কক্সবাজার থেকে ইতিহাসের প্রথম পূর্ণমন্ত্রী, কক্সবাজারের কৃতিসন্তান মরহুম মৌলভী ফরিদ আহমদের ৫৩তম শাহাদত বার্ষিকী ২৩ ডিসেম্বর । ৫৩ বছর আগে স্বাধীনতার ঊষালগ্নে ক্ষণজন্মা এই কৃতিপুরুষকে সন্ত্রাসিরা তাকে গুম করে খুন করে। গত ৫৩ বছরেও শহীদ মৌলভী ফরিদ আহমদের কবরের সন্ধান পায়নি তার স্বজনরা।
অর্ধশত বছর পরেও জনপ্রিয় মৌলভী ফরিদ আহমদের শাহাদত বার্ষিকীতে তাঁকে স্মরণ করছে কক্সবাজারবাসী। শাহাদত বার্ষিকীতে বরাবরের মতো খতমে কুরআন, এতিমখানায় খাবার বিতরণ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয় রামু ও কক্সবাজারের বিভিন্ন মসজিদে।
ধলিরছরা আশরাফুল উলুম মাদরাসা মসজিদ, মাছুয়াখালী উত্তরপাড়া জামে মসজিদ, কাহাতিয়া পাড়া জামে মাসজিদ, ছিদ্দিক জামে মসজিদ, নতুন বাজার জামে মসজিদ, ভারুয়াখালী জামে মসজিদ, খুরুস্কুল গাজির ডেইল জামে মসজিদ, মাছুয়াখালী ছরাপাড় জামে সাজিদ, ঈদগাঁও রশীদ আহমদ কলেজ জামে মসজিদ সমুহে মুসল্লিরা দোয়া মাধ্যমে তাদের প্রিয়নেতা রহুম মৌলভী ফরিদ আহমদকে স্মরণ করেন।
মৌলভী ফরিদ আহমদ ছিলেন কক্সবাজারের সাবেক দুইজন জনপ্রিয় এমপি যথাক্রমে মরহুম এড. মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান ও সাবেক এমপি ইন্জিনিয়ার মোহাম্মদ সহিদুজ্জামানের গর্বিত পিতা।
মৌলভী ফরিদ আহমদ ৩ জানুয়ারী ১৯২৩ ইংরেজী রামুর রশিদনগর মাছুয়াখালী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
ছাত্র জীবনে মৌলভী ফরিদ আহমদ ৪৬-৪৭ সেশনে ডাকসু ভিপি ছিলেন। কক্সবাজার বার এসোসিয়েশনের সেক্রেটারি, কক্সবাজার জামে মসজিদের সেক্রেটারি, কক্সবাজার ক্রীড়া সমিতির সেক্রেটারি পদে দায়িত্ব পালন করেন। মৌলভী ফরিদ আহমদ কক্সবাজার পৌরসভার নির্বাচিত চেয়ারম্যান হিসেবেও সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি দীর্ঘদিন ঢাকা বার কাউন্সিলের সহ-সভাপতিও ছিলেন।
ছাত্র রাজনীতি ছেড়ে কলেজের অধ্যাপনা করেন তিনি। পরে আইন পেশায় নিয়োজিত হয়ে জাতীয় রাজনীতিতেও নিজেকে সক্রিয় রেখেছিলেন তিনি।
এক বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারী ছিলেন মৌলভী ফরিদ আহমদ। ১৯৫২ সালে তিনি তদানিন্তন নেজামে ইসলাম পার্টিতে যোগদান করেন এবং দ্রুত দলটির কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল পদে অধিষ্ঠিত হন। তিনি ১৯৫৪ সালে যুক্ত ফ্রন্টের প্রার্থী হিসাবে এম.এল.এ, ১৯৫৫ সালে এম.সি.এ (এমএনএ) এবং তৎকালীন যুক্তফ্রন্টের পার্লামেন্টারি পার্টির চীফ হুইপ নির্বাচিত হন। ১৯৫৭ সালে মুসলিম লীগ সরকারের মন্ত্রীসভার শ্রম মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।