ঢাকা ০৮:৪৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০১ জুন ২০২৫, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতল পিএসজি নাফ নদে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ কিশোর ফিরলো লাশ হয়ে ছি’নতা’ইকারীর ধা’ক্কা’য় মায়ের সামনে ছেলের প্রা’ণ গেলো সড়কে রামুতে অপারেশন ডেভিল হান্টে ২ আওয়ামীলীগ নেতা আটক নাফ নদে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ কিশোর ফিরলো লাশ হয়ে রেফারিজ প্রশিক্ষণ কোর্সে উত্তীর্ণ কুতুবদিয়ার নিহাল মহেশখালীতে রশিদ হ’ত্যা: আসামিদের পাল্টা মামলায় হয়রানির শিকার বাদীর পরিবার চকরিয়ায় পানিতে ডুবে ৭ বছর বয়সী রাফির মৃত্যু বৈরী আবহাওয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন সেন্টমার্টিন: খাদ্য সংকট সি-ট্রাকে নেই ডাস্টবিন: যাত্রীরা যত্রতত্র ফেলছে প্লাস্টিক বর্জ্য সি-ট্রাকে নেই ডাস্টবিন: যাত্রীরা যত্রতত্র ফেলছে প্লাস্টিক বর্জ্য পেকুয়ায় জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের মাঝে সংস্কৃতি উপদেষ্টার চেক বিতরণ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে জুলাই গণহত্যার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল রবিবার রোদ ঝলমলে আকাশ নিবন্ধন ও প্রতীক ফিরে পেতে জামায়াতের আপিলের রায় রবিবার

৬ দিনে ৬০০ কোটি টাকার ব্যবসা কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে

তীব্র গরমের মাঝেও ঈদের লম্বা ছুটিতে বিশ্বের অন্যতম দীর্ঘ সমুদ্রসৈকত কক্সবাজার ছিল পর্যটকে টইটম্বুর। টানা ৬ দিনে আগমন ঘটে ৭ লাখ ভ্রমণপিপাসুর। যার কারণে চাঙা ছিল পর্যটনখাতের সব ধরনের ব্যবসা। চেম্বার অফ কমার্সের মতে, এই সময়ের মধ্যে প্রায় ৬০০ কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছে, যা প্রত্যাশার চেয়েও অনেক বেশি।

ঈদের পরদিন থেকে সৈকত শহরে প্রতিদিন লাখো পর্যটক আসতে থাকে। ঈদের পরদিন থেকে প্রতিদিনই লাখের বেশি পর্যটকে মুখরিত ছিল সাগরতীর। পর্যটকরা সাগরের নোনাজলে মেতে ওঠার পাশাপাশি উপভোগ করেন নানা রোমাঞ্চকর অ্যাডভেঞ্চার, যেমন জেড স্কি, বিচ বাইক এবং ঘোড়ার পিঠে ভ্রমণ। এতে সৈকতপাড়ের শামুক-ঝিনুক, শুঁটকি, আচার, গহনা ও বার্মিজ পণ্যের দোকানিদের মধ্যে ব্যস্ততার শেষ ছিল না।

সৈকতের ফটোগ্রাফার মোহাম্মদ গফুর বলেন, ঈদের ছুটিতে কক্সবাজার সৈকতে প্রচুর পর্যটক। ঈদের পর থেকে প্রতিদিনই ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা আয় করেছি পর্যটকের ছবি তুলে। সৈকতে প্রায় ৬’শ ফটোগ্রাফার রয়েছে, সবারই একই অবস্থা।

জেড স্কী চালক মুন্না বলেন, সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত পর্যটকদের জেড স্কীতে চড়িয়ে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা আয় হয়। ঈদের ছুটিতে কক্সবাজারে পর্যটক আসায় ভাল ব্যবসা হচ্ছে।

বার্মিজ পণ্যের দোকানদার রহিম উদ্দিন বলেন, রমজান একমাস পর্যটক শূন্য ছিল। তাই ব্যবসা হয়নি। কিন্তু ঈদের ছুটিতে কক্সবাজারে বিপুল সংখ্যক পর্যটক আসায় প্রতিদিনই ৬০ থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত ব্যবসা হয়েছে।

কক্সবাজারে রয়েছে ৫ শতাধিক হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউস। টানা ছুটিতে হোটেলগুলো ছিল পর্যটকে ঠাসা। প্রত্যাশা অনুযায়ী ব্যবসা হয়েছে বলে দাবি হোটেল কর্তৃপক্ষের।

হোটেল কক্স টুডের ব্যবস্থাপক আবু তালেব শাহ বলেন, প্রত্যাশা অনুযায়ী এবারের ছুটিতে ব্যবসা হয়েছে। কারণ নিরাপদে কক্সবাজার ঘুরতে পেরেছেন পর্যটকরা। পর্যটকের যে আগমন কক্সবাজারে হচ্ছে, তা আগামী ১৪ এপ্রিল অব্যাহত থাকবে প্রত্যাশা করছি। ব্যবসা খুবই ভালো হচ্ছে।

কক্সবাজার চেম্বার অফ কমার্সের সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী খোকা বলেন, ঈদের ছুটিতে গত ছয়দিনে প্রায় ৭ লাখ পর্যটকের আগমন হয়েছে কক্সবাজারে। তাই পর্যটনের সবখাতে প্রায় ৬০০ কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছে।

সৈকতের পাড় ঘেঁষে রয়েছে সহস্রাধিক বার্মিজ পণ্যের দোকান। আর আছেন সহস্রাধিক ফটোগ্রাফার, জেড স্কি, বিচ বাইক চালক ও কিটকট ব্যবসায়ী।

 

ট্যাগ :

This will close in 6 seconds

৬ দিনে ৬০০ কোটি টাকার ব্যবসা কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে

আপডেট সময় : ০৭:০২:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ এপ্রিল ২০২৫

তীব্র গরমের মাঝেও ঈদের লম্বা ছুটিতে বিশ্বের অন্যতম দীর্ঘ সমুদ্রসৈকত কক্সবাজার ছিল পর্যটকে টইটম্বুর। টানা ৬ দিনে আগমন ঘটে ৭ লাখ ভ্রমণপিপাসুর। যার কারণে চাঙা ছিল পর্যটনখাতের সব ধরনের ব্যবসা। চেম্বার অফ কমার্সের মতে, এই সময়ের মধ্যে প্রায় ৬০০ কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছে, যা প্রত্যাশার চেয়েও অনেক বেশি।

ঈদের পরদিন থেকে সৈকত শহরে প্রতিদিন লাখো পর্যটক আসতে থাকে। ঈদের পরদিন থেকে প্রতিদিনই লাখের বেশি পর্যটকে মুখরিত ছিল সাগরতীর। পর্যটকরা সাগরের নোনাজলে মেতে ওঠার পাশাপাশি উপভোগ করেন নানা রোমাঞ্চকর অ্যাডভেঞ্চার, যেমন জেড স্কি, বিচ বাইক এবং ঘোড়ার পিঠে ভ্রমণ। এতে সৈকতপাড়ের শামুক-ঝিনুক, শুঁটকি, আচার, গহনা ও বার্মিজ পণ্যের দোকানিদের মধ্যে ব্যস্ততার শেষ ছিল না।

সৈকতের ফটোগ্রাফার মোহাম্মদ গফুর বলেন, ঈদের ছুটিতে কক্সবাজার সৈকতে প্রচুর পর্যটক। ঈদের পর থেকে প্রতিদিনই ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা আয় করেছি পর্যটকের ছবি তুলে। সৈকতে প্রায় ৬’শ ফটোগ্রাফার রয়েছে, সবারই একই অবস্থা।

জেড স্কী চালক মুন্না বলেন, সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত পর্যটকদের জেড স্কীতে চড়িয়ে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা আয় হয়। ঈদের ছুটিতে কক্সবাজারে পর্যটক আসায় ভাল ব্যবসা হচ্ছে।

বার্মিজ পণ্যের দোকানদার রহিম উদ্দিন বলেন, রমজান একমাস পর্যটক শূন্য ছিল। তাই ব্যবসা হয়নি। কিন্তু ঈদের ছুটিতে কক্সবাজারে বিপুল সংখ্যক পর্যটক আসায় প্রতিদিনই ৬০ থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত ব্যবসা হয়েছে।

কক্সবাজারে রয়েছে ৫ শতাধিক হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউস। টানা ছুটিতে হোটেলগুলো ছিল পর্যটকে ঠাসা। প্রত্যাশা অনুযায়ী ব্যবসা হয়েছে বলে দাবি হোটেল কর্তৃপক্ষের।

হোটেল কক্স টুডের ব্যবস্থাপক আবু তালেব শাহ বলেন, প্রত্যাশা অনুযায়ী এবারের ছুটিতে ব্যবসা হয়েছে। কারণ নিরাপদে কক্সবাজার ঘুরতে পেরেছেন পর্যটকরা। পর্যটকের যে আগমন কক্সবাজারে হচ্ছে, তা আগামী ১৪ এপ্রিল অব্যাহত থাকবে প্রত্যাশা করছি। ব্যবসা খুবই ভালো হচ্ছে।

কক্সবাজার চেম্বার অফ কমার্সের সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী খোকা বলেন, ঈদের ছুটিতে গত ছয়দিনে প্রায় ৭ লাখ পর্যটকের আগমন হয়েছে কক্সবাজারে। তাই পর্যটনের সবখাতে প্রায় ৬০০ কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছে।

সৈকতের পাড় ঘেঁষে রয়েছে সহস্রাধিক বার্মিজ পণ্যের দোকান। আর আছেন সহস্রাধিক ফটোগ্রাফার, জেড স্কি, বিচ বাইক চালক ও কিটকট ব্যবসায়ী।