ঢাকা ০৪:৪৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
খুরুশকুলে প্রকাশ্যে কুপিয়ে ২ লাখ টাকা ছিনতাই মিয়ানমারে কিছু বাংলাদেশি আটকা পড়ে আছে কক্সবাজার প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত কমিটির শপথ গ্রহণ আধুনিক সমাজ গঠনের অঙ্গীকারে পূর্ব জোয়ারিয়ানালা এলাকাবাসীর মতবিনিময় ২৩ ডিসেম্বর সাবেক মন্ত্রী মৌলভী ফরিদ আহমদের ৫৩তম শাহাদত বার্ষিকী চমকপ্রদ কাজ করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন ইয়ুথ হিউম্যানিট্যারিয়ান সার্ভিস অর্গানাইজেশন – পুলিশ সুপার আল-আসাদ কুতুবদিয়ার তরমুজ পাওয়া যাচ্ছে সারা বছর: রয়েছে সুখ্যাতি আন্তর্জাতিকভাবে বঙ্গোপসাগর বড় বড় শক্তির নজরে পড়েছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা দু’মাসে ঢুকেছে ৬০ হাজার রোহিঙ্গা: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা শিশু হত্যার জেরে এক বছর নিষিদ্ধ টিকটক শীতের মধ্যেই কক্সবাজার শহরে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি সাগরে নিম্নচাপ: হতে পারে বৃষ্টি বছরের দীর্ঘতম রাত আজ উখিয়ায় উপজেলা প্রশাসনের অভিযানে টিসিবি পণ্য জব্দ, তিন ব্যবসায়ীকে অর্থদন্ড আজ বিছানা না গোছানোর দিন!

সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটন নিয়ন্ত্রণ ও জাহাজ ছাড়ার পয়েন্ট নির্ধারণ সংক্রান্ত কমিটি গঠন

  • কাব্য সৌরভ
  • আপডেট সময় : ০১:০৮:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪
  • 107

সেন্টমার্টিন দ্বীপ

কাব্য সৌরভ :

দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন নিয়ন্ত্রণ ও সেন্টমর্টিনগামী জাহাজ ছাড়ার পয়েন্ট নির্ধারণ সংক্রান্ত কমিটি গঠন করেছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরির্তন মন্ত্রণালয়।

মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব সাবরীনা রহমান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

ইতোমধ্যে এই অফিস আদেশটি কক্সবাজার জেলা প্রশাসন সহ সংশ্লিষ্টদের হাতে পৌঁছেছে বলে নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট (এডিএম) নিজাম উদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেন, গঠিত কমিটির প্রধান কক্সবাজার সদর এবং টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিলে আদেশ মতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরির্তন মন্ত্রণালয়ের অফিস আদেশে বলা হয়েছে, সেন্টমার্টিন দ্বীপে অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন নিয়ন্ত্রণে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির আহ্বায়ক থাকবেন কক্সবাজার সদর এবং টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। সদস্য সচিব থাকবেন কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক। সদস্য থাকবেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড, কক্সবাজারের একজন প্রতিনিধি, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ কক্সবাজারের একজন প্রতিনিধি, বাংলাদেশ কোষ্ট গার্ড কক্সবাজারের একজন প্রতিনিধি, ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজারের একজন প্রতিনিধি।

কমিটির কর্মপরিধিতে বলা হয়েছে জাহাজ ছাড়ার/এন্ট্রি পয়েন্টে শুধু বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড কর্তৃক প্রস্তুতকৃত অ্যাপস থেকে সংগ্রহকৃত ট্রাভেল পাসধারী পর্যটকদের অনুমোদিত জাহাজে ভ্রমন নিশ্চিতকরণ করা হবে। পর্যটক এবং অনুমোদিত জাহাজ কর্তৃক নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন ব্যাগ এবং একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক দ্রব্যাদি পণ্য (পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনুমোদিত তালিকা অনুযায়ী) পরিবহন না করার বিষয়টি নিশ্চিতকরণ। পর্যটকগণ কোন হোটেলে অবস্থান করবেন তা লিপিবদ্ধকরণ এবং রেজিস্টার সংরক্ষণ। জাহাজ ছাড়ার পয়েন্টে এবং সেন্টমার্টিনে এন্ট্রি পয়েন্টে পর্যটকগণের জন্য করণীয় এবং বর্জনীয় বিষয়ে বিলবোর্ড স্থাপন। পরিবেশ অধিদপ্তরের কক্সবাজার জেলা অফিস সার্বিক যোগাযোগ ও সমন্বয় করবেন। সেই সঙ্গে কমিটি প্রয়োজনে সদস্য কো-অপ্ট করতে পারবেন।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত ২২ অক্টোবর পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রাণলয়ের সভায় সেন্টমার্টিনের বিষয়ে নানা বিধি নিষেধ আরোপ করে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে গত ২৮ অক্টোবর একই মন্ত্রণালয়ের উপসচিব অসমা শাহীন স্বাক্ষরিত একটি পরিপত্র জারি করেন। যে পরিপত্রে ৫ টি বিষয় উল্লেখ্য রয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে সেন্টমার্টিনে নৌ যান চলাচলের বিষয়টি বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহণ কর্তৃপক্ষ পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সম্মতি গ্রহণ করে অনুমতি প্রদান করবে। নভেম্বর মাসে দ্বীপে পর্যটক গেলেও দিনে ফিরে আসতে হবে। রত্রিযাপন করতে পারবেন না। ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে রাত্রিযাপন করা যাবে। পর্যটকের সংখ্যা গড়ে প্রতিদিন ২ হাজারের বেশি হবে না। দ্বীপে রাতে আলো জ্বালানো যাবেনা, শব্দ দূষণ সৃষ্টি করা যাবে না। বারবিকিউ পার্টি করা যাবে না।

এমন সিদ্ধান্তকে অযৌক্তিক মন্তব্য করে কর্মসূচিতে দ্বীপবাসীর পাশাপাশি হোটেল-মোটেল, রেঁস্তোরা ও ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন সহ পর্যটন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সহস্রাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী ও কর্মীরা ধারাবাহিক আন্দোলন করে যাচ্ছেন। এর মধ্যে কমিটি গঠন করা হয়েছে।

প্রতিবছর অক্টোবরের শেষ থেকে দ্বীপটি পর্যটন মৌসুম শুরু হয়। কিন্তু এবার নভেম্বরের শেষ সময় এসেও শুরু হয়নি পর্যটকের আনাগোনা। অনিশ্চয়তার কবলে রয়েছে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল। এর মধ্যে দ্বীপে বসবাসকারি মানুষ নিজস্ব প্রয়োজনে কাঠের ট্রলার বা স্পিড বোট যোগে টেকনাফ আসা-যাওয়া করতেও প্রতিবন্ধকতায় আছেন। তাদের আসা বা যাওয়া এখন নির্ভর করছে প্রশাসনিক অনুমতির উপর। এর বাইরে বাংলাদেশের কোন নাগরিককে দ্বীপে যেতে হলে লিখিত অনুমতির শর্ত দেওয়া হয়েছে সম্প্রতি।

ট্যাগ :

খুরুশকুলে প্রকাশ্যে কুপিয়ে ২ লাখ টাকা ছিনতাই

This will close in 6 seconds

সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটন নিয়ন্ত্রণ ও জাহাজ ছাড়ার পয়েন্ট নির্ধারণ সংক্রান্ত কমিটি গঠন

আপডেট সময় : ০১:০৮:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪

কাব্য সৌরভ :

দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন নিয়ন্ত্রণ ও সেন্টমর্টিনগামী জাহাজ ছাড়ার পয়েন্ট নির্ধারণ সংক্রান্ত কমিটি গঠন করেছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরির্তন মন্ত্রণালয়।

মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব সাবরীনা রহমান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

ইতোমধ্যে এই অফিস আদেশটি কক্সবাজার জেলা প্রশাসন সহ সংশ্লিষ্টদের হাতে পৌঁছেছে বলে নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট (এডিএম) নিজাম উদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেন, গঠিত কমিটির প্রধান কক্সবাজার সদর এবং টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিলে আদেশ মতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরির্তন মন্ত্রণালয়ের অফিস আদেশে বলা হয়েছে, সেন্টমার্টিন দ্বীপে অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন নিয়ন্ত্রণে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির আহ্বায়ক থাকবেন কক্সবাজার সদর এবং টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। সদস্য সচিব থাকবেন কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক। সদস্য থাকবেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড, কক্সবাজারের একজন প্রতিনিধি, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ কক্সবাজারের একজন প্রতিনিধি, বাংলাদেশ কোষ্ট গার্ড কক্সবাজারের একজন প্রতিনিধি, ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজারের একজন প্রতিনিধি।

কমিটির কর্মপরিধিতে বলা হয়েছে জাহাজ ছাড়ার/এন্ট্রি পয়েন্টে শুধু বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড কর্তৃক প্রস্তুতকৃত অ্যাপস থেকে সংগ্রহকৃত ট্রাভেল পাসধারী পর্যটকদের অনুমোদিত জাহাজে ভ্রমন নিশ্চিতকরণ করা হবে। পর্যটক এবং অনুমোদিত জাহাজ কর্তৃক নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন ব্যাগ এবং একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক দ্রব্যাদি পণ্য (পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনুমোদিত তালিকা অনুযায়ী) পরিবহন না করার বিষয়টি নিশ্চিতকরণ। পর্যটকগণ কোন হোটেলে অবস্থান করবেন তা লিপিবদ্ধকরণ এবং রেজিস্টার সংরক্ষণ। জাহাজ ছাড়ার পয়েন্টে এবং সেন্টমার্টিনে এন্ট্রি পয়েন্টে পর্যটকগণের জন্য করণীয় এবং বর্জনীয় বিষয়ে বিলবোর্ড স্থাপন। পরিবেশ অধিদপ্তরের কক্সবাজার জেলা অফিস সার্বিক যোগাযোগ ও সমন্বয় করবেন। সেই সঙ্গে কমিটি প্রয়োজনে সদস্য কো-অপ্ট করতে পারবেন।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত ২২ অক্টোবর পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রাণলয়ের সভায় সেন্টমার্টিনের বিষয়ে নানা বিধি নিষেধ আরোপ করে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে গত ২৮ অক্টোবর একই মন্ত্রণালয়ের উপসচিব অসমা শাহীন স্বাক্ষরিত একটি পরিপত্র জারি করেন। যে পরিপত্রে ৫ টি বিষয় উল্লেখ্য রয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে সেন্টমার্টিনে নৌ যান চলাচলের বিষয়টি বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহণ কর্তৃপক্ষ পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সম্মতি গ্রহণ করে অনুমতি প্রদান করবে। নভেম্বর মাসে দ্বীপে পর্যটক গেলেও দিনে ফিরে আসতে হবে। রত্রিযাপন করতে পারবেন না। ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে রাত্রিযাপন করা যাবে। পর্যটকের সংখ্যা গড়ে প্রতিদিন ২ হাজারের বেশি হবে না। দ্বীপে রাতে আলো জ্বালানো যাবেনা, শব্দ দূষণ সৃষ্টি করা যাবে না। বারবিকিউ পার্টি করা যাবে না।

এমন সিদ্ধান্তকে অযৌক্তিক মন্তব্য করে কর্মসূচিতে দ্বীপবাসীর পাশাপাশি হোটেল-মোটেল, রেঁস্তোরা ও ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন সহ পর্যটন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সহস্রাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী ও কর্মীরা ধারাবাহিক আন্দোলন করে যাচ্ছেন। এর মধ্যে কমিটি গঠন করা হয়েছে।

প্রতিবছর অক্টোবরের শেষ থেকে দ্বীপটি পর্যটন মৌসুম শুরু হয়। কিন্তু এবার নভেম্বরের শেষ সময় এসেও শুরু হয়নি পর্যটকের আনাগোনা। অনিশ্চয়তার কবলে রয়েছে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল। এর মধ্যে দ্বীপে বসবাসকারি মানুষ নিজস্ব প্রয়োজনে কাঠের ট্রলার বা স্পিড বোট যোগে টেকনাফ আসা-যাওয়া করতেও প্রতিবন্ধকতায় আছেন। তাদের আসা বা যাওয়া এখন নির্ভর করছে প্রশাসনিক অনুমতির উপর। এর বাইরে বাংলাদেশের কোন নাগরিককে দ্বীপে যেতে হলে লিখিত অনুমতির শর্ত দেওয়া হয়েছে সম্প্রতি।