ঢাকা ০৯:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ১৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
কালারমারছড়ায় পুলিশের অভিযান: অস্ত্রসহ আটক ৩ মির্জা ফখরুলের সঙ্গে ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সৌজন্যে সাক্ষাৎ সীমান্তে ৪ লাখ ইয়াবা জব্দ : ৬ মাসে ৪০ কোটি টাকার অধিক মূল্যের ইয়াবা উদ্ধার ৩৪ বিজিবির পেকুয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে গ্রেফতার হলো রংপুরের মোবারক আলী হত্যা মামলার মূলহোতা মমিনুল টেকনাফে ইয়াবাসহ ৩ মাদক কারবারি গ্রেফতার মোনথা এখন প্রবল ঘূর্ণিঝড়, যাচ্ছে অন্ধ্রের দিকে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ৩ অস্ত্রধারীসহ ১৩ জন আনসার নিয়োজিত থাকবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লরির ধাক্কায় লাইন থেকে উল্টে পড়লো ট্রেন, চাপা পড়ে নিহত ১ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইতিহাস বিভাগের ১৯তম অ্যালামনাই পুনর্মিলনী ১২ ডিসেম্বর টিএসসি প্রাঙ্গণে কক্সবাজারের নুনিয়াছড়া থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ যাবে সেন্টমার্টিন জেলা প্রশাসনের কর্মচারী নজরুল ইসলাম আর নেই: মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় জানাজা ঘূর্ণিঝড় মোন্থার প্রভাবে ৫ দিন বৃষ্টির আভাস টেকনাফ পাহাড়ে পাচারকারীদের হাতে জিম্মি ২২ নারী-পুরুষ উদ্ধার ভুয়া কাগজে জমি দখলের চেষ্টা, আদালত রায় দিলো প্রকৃত মালিকের পক্ষে

হাসনাত-সারজিসকে ১০০ বার ফোন দিলেও রিসিভ করে না: শহীদ আবদুল্লাহর মায়ের অভিযোগ

জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহদের ১০০ বার ফোন দিলেও তারা রিসিভ করেন না বলে অভিযোগ করেছেন আন্দোলনে শহিদ আবদুল্লাহ বিন জাহিদের মা ফাতেমা তুজ জোহরা।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) বিকালে রাজধানীর চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে বিএনপি আয়োজিত ‘গণঅভ্যুত্থান ২০২৪-জাতীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তব্য দেওয়ার সময় কান্নাজড়িত তিনি নিয়ে এসব কথা বলেন।

অভিযোগ করে তিনি বলেন, এই উপদেষ্টা ও অন্তর্বর্তী সরকার আজ পর্যন্ত আমাদের খোঁজ নিতে পারে নাই। আমার ছেলের রক্তের বিনিময়ে ক্ষমতা পেলেও তারা একবারও আমাদের খোঁজ নিল না। এমনকি সারজিস-হাসনাতকে আমরা ১০০টা ফোন দিলেও তারা রিসিভ করে না।
জুলাই অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ৫ আগস্ট সন্ধ্যায় বিমানবন্দর এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায় আবদুল্লাহ।
আবদুল্লাহ বিন জাহিদের মা বলেন, আমার দুই ছেলে। বড় ছেলে আব্দুল্লাহ বিন জাহিদের বয়স ১৭ বছর ছোট ছেলের বয়স ১৪ বছর। আমার বড় ছেলে মারা যাওয়ার ১৪ দিনের মাথায় আমার ছোট ছেলের ক্যান্সার ধরা পরে। সে বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মে মাসের ১৮ তারিখে আমার স্বামী ব্রেন স্টক করে মারা যান। আমরা বিএনপি পরিবার থেকে আমার ছোট ছেলের খোঁজ খবর নেয় এবং তার চিকিৎসার খরচ গ্রহণ করে। আগামী শুক্রবার ছোট ছেলের আরেকটা অপারেশন হবে। আমার শেষ অবলম্বন টুকু যেন আমরা কাছে থাকে এজন্য সবাই তার জন্য দোয়া করবেন।

এ সময় তিনি আরও বলেন, আমরা বিএনপি পরিবার আজ আমাদের সঙ্গে না থাকলে আমাদের আজ রাস্তায় নামতে হত, আমার ছোট ছেলেও আজ দুনিয়াতে থাকত না।
অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন দলের চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমেদ, এজেডএম জাহিদ হোসেনসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতারা।

সূত্র : যুগান্তর

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

কালারমারছড়ায় পুলিশের অভিযান: অস্ত্রসহ আটক ৩

This will close in 6 seconds

হাসনাত-সারজিসকে ১০০ বার ফোন দিলেও রিসিভ করে না: শহীদ আবদুল্লাহর মায়ের অভিযোগ

আপডেট সময় : ১০:২২:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫

জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহদের ১০০ বার ফোন দিলেও তারা রিসিভ করেন না বলে অভিযোগ করেছেন আন্দোলনে শহিদ আবদুল্লাহ বিন জাহিদের মা ফাতেমা তুজ জোহরা।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) বিকালে রাজধানীর চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে বিএনপি আয়োজিত ‘গণঅভ্যুত্থান ২০২৪-জাতীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তব্য দেওয়ার সময় কান্নাজড়িত তিনি নিয়ে এসব কথা বলেন।

অভিযোগ করে তিনি বলেন, এই উপদেষ্টা ও অন্তর্বর্তী সরকার আজ পর্যন্ত আমাদের খোঁজ নিতে পারে নাই। আমার ছেলের রক্তের বিনিময়ে ক্ষমতা পেলেও তারা একবারও আমাদের খোঁজ নিল না। এমনকি সারজিস-হাসনাতকে আমরা ১০০টা ফোন দিলেও তারা রিসিভ করে না।
জুলাই অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ৫ আগস্ট সন্ধ্যায় বিমানবন্দর এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায় আবদুল্লাহ।
আবদুল্লাহ বিন জাহিদের মা বলেন, আমার দুই ছেলে। বড় ছেলে আব্দুল্লাহ বিন জাহিদের বয়স ১৭ বছর ছোট ছেলের বয়স ১৪ বছর। আমার বড় ছেলে মারা যাওয়ার ১৪ দিনের মাথায় আমার ছোট ছেলের ক্যান্সার ধরা পরে। সে বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মে মাসের ১৮ তারিখে আমার স্বামী ব্রেন স্টক করে মারা যান। আমরা বিএনপি পরিবার থেকে আমার ছোট ছেলের খোঁজ খবর নেয় এবং তার চিকিৎসার খরচ গ্রহণ করে। আগামী শুক্রবার ছোট ছেলের আরেকটা অপারেশন হবে। আমার শেষ অবলম্বন টুকু যেন আমরা কাছে থাকে এজন্য সবাই তার জন্য দোয়া করবেন।

এ সময় তিনি আরও বলেন, আমরা বিএনপি পরিবার আজ আমাদের সঙ্গে না থাকলে আমাদের আজ রাস্তায় নামতে হত, আমার ছোট ছেলেও আজ দুনিয়াতে থাকত না।
অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন দলের চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমেদ, এজেডএম জাহিদ হোসেনসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতারা।

সূত্র : যুগান্তর