সীমান্ত উপজেলা টেকনাফের হ্নীলার তিন মেধাবী রত্নকে জমকালো সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত (সহকারী জজ) পলি আকতার স্মৃতি ও জয়নাল আবেদীন আল মারুফ ও ৪১ তম বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারে নুরুল মোস্তফা বিন বশিরকে এই সংবর্ধনা দিয়েছে কক্সবাজারস্থ হ্নীলা ফোরাম।
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে শহরের হোটেল মিশুকের কনফারেন্স হলে তাঁদের এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
আয়োজক কমিটির আহবায়ক সাবেক ছাত্রনেতা সরওয়ার কামাল সিকদার এর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব সাংবাদিক ছৈয়দ আলমের পরিচালনায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মমতাজ উদ্দিন কাদেরী।
বিশেষ অতিথি ছিলেন, হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের বারবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও হ্নীলা শাহ মজিদিয়া ইসলামিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা নুর আহমদ আনোয়ারী, কক্সবাজার হাশেমিয়া কামিল মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ মাওলানা মফিজুর রহমান মাদানী ও রঙ্গিখালী ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসার অবসরপ্রাপ্ত সহযোগি অধ্যাপক মাওলানা শফিকুর রহমান।
বক্তব্য রাখেন-হ্নীলার কৃতি সন্তান খুরুশকুল গাজীর ডেইল দারুল উলুম দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা মোহাম্মদ ইসমাঈল, কক্সবাজার সিটি কলেজের প্রভাষক এহসান উদ্দিন, সহকারী অধ্যাপক ওমর ফারুক, জসিম উদ্দিন চৌধুরী, কক্সবাজার হার্ভাড কলেজের প্রভাষক সিরাজুল কবির, উন্নয়ন কর্মী মোহাম্মদ আলী, বিশিষ্ট সমাজসবক এডভোকেট মীর জাহাঙ্গীর আলম, অভিভাবক আনোয়ার পারভেজ, বেলাল উদ্দিন। উপস্থিত ছিলেন, এডভোকেট আব্দুল আমিন, ব্যবসায়ী হারুনুর রশীদ, এডভোকেট মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, এডভোকেট নুরুল কবির, শিক্ষক ক্রীড়া সংগঠক শফিকুল ইসলাম মাহাদী, আব্দুর রহমান হাশেমী, আতিকুর রহমান, অনিক, মুহাম্মদ শাহজাহান, নুরুল আলম, রফিক উল্লাহ।
অনুষ্ঠানে সহকারী জজ মাদারীপুর জেলায় কর্মরত পলিনা আকতার স্মৃতি ও সিলেট মৌলভীবাজার জেলায় কর্মরত জয়নাল আবেদীন আল মারুফ, বিসিএস শিক্ষা ক্যাডার কক্সবাজার সরকারী মহিলা কলেজে কর্মরত নুরুল মোস্তফা বিন বশির তাঁদের অভিভাবকদের সঙ্গে নিয়ে উপস্থিত হন। উপহার হিসেবে সংবর্ধিত তিনজনের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন অতিথিরা।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, পুরো দেশে এই তিন মেধাবী রত্ন আলো ছড়িয়েছে। টেকনাফের হ্নীলা থেকে গড়ে উঠা সহজ বিষয় ছিল না। তাদের অদম্য পড়াশুনা আর পরিশ্রম আজ সফলতা এনে দিয়েছে। মাদক আর রোহিঙ্গা তকমা থেকে ফিরে আসতে তারা উদাহরণ ও ভূমিকা রাখবে।
সীমান্ত শহরে মেধা, মনন ও যোগ্যতায় মাদকের তকমাকে পিছনে ফেলে এগিয়ে যাবে টেকনাফ। এই আয়োজন পরবর্তী প্রজন্মকে সঠিক ট্র্যাকে রাখতে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে বলে আয়োজকরা মনে করছেন।