ঢাকা ০৪:৪০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ২৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
কক্সবাজার-২ আসনে এনসিপির মনোনয়ন সংগ্রহ করলেন কেন্দ্রীয় নেতা সুজা দেড় ঘন্টা পর নিয়ন্ত্রণে বাজারঘাটার আগুন আদালতে আত্মসমর্পণ: ঠিকাদার আতিকুল ইসলামকে কারাগারে প্রেরণ বাজারঘাটার একটি মার্কেটে আগুন, নিয়ন্ত্রণের চেষ্টায় ফায়ারসার্ভিস  টেকনাফে বিএনপির একাংশের মিছিলকে আওয়ামী লীগের বলে ফেসবুকে প্রচার! কক্সবাজার শহরের রাস্তায় সদ্য সন্তান হওয়া মা কুকুর ও শাবকদের রক্ষায় সচেতনতামূলক পোস্টার টিটিএন কে ধন্যবাদ জানালেন বরেণ্য মানবাধিকার কর্মী ড.শহিদুল আলম রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বন্ধ হওয়া শিক্ষা কার্যক্রম চালুর উদ্যোগ প্রধান উপদেষ্টা কাল জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন জেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক আতিক ঢাকার বিমানবন্দরে গ্রেফতার আ.লীগের ঝটিকা মিছিলে গেলে ৫ হাজার টাকা, ব্যানার ধরলে ৮ ১৩ বাংলাদেশি জেলেকে ট্রলারসহ ধরে নিয়ে গেলো ‘আরাকান আর্মি’ জেদ্দা থেকে চট্টগ্রামে আসা বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ৫ যাত্রী থেকে ৭০০ গ্রাম স্বর্ণ জব্দ টেকনাফে অপহৃত কলেজ ছাত্র তাহসিনকে উদ্ধার করলো র‌্যাব দেশে ১১ মাসে ১ লাখ ৩৬ হাজার নতুন রোহিঙ্গা

১৩ বাংলাদেশি জেলেকে ট্রলারসহ ধরে নিয়ে গেলো ‘আরাকান আর্মি’

  • নোমান অরুপ
  • আপডেট সময় : ০৬:১৫:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫
  • 255

সেন্টমার্টিনের দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকার করতে যাওয়া দুইটি ট্রলারসহ ১৩ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) সদস্যরা।

বুধবার (১২ নভেম্বর) বিকেলে টেকনাফ পৌরসভার কায়ুকখালী বোট মালিক সমিতির সভাপতি সাজেদ আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ঘাটের দু’টি  ট্রলার সাগরে মাছ শিকারে যায়। এসময় সেন্টমার্টিনের দক্ষিণে ধাওয়া করে ট্রলারসহ ১৩ জেলেকে ধরে নিয়ে যায় আরাকান আর্মির সদস্যরা। একটি ট্রলারের মালিক শনাক্ত করা গেলেও আরেকটির মালিক কে তা খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।

এদিকে, মিয়ানমারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল আরাকান নেটওয়ার্ক জানায়, গত ২৮ অক্টোবর আরাকান আর্মির উপকূলীয় নিরাপত্তা ইউনিট সমুদ্রপথে টহল জোরদার করে। টহলের সময় আরাকান রাজ্যের জলসীমা অতিক্রম করে মাছ ধরতে থাকা কয়েকটি বাংলাদেশি ট্রলার শনাক্ত করা হয়। সেখানে তারা চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ১৮ জুলাই পর্যন্ত প্রায় ১৮৮ জন বাংলাদেশি জেলে ও ৩০টি নৌকা আটক করে পরবর্তীতে মুক্তি দেওয়া হয় বলে জানায়। কিন্তু এখন আইন অমান্য করার কারণে ফের এসব ট্রলার ধরা হচ্ছে বলে উল্লেখ করা হয় সেখানে।

ট্রলার মালিক মো. সৈয়দ আলম বলেন, ‘আরাকান আর্মির কারণে নাফনদী-সাগরে মাছ শিকারে যাওয়া অসম্ভব হয়েছে পড়ছে। প্রতিদিন ট্রলারসহ জেলেদের ধরে নিয়ে যাচ্ছে। সাগরে মাছ শিকারে সময় একটি ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। এরপর আরাকান আর্মি সেটিসহ আরও একটি ট্রলার আটক করে। দুই ট্রলারে ১৩ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে। এভাবে চলতে থাকলে জেলে-ট্রলার মালিকদের মাঝে দুর্দিন নেমে আসবে।  তাই এ ঘটনা বন্ধে সরকারের সহযোগিতা কামনা করছি।

এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, ‘ট্রলারসহ কিছু জেলেকে ধরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি ট্রলার মালিকদের কাছ থেকে জেনেছি। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। ধরে নিয়ে যাওয়া জেলেদের বিষয়ে আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করা হয়েছে।’

বিজিবি বলছে, গত ১১ মাসে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমারে নাফ নদসহ সংলগ্ন এলাকা থেকে অন্তত ৩৫০ জেলেকে অপহরণ করে আরাকান আর্মি। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সহায়তায় এদের মধ্যে প্রায় ২০০ জনকে কয়েক দফায় ফেরত আনা হয়। এখনো ১৫০ জেলে আরাকান আর্মির হাতে রয়েছে।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

কক্সবাজার-২ আসনে এনসিপির মনোনয়ন সংগ্রহ করলেন কেন্দ্রীয় নেতা সুজা

This will close in 6 seconds

১৩ বাংলাদেশি জেলেকে ট্রলারসহ ধরে নিয়ে গেলো ‘আরাকান আর্মি’

আপডেট সময় : ০৬:১৫:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫

সেন্টমার্টিনের দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকার করতে যাওয়া দুইটি ট্রলারসহ ১৩ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) সদস্যরা।

বুধবার (১২ নভেম্বর) বিকেলে টেকনাফ পৌরসভার কায়ুকখালী বোট মালিক সমিতির সভাপতি সাজেদ আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ঘাটের দু’টি  ট্রলার সাগরে মাছ শিকারে যায়। এসময় সেন্টমার্টিনের দক্ষিণে ধাওয়া করে ট্রলারসহ ১৩ জেলেকে ধরে নিয়ে যায় আরাকান আর্মির সদস্যরা। একটি ট্রলারের মালিক শনাক্ত করা গেলেও আরেকটির মালিক কে তা খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।

এদিকে, মিয়ানমারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল আরাকান নেটওয়ার্ক জানায়, গত ২৮ অক্টোবর আরাকান আর্মির উপকূলীয় নিরাপত্তা ইউনিট সমুদ্রপথে টহল জোরদার করে। টহলের সময় আরাকান রাজ্যের জলসীমা অতিক্রম করে মাছ ধরতে থাকা কয়েকটি বাংলাদেশি ট্রলার শনাক্ত করা হয়। সেখানে তারা চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ১৮ জুলাই পর্যন্ত প্রায় ১৮৮ জন বাংলাদেশি জেলে ও ৩০টি নৌকা আটক করে পরবর্তীতে মুক্তি দেওয়া হয় বলে জানায়। কিন্তু এখন আইন অমান্য করার কারণে ফের এসব ট্রলার ধরা হচ্ছে বলে উল্লেখ করা হয় সেখানে।

ট্রলার মালিক মো. সৈয়দ আলম বলেন, ‘আরাকান আর্মির কারণে নাফনদী-সাগরে মাছ শিকারে যাওয়া অসম্ভব হয়েছে পড়ছে। প্রতিদিন ট্রলারসহ জেলেদের ধরে নিয়ে যাচ্ছে। সাগরে মাছ শিকারে সময় একটি ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। এরপর আরাকান আর্মি সেটিসহ আরও একটি ট্রলার আটক করে। দুই ট্রলারে ১৩ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে। এভাবে চলতে থাকলে জেলে-ট্রলার মালিকদের মাঝে দুর্দিন নেমে আসবে।  তাই এ ঘটনা বন্ধে সরকারের সহযোগিতা কামনা করছি।

এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, ‘ট্রলারসহ কিছু জেলেকে ধরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি ট্রলার মালিকদের কাছ থেকে জেনেছি। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। ধরে নিয়ে যাওয়া জেলেদের বিষয়ে আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করা হয়েছে।’

বিজিবি বলছে, গত ১১ মাসে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমারে নাফ নদসহ সংলগ্ন এলাকা থেকে অন্তত ৩৫০ জেলেকে অপহরণ করে আরাকান আর্মি। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সহায়তায় এদের মধ্যে প্রায় ২০০ জনকে কয়েক দফায় ফেরত আনা হয়। এখনো ১৫০ জেলে আরাকান আর্মির হাতে রয়েছে।