ঢাকা ০৪:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ২০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
সব প্রস্তুতি নিয়েও যেকারণে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে দেরি কক্সবাজার বিমানবন্দর ‘কুকুর’ ধরলো রাজমিস্ত্রীর ইয়াবা টেকনাফে মানব পাচারে ‘জিরো টলারেন্স’ বলছে বিজিবি পালংখালী জামায়াতের কর্মী সমাবেশে জেলা আমীর আনোয়ারী-ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে দাঁড়ি পাল্লার বিজয়ে ঐক্যবদ্ধ হোন টেকনাফে ১৪ মামলার পলাতক আসামী মুন্না র‍্যাবের হাতে গ্রেফতার বিএফইউজে’র নির্বাহী পরিষদের সভায় সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার’র কমিটি অনুমোদন কক্সবাজার সৈকতে ‘লোক সমুদ্র’ ‘মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান-২০২৫’ বাস্তবায়নে কক্সবাজারে ৫টি যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন নৌবাহিনীর নারী নেতৃত্বকে জাতির গৌরব বললেন লুৎফুর রহমান কাজল কুতুবদিয়া প্রেসক্লাবের সভায় বক্তারা: ‎কুতুবদিয়ার অর্থনৈতিক উন্নয়নে পর্যটনের বিকল্প নেই ‎ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আস্থা গড়ার বদলে চাপ সৃষ্টি করেছে বাংলাদেশ চৌফলদন্ডীর আমজাদ হত্যার আসামী ছৈয়দ নুর গ্রেফতার সমুদ্রবন্দর থেকে নামল সতর্ক সংকেত রোহিঙ্গা সংকটে জাতিসংঘের দ্বৈত ন্যারেটিভ: কেন এই দ্বন্দ্ব? উখিয়া হাসপাতালের ২ টন ময়লা অপসারণ করলো বিডি ক্লিন টিম

রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী পাপিয়া সারোয়ারের জীবনাবসান

  • টিটিএন ডেস্ক :
  • আপডেট সময় : ০৭:৪৬:২৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪
  • 213

অনন্তলোকে পাড়ি জমালেন একুশে পদকজয়ী রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী পাপিয়া সারোয়ার

দীর্ঘদিন ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করে অনন্তলোকে পাড়ি জমালেন একুশে পদকজয়ী রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী পাপিয়া সারোয়ার।

ঢাকার ইমপালস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার সকালে পাপিয়ার মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন তার স্বামী সারোয়ার এ আলম।তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, “পাপিয়া আর আমাদের মাঝে নেই। সকাল সাড়ে ৭টা থেকে ৮টার দিকে চিকিৎসক তার লাইফ সাপোর্ট খুলে মৃত ঘোষণা করেছেন।”

জানাজা-দাফন কোথায় হবে, এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “এটা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। ধানমন্ডি ঈদগাহ মাঠে জানাজা করে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হতে পারে।”

৭১ বছর বয়সী পাপিয়া সারোয়ার ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে তিন বছর ধরে ভুগছিলেন। ২০২১ সালে একুশে পদকপ্রাপ্ত এ শিল্পী দেশ-বিদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

সম্প্রতি অবস্থার অবনতি হলে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাকে ‘লাইফ সাপোর্ট’ দেওয়া হয়।

চিকিৎসকের বরাতে সারোয়ার এ আলম বুধবার রাত ৮টায় গণমাধ্যমে বলেছিলেন, “পাপিয়া এখন লাইফ সাপোর্টে আছে। জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। আমরা আত্মীয়-স্বজন সবাই আছি হাসপাতালে।

“আমার মেয়ে বিদেশ থেকে এসেছে। এখন আমরা অপেক্ষায় আছি।”

দর্শক-শ্রোতার কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পাওয়া ‘নাই টেলিফোন নাইরে পিয়ন নাইরে টেলিগ্রাম’ গানের শিল্পী পাপিয়া সারোয়ারের খ্যাতি রবীন্দ্রসংগীতে। আধুনিক গানেও তিনি পরিচিত।

২০১৩ সালে বাংলা একাডেমি থেকে রবীন্দ্র পুরস্কার পান। ২০১৫ সালে বাংলা একাডেমি ফেলোশিপ লাভ করেন। চলতি বছর চ্যানেল আইয়ের আয়োজনে রবীন্দ্রমেলায় পাপিয়া সারোয়ারকে আজীবন সম্মাননা দেওয়া হয়।

বরিশালের মেয়ে পাপিয়া প্রাণিবিদ্যা বিষয়ে পড়াশোনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ভারত সরকারের বৃত্তি নিয়ে ১৯৭৩ সালে তিনি রবীন্দ্রসংগীতে ডিগ্রি নিতে যান বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে।

তার আগে তিনি ১৯৬৬ সালে ছায়ানটে ওয়াহিদুল হক, সনজীদা খাতুন এবং জাহেদুর রহিমের কাছে এবং পরবর্তীতে বুলবুল ললিতকলা একাডেমিতে সংগীত দীক্ষা নেন।

তার দুই মেয়ের মধ্যে জারা সারোয়ার থাকেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সিতে। আর ছোট মেয়ে জিশা সারোয়ার থাকেন কানাডায়।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

সব প্রস্তুতি নিয়েও যেকারণে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে দেরি কক্সবাজার বিমানবন্দর

This will close in 6 seconds

রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী পাপিয়া সারোয়ারের জীবনাবসান

আপডেট সময় : ০৭:৪৬:২৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪

দীর্ঘদিন ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করে অনন্তলোকে পাড়ি জমালেন একুশে পদকজয়ী রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী পাপিয়া সারোয়ার।

ঢাকার ইমপালস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার সকালে পাপিয়ার মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন তার স্বামী সারোয়ার এ আলম।তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, “পাপিয়া আর আমাদের মাঝে নেই। সকাল সাড়ে ৭টা থেকে ৮টার দিকে চিকিৎসক তার লাইফ সাপোর্ট খুলে মৃত ঘোষণা করেছেন।”

জানাজা-দাফন কোথায় হবে, এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “এটা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। ধানমন্ডি ঈদগাহ মাঠে জানাজা করে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হতে পারে।”

৭১ বছর বয়সী পাপিয়া সারোয়ার ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে তিন বছর ধরে ভুগছিলেন। ২০২১ সালে একুশে পদকপ্রাপ্ত এ শিল্পী দেশ-বিদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

সম্প্রতি অবস্থার অবনতি হলে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাকে ‘লাইফ সাপোর্ট’ দেওয়া হয়।

চিকিৎসকের বরাতে সারোয়ার এ আলম বুধবার রাত ৮টায় গণমাধ্যমে বলেছিলেন, “পাপিয়া এখন লাইফ সাপোর্টে আছে। জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। আমরা আত্মীয়-স্বজন সবাই আছি হাসপাতালে।

“আমার মেয়ে বিদেশ থেকে এসেছে। এখন আমরা অপেক্ষায় আছি।”

দর্শক-শ্রোতার কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পাওয়া ‘নাই টেলিফোন নাইরে পিয়ন নাইরে টেলিগ্রাম’ গানের শিল্পী পাপিয়া সারোয়ারের খ্যাতি রবীন্দ্রসংগীতে। আধুনিক গানেও তিনি পরিচিত।

২০১৩ সালে বাংলা একাডেমি থেকে রবীন্দ্র পুরস্কার পান। ২০১৫ সালে বাংলা একাডেমি ফেলোশিপ লাভ করেন। চলতি বছর চ্যানেল আইয়ের আয়োজনে রবীন্দ্রমেলায় পাপিয়া সারোয়ারকে আজীবন সম্মাননা দেওয়া হয়।

বরিশালের মেয়ে পাপিয়া প্রাণিবিদ্যা বিষয়ে পড়াশোনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ভারত সরকারের বৃত্তি নিয়ে ১৯৭৩ সালে তিনি রবীন্দ্রসংগীতে ডিগ্রি নিতে যান বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে।

তার আগে তিনি ১৯৬৬ সালে ছায়ানটে ওয়াহিদুল হক, সনজীদা খাতুন এবং জাহেদুর রহিমের কাছে এবং পরবর্তীতে বুলবুল ললিতকলা একাডেমিতে সংগীত দীক্ষা নেন।

তার দুই মেয়ের মধ্যে জারা সারোয়ার থাকেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সিতে। আর ছোট মেয়ে জিশা সারোয়ার থাকেন কানাডায়।