ঢাকা ০৭:৫৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
রাগিবের ” প্রেসিডেন্ট’স স্কাউট অ্যাওয়ার্ড ২০২৪ ” অর্জন পোকখালীতে আলোচিত শিশু নির্যাতনের ঘটনায় দুজন হেফাজতে চকরিয়ায় মহাসড়কে রশির ফাঁদে আটকিয়ে ডাকাতি, নিহত ১ রামু কেন্দ্রীয় প্রবারণা ও কল্প জাহাজ ভাসা উদযাপন পরিষদ গঠিত টেকনাফে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের যৌথ অভিযান- নারী-শিশুসহ অপহৃত ৬৬ জন উদ্ধার কক্সবাজারে মাদকবিরোধী টাস্কফোর্স- দুই মাসে গ্রেফতার ৫৫৬ মাদক ব্যবসায়ী এবারের দুর্গাপুজায় দর্শনার্থীদের সাথে সাদা পোশাকে মিশে যাবে র‍্যাব চাকসু নির্বাচনে লড়ছেন পেকুয়ার শাওন তালেবানের আমন্ত্রণে আফগানিস্তান সফরে মামুনুল হকসহ সাত আলেম টেকনাফে ৩ লাখ ৪০ হাজার ইয়াবা নিয়ে যুবক আটক টেকনাফে ৩ লাখ ৪০ হাজার ইয়াবা নিয়ে যুবক আটক কুতুপালংয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করল ড. মোস্তফা হাজেরা ফাউন্ডেশন রামুর বাঁকখালী নদীতে ঐতিহ্যবাহি নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা শুক্রবার চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক ছয় লেনের দাবিতে রামুতে বিএনপির মানববন্ধন চকরিয়ায় মার্কেটের ছাদ ধস: ভাসমান ব্যবসায়ী আহত

মামলার আসামী হলেও বদির ঘনিষ্ঠ দুই সহোদর বহাল তবিয়তে

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার ভারত পালায়নের মধ্য দিয়ে পতন ঘটে আওয়ামীলীগের। এরপর একে একে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে শীর্ষ নেতা, মন্ত্রীসহ অনেকেই। আবার অনেকেই গ্রেপ্তার হয়ে কারাবন্ধি। কিন্তু এক বছরেও বদলায়নি সীমান্ত উপজেলা টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের দৃশ্যপট।

যেখানে এখনও দাপটের সাথে আছেন সাবেক এমপি বর্তমানে কারাবন্ধি আবদুর রহমান বদির ঘনিষ্ট দুই সহোদর।

এরা হলেন, সাবরাং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নেতা মো. শামসুল আলম মেম্বার ও তার ভাই সাবরাং ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আলম নুরু।

টেকনাফের স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই দুই সহোদর বিগত ১৫ বছর ধরে সীমান্তের ইয়াবা ও মানবপাচার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন। একই সঙ্গে সাধারণ মানুষসহ বিরোধী রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের নির্যাতন ও মিথ্যা মামলার আসামি করে ঘর ছাড়া করেছেন। আওয়ামীলীগের পতনের এক বছরে মাদক পাচার নিয়ন্ত্রণ রেখে সাধারণ মানুষকে হয়রানী করে যাচ্ছে এই দুই সহোচর।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয়রা বলছেন, বিগত সরকারের সময় এই দুই ভাইকে দেখা গেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ছেলেসহ শীর্ষ নেতাদের সাথে। পিতা আলী আহমদও আওয়ামীলীগ নেতা ছিলেন। কিন্তু সাবেক এমপি বদির সখ্যতা পেয়ে ঘনিষ্টজন হওয়ার গল্প ভিন্ন।

জানা গেছে, মো. শামসুল আলম সাবেক ওসি আবদুর রহমানের ভাতিজির স্বামী। আর সেই ওসি হলেন সাবেক এমপি বর্তমানে কারাবন্ধি আবদুর রহমান বদির ভগ্নিপতি। যে সুবাদে বদির ঘনিষ্টজন হিসেবে দাপটের সাথে চলেছেন।

কিন্তু বর্তমানেও একই দাপট নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়রা। একাধিক মামলার আসামি হওয়ার পরও প্রকাশ্যে ঘুরে সাধারণ মানুষকে হয়রানী ও নির্যাতনের নেপথ্যে জানতে চান ভূক্তভোগীরা।

এদিকে টেকনাফ থানার ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। মামলার আসামী হলে কেউ ছাড় পাবেনা।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

রাগিবের ” প্রেসিডেন্ট’স স্কাউট অ্যাওয়ার্ড ২০২৪ ” অর্জন

This will close in 6 seconds

মামলার আসামী হলেও বদির ঘনিষ্ঠ দুই সহোদর বহাল তবিয়তে

আপডেট সময় : ১০:৫১:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৫

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার ভারত পালায়নের মধ্য দিয়ে পতন ঘটে আওয়ামীলীগের। এরপর একে একে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে শীর্ষ নেতা, মন্ত্রীসহ অনেকেই। আবার অনেকেই গ্রেপ্তার হয়ে কারাবন্ধি। কিন্তু এক বছরেও বদলায়নি সীমান্ত উপজেলা টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের দৃশ্যপট।

যেখানে এখনও দাপটের সাথে আছেন সাবেক এমপি বর্তমানে কারাবন্ধি আবদুর রহমান বদির ঘনিষ্ট দুই সহোদর।

এরা হলেন, সাবরাং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নেতা মো. শামসুল আলম মেম্বার ও তার ভাই সাবরাং ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আলম নুরু।

টেকনাফের স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই দুই সহোদর বিগত ১৫ বছর ধরে সীমান্তের ইয়াবা ও মানবপাচার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন। একই সঙ্গে সাধারণ মানুষসহ বিরোধী রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের নির্যাতন ও মিথ্যা মামলার আসামি করে ঘর ছাড়া করেছেন। আওয়ামীলীগের পতনের এক বছরে মাদক পাচার নিয়ন্ত্রণ রেখে সাধারণ মানুষকে হয়রানী করে যাচ্ছে এই দুই সহোচর।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয়রা বলছেন, বিগত সরকারের সময় এই দুই ভাইকে দেখা গেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ছেলেসহ শীর্ষ নেতাদের সাথে। পিতা আলী আহমদও আওয়ামীলীগ নেতা ছিলেন। কিন্তু সাবেক এমপি বদির সখ্যতা পেয়ে ঘনিষ্টজন হওয়ার গল্প ভিন্ন।

জানা গেছে, মো. শামসুল আলম সাবেক ওসি আবদুর রহমানের ভাতিজির স্বামী। আর সেই ওসি হলেন সাবেক এমপি বর্তমানে কারাবন্ধি আবদুর রহমান বদির ভগ্নিপতি। যে সুবাদে বদির ঘনিষ্টজন হিসেবে দাপটের সাথে চলেছেন।

কিন্তু বর্তমানেও একই দাপট নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়রা। একাধিক মামলার আসামি হওয়ার পরও প্রকাশ্যে ঘুরে সাধারণ মানুষকে হয়রানী ও নির্যাতনের নেপথ্যে জানতে চান ভূক্তভোগীরা।

এদিকে টেকনাফ থানার ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। মামলার আসামী হলে কেউ ছাড় পাবেনা।