েছে। কারণ নিরাপদে কক্সবাজার ঘুরতে পেরেছেন পর্যটকরা। পর্যটকের যে আগমন কক্সবাজারে হচ্ছে, তা আগামী ১৪ এপ্রিল অব্যাহত থাকবে প্রত্যাশা করছি। ব্যবসা খুবই ভালো হচ্ছে।

কক্সবাজার চেম্বার অফ কমার্সের সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী খোকা বলেন, ঈদের ছুটিতে গত ছয়দিনে প্রায় ৭ লাখ পর্যটকের আগমন হয়েছে কক্সবাজারে। তাই পর্যটনের সবখাতে প্রায় ৬০০ কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছে।

সৈকতের পাড় ঘেঁষে রয়েছে সহস্রাধিক বার্মিজ পণ্যের দোকান। আর আছেন সহস্রাধিক ফটোগ্রাফার, জেড স্কি, বিচ বাইক চালক ও কিটকট ব্যবসায়ী।

 

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

This will close in 6 seconds

৬ দিনে ৬০০ কোটি টাকার ব্যবসা কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে

আপডেট সময় : ০৭:০২:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ এপ্রিল ২০২৫

তীব্র গরমের মাঝেও ঈদের লম্বা ছুটিতে বিশ্বের অন্যতম দীর্ঘ সমুদ্রসৈকত কক্সবাজার ছিল পর্যটকে টইটম্বুর। টানা ৬ দিনে আগমন ঘটে ৭ লাখ ভ্রমণপিপাসুর। যার কারণে চাঙা ছিল পর্যটনখাতের সব ধরনের ব্যবসা। চেম্বার অফ কমার্সের মতে, এই সময়ের মধ্যে প্রায় ৬০০ কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছে, যা প্রত্যাশার চেয়েও অনেক বেশি।

ঈদের পরদিন থেকে সৈকত শহরে প্রতিদিন লাখো পর্যটক আসতে থাকে। ঈদের পরদিন থেকে প্রতিদিনই লাখের বেশি পর্যটকে মুখরিত ছিল সাগরতীর। পর্যটকরা সাগরের নোনাজলে মেতে ওঠার পাশাপাশি উপভোগ করেন নানা রোমাঞ্চকর অ্যাডভেঞ্চার, যেমন জেড স্কি, বিচ বাইক এবং ঘোড়ার পিঠে ভ্রমণ। এতে সৈকতপাড়ের শামুক-ঝিনুক, শুঁটকি, আচার, গহনা ও বার্মিজ পণ্যের দোকানিদের মধ্যে ব্যস্ততার শেষ ছিল না।

সৈকতের ফটোগ্রাফার মোহাম্মদ গফুর বলেন, ঈদের ছুটিতে কক্সবাজার সৈকতে প্রচুর পর্যটক। ঈদের পর থেকে প্রতিদিনই ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা আয় করেছি পর্যটকের ছবি তুলে। সৈকতে প্রায় ৬’শ ফটোগ্রাফার রয়েছে, সবারই একই অবস্থা।

জেড স্কী চালক মুন্না বলেন, সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত পর্যটকদের জেড স্কীতে চড়িয়ে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা আয় হয়। ঈদের ছুটিতে কক্সবাজারে পর্যটক আসায় ভাল ব্যবসা হচ্ছে।

বার্মিজ পণ্যের দোকানদার রহিম উদ্দিন বলেন, রমজান একমাস পর্যটক শূন্য ছিল। তাই ব্যবসা হয়নি। কিন্তু ঈদের ছুটিতে কক্সবাজারে বিপুল সংখ্যক পর্যটক আসায় প্রতিদিনই ৬০ থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত ব্যবসা হয়েছে।

কক্সবাজারে রয়েছে ৫ শতাধিক হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউস। টানা ছুটিতে হোটেলগুলো ছিল পর্যটকে ঠাসা। প্রত্যাশা অনুযায়ী ব্যবসা হয়েছে বলে দাবি হোটেল কর্তৃপক্ষের।

হোটেল কক্স টুডের ব্যবস্থাপক আবু তালেব শাহ বলেন, প্রত্যাশা অনুযায়ী এবারের ছুটিতে ব্যবসা হয়েছে। কারণ নিরাপদে কক্সবাজার ঘুরতে পেরেছেন পর্যটকরা। পর্যটকের যে আগমন কক্সবাজারে হচ্ছে, তা আগামী ১৪ এপ্রিল অব্যাহত থাকবে প্রত্যাশা করছি। ব্যবসা খুবই ভালো হচ্ছে।

কক্সবাজার চেম্বার অফ কমার্সের সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী খোকা বলেন, ঈদের ছুটিতে গত ছয়দিনে প্রায় ৭ লাখ পর্যটকের আগমন হয়েছে কক্সবাজারে। তাই পর্যটনের সবখাতে প্রায় ৬০০ কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছে।

সৈকতের পাড় ঘেঁষে রয়েছে সহস্রাধিক বার্মিজ পণ্যের দোকান। আর আছেন সহস্রাধিক ফটোগ্রাফার, জেড স্কি, বিচ বাইক চালক ও কিটকট ব্যবসায়ী।